• ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    জয়েই কুককে বিদায় বললেন অ্যান্ডারসনরা

    জয়েই কুককে বিদায় বললেন অ্যান্ডারসনরা    

    পঞ্চম টেস্ট, ওভাল
    ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ৩৩২ (বাটলার ৮৯, কুক ৭১, জাদেজা ৪/৭৯, ইশান্ত ৩/৬২) ও ২য় ইনিংস ৪২৩/৮ ডিক্লে. (কুক ৪৬*, রুট ২৯*, জাদেজা ১/৩৬)
    ভারত ১ম ইনিংস ২৯২ (জাদেজা ৮৬*, বিহারি ৫৬, অ্যান্ডারসন ২/৫৪, মইন ২/৫০) ও ২য় ইনিংস ৩৪৫ (রাহুল ১৪৯, পান্ট ১১৪, অ্যান্ডারসন ৩/৪৫) 
    ইংল্যান্ড ১১৮ রানে জয়ী ও সিরিজ ৪-১ এ জয়ী 


    জেমস অ্যান্ডারসন তার স্পেলের ১৪তম ওভারে। গ্লেন ম্যাকগ্রাকে ছাড়িয়ে টেস্ট ইতিহাসের সেরা পেসার হতে তার প্রয়োজন এক উইকেট, এ সিরিজেও বাকি ওই এক উইকেটই। ‘দ্য পারফেক্ট জিমি’ ডেলিভারিতে বোল্ড মোহাম্মদ শামি, সিরিজ আগেই জিতেছে ইংল্যান্ড, এবার জিতল টেস্ট, অ্যান্ডারসন গড়লেন রেকর্ড। 

    তবে এরপর যেন ওভালের দর্শকরা বা ব্রডকাস্টারের ক্যামেরাম্যানরা ধন্দ্বে পড়ে গেলেন, অ্যান্ডারসনের জন্য খুশি হবেন, নাকি মন ভারাক্রান্ত হবে আরেক কিংবন্তির জন্য! একজনের রেকর্ড, আরেকজনের শেষ টেস্ট! অতি আনন্দেও নাকি মানুষ কাঁদে। এখানেও জিতলো তাই অশ্রুই, আনন্দাশ্রু! ইয়ান ওয়ার্ডকে এরপর সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে সমাধানটা দিলেন যেন অ্যান্ডারসন নিজেই, “আমি খুশি সে এ উইকেটটা দেখে যেতে পারলো মাঠ থেকে ….”, অ্যান্ডারসনের কথা শেষ হলো না। 

    ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজটা শুধু শেষ হয়ে গেল। সঙ্গে শেষ হলো অ্যালেস্টার কুকের ক্যারিয়ারও। 

     

     

    এর আগে রোমাঞ্চকর এক সিরিজের শেষদিনটাও রোমাঞ্চকর বানিয়েছিলেন দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যান- লোকেশ রাহুল, ঋশাভ পান্ট। আগেরদিন সিরিজে সর্বোচ্চ স্কোরটা গড়েছিলেন রাহুল, এদিন পূরণ করলেন সেঞ্চুরি। সকালে মইনের বলে রাহানের মিসহিটে আউটের পর শূন্যতেই ফিরেছিলেন বিহারি। 

    রাহুল-পান্টের লড়াই শুরু এরপরই। ডিউক বলটা পুরোনো হয়ে গেলে ব্যাটিং একটু সহজ ছিল এদিনও, রাহুল-পান্ট তুললেন পুরো ফায়দাটাই। ফিফটি, সেঞ্চুরি- পেলেন দুজনই। দ্বিতীয় সেশনে দুজন মিলে ৩০ ওভারে তুললেন ১২১ রান। পান্ট প্রথম ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে পেলেন চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরি। দুজনের জুটিতে এলো ২০৪ রান। 

    দ্বিতীয় নতুন বলটা নিতে ইংল্যান্ড অপেক্ষা করলো ১০ ওভারের বেশি। যেন একটা উইকেটের অপেক্ষাতেই ছিলেন জো রুট। সেটা এনে দিলেন আদিল রশিদ। সিরিজের অন্যতম সেরা এক ডেলিভারিতে। ফুট-হোলগুলো লক্ষ্য করে বল করে যাচ্ছিলেন রশিদ, পারফেক্ট বলটা পেয়ে গেলেন তাতেই। প্রায় দশ ডিগ্রি ঘুরে রাহুলের অফস্টাম্প ভাঙলো সেটা, ভারতের আশাটাও যেন চুপসে গেল সেখানেই। 

     

     

    শেষ সেশনেও রাহুল-পান্টের ব্যাটিংয়ের ধরনের অনুবাদ ছিল একটাই- জয়ের জন্যই খেলছে ভারত। শেষ সেশনেও সম্ভব ছিল তিন ধরনের ফলই। 

    রশিদেই শেষ হলো পান্টের ইনিংস। গুগলি পড়তে পারলেন না। এরপর কারান এসে দ্রুত ফেরালেন রবীন্দ্র জাদেজা ও ইশান্ত শর্মাকে, দুজনই কট-বিহাইন্ড। রশিদ-কারান একপ্রান্ত থেকে, আরেক প্রান্ত থেকে তখনও টানা বোলিং করে যাচ্ছেন অ্যান্ডারসন। 

    প্রিয় বন্ধুকে শেষে এসে নিজের রেকর্ডটাই হয়তো উপহার দিলেন অ্যান্ডারসন। আর ইংল্যান্ড টেস্ট জয়ে তাদের ব্যাটিং কিংবদন্তিকে দিল শ্রদ্ধার্ঘ্য!