• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    দুর্দান্ত ওজিলে আর্সেনালের দশে দশ

    দুর্দান্ত ওজিলে আর্সেনালের দশে দশ    

     

    ওয়েঙ্গারের বিদায়ের পর আর্সেনালের দায়িত্ব নিয়ে ‘নতুন দিনের’ স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি। উনাই এমেরি সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন বেশ ভালমতোই। পিছিয়ে পড়েও মেজুত ওজিলের দুর্দান্ত এক পারফরম্যান্সের রাতে লেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টানা ১০ ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেল আর্সেনাল।

    ম্যাচের শুরু থেকেই আর্সেনাল রক্ষণকে চাপে রেখেছিল ফক্সরা। কেলেচি আইহেনাচোর বেশ কয়েকটি শট ঠেকিয়ে দেন আর্সেনাল কিপার। পেনাল্টিও পেতে পারত লেস্টার, রব হোল্ডিং হ্যান্ডবল করলেও রেফারি সেটা আমলে নেননি। ৩১ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে লেস্টারকে এগিয়ে দেন আর্সেনালের বেলেরিন। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে ক্রস করেছিলেন বেন চিলওয়েল, সেই ক্রস বেলেরিনের পায়ে লেগে জালে ঢোকে।

    বিরতির ঠিক আগে সমতা ফেরান ওজিল। আত্মঘাতী গোল করা বেলেরিনের পাস থেকে বল পেয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান। এই গোলে একটি রেকর্ডও করেছেন ওজিল। প্রিমিয়ার লিগে জার্মান ফুটবলারদের মাঝে তিনিই এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা, গোল পেয়েছেন ৩০টি। শেষ চার ম্যাচে এটি তার তৃতীয় গোল।

    এই মৌসুমে নিজেদের ১৯ গোলের ১৪টিই দ্বিতীয়ার্ধে করেছেন আর্সেনাল। লেস্টারের বিপক্ষেও দ্বিতীয়ার্ধে দেখা গেল আরও ভয়ংকর আর্সেনালকে। হেনরিখ মিখিতারিয়ান দুইবার গোলের সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেছেন। ৬৩ মিনিটে আর্সেনালকে এগিয়ে দেন পিয়েরে অবামিয়াং। এই গোলও এসেছে বেলেরিনের পাস থেকে।

    আর্সেনালের তৃতীয় গোলটা ছিল দেখার মতো। লেনো পাস দিয়েছিলেন ডিফেন্ডারকে। সেই বল একে একে বেশ কয়েকজন আর্সেনাল ফুটবলারের পা হয়ে ঢোকে লেস্টারের বক্সে। দারুণ পাসিং ফুটবলের প্রদর্শনী দেখিয়ে গোলটি করে এমেরির দল। শেষ পাসটি এসেছে ওজিলের পা থেকে, বক্সের ভেতর আলতোভাবে পা লাগিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন অবামিয়াং। ৭৮ মিনিটে লাকাজেত গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। শেষ মিনিটে র‍্যাকিড গেজালের শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন লেনো। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে গানার্সরা।

    ২০০৭ সালের পর এই প্রথমবার সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে টানা ১০ ম্যাচে জিতল আর্সেনাল। সেবার টানা ১২ ম্যাচ জিতেছিল ওয়েঙ্গারের দল। লিগে ৯ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এলো আর্সেনাল।