• ফুটবল

ইস্তাম্বুলের সেইরাতে হার্নান ক্রেসপোর দ্বিতীয় গোলের প্রশংসায়

পোস্টটি ৬৭৫ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

 

২০২০ সালে আমাদের দেশে প্রথম যখন কোভিডের প্রকোপ বাড়তে থাকে তখন লকডাউনের বদৌলতে আমার মতো অনেকেই হয়ত ঘরে শুয়েবসে অনিশ্চিত দিন কাটিয়েছেন। বিশেষ করে আমার মতো যারা ফুটবলপ্রেমী ব্যক্তিবর্গ আছেন তাদের জন্য এই সময়টা বেশ দুর্বিষহ ছিল। কেননা এই মহামারির প্রকোপে পুরো বিশ্ব ক্রিড়াঙ্গনেই সুনসান নিরবতা দেখা দেয়। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামগুলো ক্রমশ প্রাণহীন হয়ে পরে। সকল ধরনের ফুটবল বন্ধ থাকার কারণে সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের আর্টিকেলের বিষয়বস্তু খুঁজে পেতে বেশ হিমশিম খাচ্ছিল। তখন ফিফা, উয়েফা, কনমেবলের মতো ফেডারেশনগুলো একইসাথে তাদের ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটে স্মরনীয় ফুটবল ম্যাচগুলোকে পুনরায় দেখাতে শুরু করে।

 

সেই লক্ষ্যে ঐবছরই চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেরা ৫০ গোলের তালিকা তৈরি করেছিল ফ্রান্স ফুটবল। উল্লেখযোগ্যভাবে বলতে গেলে জিনেদিন জিদান বনাম বায়ার লেভারকুসেন, মাউরো ব্রেসান বনাম বার্সেলোনা, জর্জ উইয়া বনাম বায়ার্ন মিউনিখ, চার্লস-অ্যাডওয়ার্ড করিডন বনাম পোর্তো এবং লি শার্প বনাম বার্সেলোনা গোলগুলো ছিল এককথায় অসাধারণ। কোন গোলটাকে আপনি এগিয়ে রাখবেন আর কোনটাকেই বা পিছিয়ে রাখবেন সেটা নির্ধারণ করতে আপনি দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে বাধ্য।

 

তবে অনেকটা রহস্যময়ভাবে ইস্তাম্বুল মিরাকেলের সেইরাতে হার্নান ক্রেসপোর দুর্দান্ত এবং ঠান্ডা মাথার ফিনিশিং এই তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনি। আমার মতে ক্রেসপোর এই মাস্টারপিস চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে করা অন্যতম সেরা গোলগুলোর একটি এবং অবশ্যই হেরে যাওয়া দলের কোনও খেলোয়াড়ের হিসেবেও সেরার কাতারেই থাকবে এটি। সেই রাতে লিভারপুলের অবিস্মরণীয় প্রত্যাবর্তনের কারণে ক্রেসপো তার এই অনবদ্য গোলের জন্য যথাযথভাবে প্রশংসিত হননি। তাই সময় এসেছে এটা পরিবর্তন করার।

 

ইস্তাম্বুল ফাইনালের আগে গুঞ্জন উঠেছিল ক্রেসপো হয়ত তার প্রধান ভূমিকা হারাতে চলেছেন। মিলান কোচ কার্লো আনচেলত্তি, যিনি আগের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে চেলসি থেকে ধারে আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকারকে সই করানোর জন্য ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টর আদ্রিয়ানো গালিয়ানির সাথে একপ্রকার লড়াই করেছিলেন- সেই ইতালিয়ান ভদ্রলোক ম্যাচ শুরুর আগে ক্রেসপোকে বলেছিলেন যে তিনিই শুরু করবেন, তবে এই স্ট্রাইকার ম্যাচের কয়েক দিন আগে থেকেই দলের সাথে অনুশীলন করেননি।

 

সৌভাগ্যক্রমে, ক্রেসপো সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকাখচিত মিলান দলে তার জায়গা পাকাপোক্ত করার জন্য যথেষ্ট ফিট ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের যুগে এর চেয়ে বেমানান ফাইনাল আর কি হয়েছে? মিলান দলে সেইসময়ে বর্তমান ব্যালন ডি'অর জয়ীসহ ১১ জন সুপারস্টার ছিল। এমনকি গোলরক্ষক দিদাকেও সে সময় বিশ্বমানের মনে করতেন অনেকে। কাফু, আলেসান্দ্রো নেস্তা, জাপ স্ট্যাম ও পাওলো মালদিনি ছিলেন ডিফেন্সলাইনে, মিডফিল্ডে ছিলেন জেনারো গাত্তুসো, আন্দ্রেয়া পিরলো, ক্লারেন্স সিডর্ফ ও কাকা। আক্রমণভাগে ক্রেসপো ও তৎকালীন সময়ে বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকার আন্দ্রেই শেভচেঙ্কো।

 

দলের সেরকম কোনো দুর্বলতা ছিল না, কার্লো আনচেলত্তির মতো ট্যাকটিশিয়ান ছিলেন রোসোনেরিদের ডাগআউটে- যিনি ক্রিসমাস ট্রি ফর্মেশনের মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। এতোকিছুর পরেও ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না এসি মিলানের। ২০১৫ সালে এক সাক্ষাৎকারে জেমি ক্যারাঘার হাসতে হাসতে বলেছিলেন, “আপনি সেই দলের দিকে একবার ফিরে তাকান এবং আপনি ভাবুন 'আমরা কীভাবে এটি জিতেছি?' তবে আমরা তা করে দেখিয়েছি।”

 

দলে কোয়ালিটিফুল এবং প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সমন্বিত রসায়ন এতটাই দারুণ ছিল যে রোসোনেরিদের ইস্তাম্বুলের সেই ফাইনালে অংশগ্রহণ করাটা ছিল সময়ের ব্যাপার। সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসের ক্লাব পিএসভি আইন্দহোভেনের বিপক্ষে অ্যাওয়ে লেগের স্টপেজ টাইমে ম্যাসিমো অ্যামব্রোসিনি হেডে গোল করলে তিন মৌসুমের মধ্যে দুইবারই চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে এসি মিলান। স্কুদেত্তো জেতার দৌড়ে ঐ মৌসুমে জুভেন্টাসের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের।

 

ফাইনালের গল্পটি অবশ্য নতুন করে বলার কিছু নেই, তবে প্রত্যাশা অনুসারে রোসোনেরিরা শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করেছিল এবং ম্যাচের ৪৪ তম মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় লিভারপুলের খেলোয়াড় স্টিভেন জেরার্ড তার সতীর্থ মিলান বারোসের উদ্দেশ্যে বল বাড়ান তবে সেটা ইন্টারসেপ্ট করতে সমর্থ হন আন্দ্রেয়া পিরলো। কাকার উদ্দেশ্য বল বাড়ানোর আগে কাফুর সাথে পাস খেলে নেন পিরলো।  জেরার্ড মিসপাসের জেড়ে তার নিজের ভুল শোধরাতে কাকাকে মার্ক করতে তার দিকে ছুটে গেলেন। কাকা তার স্থানে স্থিরভাবে দাঁড়িয়েছিলেন এবং পিরলোর পাসটি তার ডান গোড়ালির ভিতরে দিয়ে ক্লিপ করে জেরার্ডকে বোকা বানিয়ে বেরিয়ে যান। কাকা সেই ফাইনালে লিভারপুলকে যেন একাহাতে ধসিয়ে দিতে এসেছেন বলে মনে হচ্ছিল কেননা তখন তিনি তার ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছিলেন।

 

কাকার দৃষ্টিনন্দন থ্রুবলের জন্য লিভারপুলের ডিফেন্ডারদের মনে আতঙ্ক দেখা দেয়। তার এই থ্রুবল এতটাই নিখুঁত ছিল যে অবরুদ্ধ জেমি ক্যারাঘার এবং সামি হাইপিয়ার ব্যাকলাইন নিমেষেই ভেঙে যায় এবং ক্রেসপো তার গতির সাথে ফার্স্টটাচেই অসাধারণ ফিনিশ দেয়।

 

কয়েক বছর পর ফোরফোরটু নামক ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে ফাইনালের এই অ্যাসিস্ট নিয়ে কাকা বলেন, “এটা অবশ্যই আমার করা অন্যতম সেরা অ্যাসিস্ট- তবে এটা শুধু সৌন্দর্যের বিচারে নয় বরং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের মঞ্চ হিসেবেও। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এটা করতে পারাটা সত্যিই দারুণ অনুভূতি। কিন্তু অ্যাসিস্টটা তখনই দারুণ হবে যখন আপনার ফরোয়ার্ড গোল করতে সক্ষম হবে, তাই না? হার্নান ক্রেসপো সেই অংশটি দুর্দান্তভাবে করেছিলেন, যা সেই মুহুর্তে সৌন্দর্যের থেকেও অনেকবেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি অবশ্যই সেই পাসটি আমার স্মৃতির একটি বিশেষ জায়গায় রাখব।”

 

ক্যারাঘার মরিয়া হয়ে কাকার থ্রু বলটি ব্লক করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তবে আপনি সর্বদা নির্ভুলতার সাথে এই ধরনের দৃষ্টিনন্দন পাস আটকাতে সফল হবেন না। ডি-বক্সের প্রায় কাছেই চলে এসেছিলেন লিভারপুলের পোলিশ গোলরক্ষক জেরজি ডুডেক তবে ক্রেসপো তার উপর দিয়ে  পানেনকা স্টাইলের চিপশট মারেন। শটের সময় বলে যথেষ্ট ব্যাকস্পিন রেখেছিলেন ক্রেসপো যার কারণে ডুডেককে অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়। তার এই ব্যাকস্পিন ইংল্যান্ডের পেশাদার স্নুকার খেলোয়াড় রনি ও'সুলিভানকেও মুগ্ধ করবে। বলটি মাটিতে আঘাত করার সাথে সাথে বলের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে জালে প্রবেশ করে। ক্রেসপো বলেন, 'এটা সম্ভবত আমার করা অন্যতম সেরা গোল।

 

মোট ছয়টি পাসে নিজেদের ডিফেন্স থেকে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে, যার মধ্যে তিনটি পাসই আবার দুর্দান্ত। এর থেকে সুবিন্যস্ত আক্রমণ ও পারফেক্ট ফিনিশিং দ্বিতীয়টা হতে পারে না। চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালের অন্যান্য বিখ্যাত গোলগুলো অনুমাননির্ভর ছিল (যেমন- জিনেদিন জিদান এবং গ্যারেথ বেল) তবে ক্রেসপোর গোলের পুরোটাই ছিল নিয়ন্ত্রিত এবং সুন্দর ফুটবলের উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। আইটিভির ধারাভাষ্যকর ক্লাইভ টাইলডেসলি বলেছিলেন,“এসি মিলান এই বিশ্বের বাইরে ফুটবল খেলছে।” ক্যারাঘার বর্তমান সময়ে এসে ক্রেসপোর সেই গোলের প্রশংসা করতে গিয়ে অকপটে স্বীকার করেন এটা ছিল নিখুঁত ফুটবলিং বর্বরতা।

 

ফিনিশিং ক্রেসপোকে স্ট্রাইকার হিসেবে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। যদিও প্রায়শই পিপ্পো ইনজাঘির ছাঁচে শিকারি হিসাবে টাইপকাস্ট করা হয়েছিল তাকে কিন্তু তিনি আরও বৈচিত্র্যময় ফিনিশার ছিলেন। তবে ক্রেসপো সবসময় আড়ালেই থেকে গেছেন কারণ তার সময়ে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার মতো স্ট্রাইকার ছিল আর্জেন্টিনাতে এবং শেভচেঙ্কোর মতো খেলোয়াড় অসাধারণ পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছিল প্রতিনিয়ত। ক্রেসপো সেই মৌসুমে মিলানের হয়ে ১৭ গোল করেছিলেন, যার মধ্যে রাউন্ড অফ ১৬-তে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হোম এবং অ্যাওয়ে উভয়লেগেই গোল করেছিলেন। এতে করে নিসন্দেহে বলা যায় তাকে ইতালিতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আনচেলত্তির ডিসিশন ছিল ন্যায়সঙ্গত।

 

২০১৮ সালে ক্রেসপো এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “দ্বিতীয়ার্ধে কী ঘটেছিল তা ব্যাখ্যা করা কঠিন। আমরা হয়ত লিভারপুলের ফিরে আসার ঐ ছয় মিনিট নিয়ে কথা বলছি, কিন্তু এ কারণেই ফুটবল সুন্দর।” ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে খেলা যখন ৩-৩ গোলের সমতায় তখন হার্নান ক্রেসপোর বদলি হিসেবে নামানো হয় জন-ডাহল টমাসনকে। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ক্রেসপো আরও বলেন,“অতিরিক্ত সময়ে শেভচেঙ্কো যখন তার সুযোগ হাতছাড়া করেছিল তখন আমি ভেবেছিলাম এই ফাইনাল হয়ত আমরা জিতছি না। যদি সেই সুযোগটি গাট্টুসো হাতছাড়া করতেন তাহলে আপনি বলতে পারতেন- 'ঠিক আছে, এটা তার কাজ নয়'। কিন্তু এটা ছিল শেভচেঙ্কো। ডুডেকের সেই সেভটি সত্যিই অসাধারণ ছিল।"

 

ফাইনালে ক্রেসপোর গোলটি ছিল মিলানের হয়ে তার করা শেষ গোল। পিরলো ও গাত্তুসোর মতো তিনিও ইস্তাম্বুলের ঐ ফাইনালের পর খেলা থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। ক্রেসপো বলেন, “আমি আমার জীবনের অন্যতম সেরা ম্যাচ খেলেছি কিন্তু তা আমার প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। এটি আমার মানসিকতায় সত্যিকার অর্থে বেশ প্রভাব ফেলে। সেই মুহূর্তে আমি বলেছিলাম, আমি থামতে চাই এবং আর খেলতে চাই না।”

 

সেই ক্ষত শুকানোর সুযোগ হয়নি তাঁর। দুই বছর পর এথেন্সে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে মিলান যখন লিভারপুলের বিপক্ষে প্রতিশোধ নিয়েছিল, তখন ক্রেসপো খেলছিলেন নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টারের হয়ে। সিরি আ'র সঙ্গে যুক্ত একজন খেলোয়াড়ের বেলায় এটা ভাবতে অবাক লাগে যে ইউরোপে তার প্রথম লীগ শিরোপা ইংল্যান্ডে থাকাকালীন সময়ে এসেছিল, যেখানে তিনি ২০০৫-০৬ মৌসুমে চেলসির হয়ে হোসে মরিনহোর দ্বিতীয় শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন।

 

তবুও তিনি ইতালিতে জীবনযাপনের জন্য ব্যাকুল হয়ে পরেছিলেন এবং সেই গ্রীষ্মে ইন্টারে যোগ দিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে মিলান যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল, তখন ইস্তাম্বুলে ক্রেসপোর সেই অবদান ভক্তরা ভুলে যায়নি। ক্রেসপো বলেন,“ফাইনাল শেষ হওয়ার দশ মিনিট পরে মিলান যখন তাদের প্রতিশোধ নিয়েছিল তখন আমি ছেলেদের কাছ থেকে প্রচুর কল পেয়েছিলাম। তারা আমাকে বলেছিল 'তোমার এটা প্রাপ্য ছিল' এবং 'এটি তোমার জন্য' এবং আমি সেই মুহূর্তে ইন্টারের হয়ে খেলছিলাম - এটি এককথায় বলতে গেলে পাগলামি। আমি ক্লাব এবং সমর্থকদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে মনে রেখেছে।”

 

ক্রেসপো কখনো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে না পারলেও আমার চোখে ২০০৫ সালের ফাইনালে তার করা দ্বিতীয় গোলটি সেরা।