• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    দুর্দান্ত সিটি, পিছু ছাড়ছে না চেলসি

    দুর্দান্ত সিটি, পিছু ছাড়ছে না চেলসি    

    সাউদাম্পটন উড়েই গেছে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে। চেলসিও ক্রিস্টাল প্যালেসকে পাত্তা দেয়নি, জিতেছে ৩-১ গোলে। আগের রাতে লিভারপুল ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে। প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ ৩ দল রয়ে গেছে অপরাজিত। ১৯৯৭৮-৭৯ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো ঘটল এমন ঘটনা। সবার ওপরে সিটি, চেলসির চেয়ে দুই পয়েন্টে এগিয়ে তারা। দুইয়ে আছে চেলসি গোলব্যবধানে এগিয়ে। গোলব্যবধানে অবশ্য সিটির ধারে কাছে নেই কেউ। সাউদাম্পটনকে ৬-১ গোলে হারিয়ে সেই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। 

    ইতিহাদে শুরু থেকেই ঝড় চলেছে সাউদাম্পটনের ওপর। ১৮ মিনিটের ভেতরই সিটিজেনরা দিয়েছে ৩ গোল। ৬ মিনিটে ওয়েসলি হোয়েট লিরয় সানের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের জালেই ঢুকিয়ে দেন বল। এরপর ১২ মিনিটে সার্জিও আগুয়েরো গোল করেন ডিবক্সের ভেতর থেকে, রাহিম স্টার্লিংয়ের ক্রসে ডান পায়ের ফিনিশে। ডেভিড সিলভার তৃতীয় গোলেও অবদান সানের। সিলভার গোলও ডিবক্সের ভেতর থেকেই।


    পুরো ম্যাচে সিটির অস্বস্তির একটাই কারণ ছিল। গোলরক্ষক এডারসন মোরায়েসকে বেশ কয়েকবার ধুঁকতে হয়েছে। প্রথমার্ধে অবশ্য একবারই ভুল করেছিলেন, সাউদাম্পটনকে পেনাল্টি উপহার দিয়ে। তিন গোলে এগিয়ে থেকেও গার্দিওলা তাতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ডাগ আউটে। লিগে এডারসন গোল হজম করেছেন ৫ ম্যাচ পর। ড্যানি ইংস ২৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে শোধ করেন এক গোল।

    প্রথমার্ধেই ইতিহাদ দেখেছে ৫ গোল। রাহিম স্টার্লিং দুই প্রান্তেই গোল পেয়েছেন। দুইটিই আগুয়েরোর অ্যাসিস্ট থেকে। প্রথমার্ধের শেষদিকে করেছেন প্রথম গোল, আগুয়েরো ক্রস করেছিলেন, বাকি কাজ সেরেছেন স্টার্লিং। প্রথম শট মিস করেছিলেন, পরের বারে পেয়েছেন গোল। ৬৭ মিনিটে আগুয়েরোর থ্রু পাস থেকে কোণাকুণি শট করে স্টার্লিং সিটির পঞ্চম গোল। এর আগেই অবশ্য বারপোস্টে আটকে যায়  সানের বুলেট গতির শট। শেষ পর্যন্ত সানে গোলবঞ্চিত হননি। ইনজুরি সময়ে গিয়ে তিনিও নাম লেখার স্কোরশিটে। 

    স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসিকে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি জিততে। আলভারো মোরাতা টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল পেয়েছেন, করেছেন জোড়া গোল। ৩২ মিনিটে পেদ্রোর ক্রস প্রথমে রিসিভ করে, পরের শটে গোল করে চেলসি এগিয়ে নিয়েছিলেন মোরাতা। ৫৩ মিনিটে টাউনসেন্ড  স্রোতের বিপরীতেই সমতা আনেন ম্যাচে। পরে বদলি নেমে মোরাতার দ্বিতীয় গোল পেতে সাহায্য করেন এডেন হ্যাজার্ড। ৭০ মিনিটে পেদ্রোর গোলে নিশ্চিত হয় চেলসির জয়।