• ক্রিকেট

ভারতের সাথেই কেন বারবার এমন পরাজয়

পোস্টটি ৯৭৩ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

আজকে ভারতের সাথে বাংলাদেশ জিতলে সেটা কি 'অঘটন' হতো? হয়তো না।

বরং বাংলাদেশের হারাটাই 'অঘটন' বলা যেতে পারে।

এমন ম্যাচে জিততে না পারাটার দায় সত্যিই বর্তায়।

বৃষ্টি, ডিএলএস, আইসিসি, ভারত, আম্পায়ার সব বাদই দিলাম, কিন্তু ৩০ বলে ৫০ রান করাটা কি অনেক বড় লক্ষ্য ছিল?

সেটাই সাকিবরা পারেনি।

লিটনের এমন উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়ার পর একজনও পারলো না তার সঙ্গ দিতে, উলটো ওপেনার শান্ত নামের মতোই ব্যাটিং করে চাপে ফেলে রাখছিল দলকে। তার বলে বলে রান থাকলেও হয়তো ম্যাচটা জিততে পারতো বাংলাদেশ!

 

বাংলাদেশের পেসাররা যথারীতি দারুণ বোলিং করছে এই বিশ্বকাপে। আর তাদের লিড দিচ্ছে তাসকিন।

ভারতের সাথে বোলিংয়ে শুরুটাও হয়েছে আগুনে। তবে ব্যতিক্রম ছিল শরিফুল, খরুচে বোলিং করে ভারতকে বড় রানের লক্ষ্য দাড় করাতে সাহায্য করলেও সেটা অনেক বড় টার্গেট হতে পারেনি শেষ অবধি অন্য বোলারদের বোলিং দৃঢ়তায়।

 

বাংলাদেশের বোলাররা যেভাবে বা যতটুকু প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে, ভারতীয় বোলাররা কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উপরে তেমন আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি, শুরুতে লিটনের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ই সেটার প্রমাণ। কিংবা শেষে নুরুল তাসকিনদের ক্যামিও লড়াইও সেকথাই বলবে। বাংলাদেশের টপ অর্ডার আর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা জাস্ট তাদের উইকেটগুলো বিলিয়ে দিয়ে এসেছে, আর কিছুই না।

বোলিংয়ের শুরু আর শেষ সময়টায়, আর ব্যাটিংয়ে পুরো সময়টায় বাংলাদেশ ম্যাচে এগিয়ে থেকেও ম্যাচটা হেরেছে বিশেষ করে মনস্তাত্ত্বিক পরাজয়ের জন্যই। আম্পায়ার, ভারত, আইসিসির বিষয়গুলো আলাদা করে রাখলাম।

লিটনের সাথে সাথে সাকিব আফিফরা যদি মিডল অর্ডারে একটুও ধরে ব্যাটিং করতে পারতো, তাহলে অবশ্যই এই ম্যাচ বাংলাদেশ ইজিলি বের করে নিয়ে আসতে পারতো।

 

ভারতের সাথে সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ বরাবরই সমানে সমান টক্কর দেওয়া ম্যাচ খেলে, সেটা স্বল্প পুঁজির ম্যাচ হোক কিংবা হাই স্কোরিং।

কিন্তু তাদের সাথে এভাবে "তীরে এসে তরী ডুবা" ফলাফল আর কতদিন মেনে নিতে হবে টাইগার সমর্থকদের?

ভারতের সাথে বাংলাদেশ প্রতিটা ম্যাচেই টক্কর এমন ভাবে দিবে, হয়তো ম্যাচের শুরুতে কিংবা পুরো ম্যাচজুড়েই, যেন মনে হবে বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতেই যাচ্ছে বা গেছে, কিন্তু শেষে গিয়ে সেই একই কেচ্ছা....!

 

সাকিব ম্যাচ হারার পর যেটা বলেছে যে, ভারতের সাথে বাংলাদেশের ম্যাচগুলো ক্লোজ হচ্ছে, কিন্তু একটুর জন্য ফলটা নিজেদের পক্ষে আসছে না, এভাবে খেলতে থাকলে ফলটা নিজেদের পক্ষেই আসতে থাকবে। কথাটি ভালো লেগেছে কিন্তু সেম কথাই আগেও বলা হয়েছে; তবে ফলাফল কি নিজেদের পক্ষে আসছে?

না, আসেনি। ভারতের সাথেই কেন যে বারবার এরকম পরাজয় দেখতে হচ্ছে বোধগম্য হচ্ছে না।

 

৯৬ বলের খেলায় ৩১টা ডট বল খেলেছে বাংলাদেশ, শেষে গিয়ে হেরেছে ৫ রানে, সুতরাং এসব ষড়যন্ত্রত্বত্ত্ব, অযুহাত এসব আবেগ বাদ দিয়ে সহজ সত্যিটাই বরং মেনে নেই, মনস্তাত্ত্বিক পরাজয়, সেই সাথে  "পারি নাই তাই জিতি নাই", এটাই সত্যি। ক্রিকেটে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টি মহাগুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ভারত খেলায় বারবারই সেটা প্রমাণিত হচ্ছে।