• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    মুশফিকের কিপিং করার কারণটা বলতে চাইলেন না কোচ

    মুশফিকের কিপিং করার কারণটা বলতে চাইলেন না কোচ    

    অনুশীলনের প্রথম দিনেই মুশফিকুর রহিমকে দেখা গিয়েছিল উইকেটের পেছনে।প্রথম টেস্টে যে তাঁকেই গ্লাভস হাতে দেখা যাবে, সেটা পরশুই নিশ্চিত করেছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার। আজ জাতীয় দলের কোচ স্টিভ রোডসও বললেন, মুশফিকই থাকছেন উইকেটকিপার। কিন্তু কেন সিদ্ধান্তটা নেওয়া হলো, প্রশ্নের জবাবে রোডস বললেন, ব্যাপারটা তাঁর ও মুশফিকের মধ্যে। সেটি তিনি বাইরে প্রকাশ করতে চান না।

    গত বছরের শুরু পর্যন্তও টেস্টেও কিপিংটা মুশফিকই করে আসছিলেন। তবে মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে সেটি উঠল লিটন দাসের হাতে, এরপর এই বছরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নুরুল হাসান সোহান খেলেছেন স্পেশালিস্ট কিপার হিসেবে। সোহান এখন দলের বাইরে, তামিম না থাকায় লিটন নামবেন ওপেনার হিসেবে। দলের ভারসাম্যের কথা চিন্তা করেই মুশফিক আবার গ্লাভস পেয়েছেন, সেটি পরশুই জানিয়েছিলেন হাবিবুল বাশার। তবে রোডস কারণটা বললেন না, ‘মুশিই উইকেটের পেছনে থাকবে। এই মুহূর্তে এটাই আমাদের পরিকল্পনা। আর যদি কোনো কারণে ওর সমস্যা হয় তাহলে মিঠুন আর লিটন তো ব্যাকআপ হিসেবে আছেই।’

    এমনিতে মুশফিকের গ্লাভস হাতে উঠলে ব্যাটিংটাও যে ভালো হয়, সেই সাক্ষ্য দেয় পরিসংখ্যানও। ৬২ টেস্টে ক্যারিয়ার গড় ৩৪.২৫, উইকেটকিপার হয়ে খেলা ৫০ টেস্টে সেটি ৩৬.৬০। তাহলে কি মুশফিকই চেয়েছিলেন ফিরতে, নাকি অন্য কোনো কারণ আছে? রোডস অবশ্য ব্যাপারটা গোপনই রাখতে চাইলেন, ‘এটা গোপন। আমি এটা নিয়ে মুশফিকের সঙ্গে কাজ করছি। আমি খুবই খুশি মুশি আবার উইকেটের পেছনে ফিরছে। সে এশিয়া কাপেই ফিরেছিল, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজেও কিপিং করেছে। ওর পারফরম্যান্সেও আমি বেশ সন্তুষ্ট। সে খুবই প্রতিভাবান একজন ক্রিকেটার, অনেক অভিজ্ঞ, উইকেটের পেছনেও সে লড়াকু। এই জায়গায় ও খুবই আদর্শ একজন।’