এবাদতের ৫ উইকেট, সৌম্যর সেঞ্চুরিতে বিধ্বস্ত জিম্বাবুইয়ানরা
প্রস্তুতি ম্যাচ, বিকেএসপি
জিম্বাবুইয়ান ১৭৮ অল-আউট, ৪৫.২ ওভার (মাসাকাদজা ১০২*, চিগুম্বুরা ৪৭, এবাদত ৫/১৯, সাইফ উদ্দিন ৩/৩২)
বিসিবি একাদশ ১৮১/২, ৩৯ ওভার (সৌম্য ১০২*, মোসাদ্দেক ৩৩, রাজা ১/২১)
বিসিবি একাদশ ৮ উইকেটে জয়ী
এবাদত হোসেনের ১৯ রানে ৫ উইকেট, সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের ৩২ রানে ৩ উইকেটে জিম্বাবুইয়ানদের ১৭৮ রানে বেঁধে ফেলার পর সৌম্য সরকারের ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংসে প্রস্তুতি ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে বিসিবি একাদশ। বিকেএসপিতে সৌম্যর দল জিতেছে ১১ ওভার বাকি থাকতেই।
২১ তারিখ শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজের আগে জিম্বাবুয়ের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল এটিই। আর বাংলাদেশ স্কোয়াডে থাকা তিনজন খেলেছেন এ ম্যাচে- প্রথমবার জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ওপেনার ফজলে রাব্বি ও ফিরে আসা সাইফ উদ্দিনের সঙ্গে আরিফুল হক।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুইয়ানদের স্কোরকার্ডটা ছিল অদ্ভুত। অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা করেছেন ১০২ রান, দলের রান ১৭৮। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন তিনি, এবাদতের পঞ্চম শিকার হয়ে। মাসাকাদজা ছাড়া দুই অংক ছুঁয়েছেন শুধু আর একজন- এল্টন চিগুম্বুরা, তিনি করেছেন ৪৭ রান।
৪৭ রানেই ৫ উইকেট পড়েছিল জিম্বাবুইয়ানদের। ক্রেইগ এরভিন, ব্রেন্ডন টেইলর, শেন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর- পাঁচজনই ফিরেছেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। এরভিন ও উইলিয়ামসের উইকেট নিয়েছেন এবাদত, টেইলরকে এলবিডব্লিউ করেছেন সাইফ উদ্দিন, ইমরান আলির বলে ক্যাচ দিয়েছেন মুর।
জিম্বাবুইয়ানদের এরপর অনেকখানি টেনেছেন মাসাকাদজা ও চিগুম্বুরা। ৬ষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেছেন ১২৪ রান। চিগুম্বুরাকে বোল্ড করে ব্রেকথ্রু দিয়েছেন সাইফ উদ্দিন, এরপর আবার নাটকীয় ধস নেমেছে জিম্বাবুইয়ানদের ইনিংসে। ৭ রানের ব্যবধানে পড়েছে শেষ ৫ উইকেট। এর মাঝে এবাদত নিয়েছেন ৩টি, সাইফ উদ্দিন ২টি। ২৮ বল বাকি থাকতেই অল-আউট হয়ে গেছে জিম্বাবুইয়ানরা।
বিসিবি একাদশের হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন মিজানুর রহমান ও ফজলে রাব্বি। প্রথম জনের দলে ঢোকার ব্যাপারে কথা হচ্ছিল, আর দ্বিতীয় জন সুযোগ পেয়েই গেছেন। অবশ্য প্রস্তুতি ম্যাচে কেউই ব্যাটিংয়ের সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি।
৮ রান করে রান-আউট হয়েছেন মিজানুর, আর ৩৪ বলে ১৩ রান করে রাজার বলে ক্যাচ দিয়েছেন রাব্বি। তার আগেই ঝলক শুরু করেছেন সৌম্য। ১১৪ বলে ১৩ চার ও ১ ছয়ে ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য। জাতীয় লিগে জোড়া ফিফটির সঙ্গে পাঁচ উইকেট নেওয়া পারফরম্যান্সের পর এখানেও দিলেন ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত।
৩৩ রান করে উঠে গেছেন মোসাদ্দেক, ১৮ বলে ৯ রান করে জয়ের সময় অপরাজিত ছিলেন আরিফুল হক। প্রস্তুতি ম্যাচ বলে বোলিংয়ের প্রস্তুতির সুযোগ পেয়েছেন প্রায় সবাই, দুই দলেই বোলিং করেছেন নয়জন করে।