• অস্ট্রেলিয়ার আরব আমিরাত সফর
  • " />

     

    অস্ট্রেলিয়ার সামনে সারা দিন, পাকিস্তানের সামনে ৭ উইকেট

    অস্ট্রেলিয়ার সামনে সারা দিন, পাকিস্তানের সামনে ৭ উইকেট    

    দুবাই টেস্ট
    টস- পাকিস্তান (ব্যাটিং) 
    চতুর্থ দিনশেষে 
    পাকিস্তান ১ম ইনিংস ৪৮২ (হাফিজ ১২৬, হারিস ১১০, শফিক ৮০, সিডল ৩/৫৬, লায়ন ২/১১৪) ও ২য় ইনিংস ১৮১/৬ ডিক্লে. (ইমাম ৪৮, শফিক ৪১, হল্যান্ড ৩/৮৩) 
    অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ২০২ (খাওয়াজা ৮৫, ফিঞ্চ ৬২, বিলাল ৬/৩৬, আব্বাস ৪/২৯) ও ২য় ইনিংস* ১৩৬/৩ (খাওয়াজা ৫০, ফিঞ্চ ৪৯*, আব্বাস ৩/২৬)
    জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ৭ উইকেটে ৩২৬ রান প্রয়োজন 



    লক্ষ্য যেটাই হোক, অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল প্রায় দেড় দিন ব্যাটিং করা। অর্ধেক দিনের কাজটা অস্ট্রেলিয়া করে রাখলো, বাকি রইল একদিন। তবে এক ৮৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলেছেন মোহাম্মদ আব্বাস, ট্রাভিস হেডকে সঙ্গে নিয়ে সেটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন উসমান খাওয়াজা। আর শেষদিনে অস্ট্রেলিয়াকে অল-আউট করতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ৭ উইকেট, আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা চতুর্থ জয়টাও তাহলে পেয়ে যাবে তারা। 

    আগের দিন তিন উইকেট হারানো পাকিস্তানকে শুরুতে এগিয়ে দিয়েছিল ইমাম-উল-হক ও হারিস সোহেলের ৬৫ রানের জুটি। প্রথম ইনিংসের ফর্মটা টেনে এনেছিলেন দুজনই, একই রানে দাঁড়িয়ে আউট হয়েছেন তারা। ৪৮ রান করে জন হল্যান্ডকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন ইমাম, ল্যাবুশেনের বলে এলবিডব্লিউ হওয়য়ার আগে হারিস করেছেন ৩৯। 

    জোড়া আঘাতের পর পাকিস্তান লিডটাকে বাড়িয়ে নিয়েছে আসাদ শফিক ও বাবর আজমের ব্যাটিংয়ে। দ্রুত রান তোলার চেষ্টার করছিলেন শফিক, সফলও হয়েছেন অনেকখানিই। ৫৬ বলে ৪৩ রান করে ন্যাথান লায়নকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে মিচেল মার্শের হাতে ধরা পড়েছেন, সরফরাজ ৪৬১ রানের লিডকেই মনে করেছেন যথেষ্ট। 

    খাওয়াজা-ফিঞ্চের শুরুটা ছিল প্রথম ইনিংসের মতোই। ওপেনিং জুটিতেই দুজন তুলেছেন ৮৭ রান। অস্ট্রেলিয়ার দারুণ শুরুটা ম্লান করে দিয়েছেন আব্বাস। শুরুতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন ফিঞ্চকে, ব্যাটটা ঠিক সময়ে নামাতে পারেননি তিনি। রিভিউ নিয়েছিলেন, কাজে আসেনি। 

    দুই বল পর আব্বাস সফল আবার। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে এজড হয়েছেন শন মার্শ, পাকিস্তানকে দারুণ এক ওভার এনে দিয়েছেন আব্বাস। থামেননি সেখানে, পরের ওভারে এসে ফিরিয়েছেন আরেক মার্শ মিচেলকেও। ফুললেংথের বলে তিনি হয়েছেন এলবিডব্লিউ, উইকেটটা পাকিস্তান পেয়েছে রিভিউ নিয়ে। 

    আগের ইনিংসে শূন্যতে ফেরা ট্রাভিস হেড দাঁড়িয়েছিলেন পেয়ার-এর সামনে, ১২ বল ধরে। সে শঙ্কা কাটিয়েছেন, দিনের বাকিটা সময় খাওয়াজাকে দিয়েছেন দারুণ সঙ্গ। খাওয়াজা যেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন এশিয়াতে, ছিলেন বেশ দৃঢ়। দিনশেষে তিনি অপরাজিত ৫০ রানে। 

    প্রথম ইনিংসে ৬০ রানের ব্যবধানে ১০ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, শেষদিনে এমন কিছুর বিলাসিতা দেখাতে পারবে না তারা। বরং করতে হবে ৯০ ওভার ব্যাটিংয়ের মতো কঠিন কাজটা। খাওয়াজা বা কারও ব্যাটে কি ড্র পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে অস্ট্রেলিয়া?