• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    লুকাকুর বিশ্বকাপে 'মুটিয়ে' যাওয়ার আক্ষেপ

    লুকাকুর বিশ্বকাপে 'মুটিয়ে' যাওয়ার আক্ষেপ    

     

    উচ্চতা ও ‘মাসলের’ কারণে অন্য দশজন থেকে রোমেলু লুকাকুকে আলাদা করা যায় অনায়াসেই। বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের হয়ে সময়টা দারুণ কেটেছিল লুকাকুর, দলকে প্রথমবারের মতো নিয়ে গিয়েছিলেন সেমিফাইনালে। সেই সাফল্যের মাঝেও খানিকটা দুশ্চিন্তা যোগ হয়েছিল তার। লুকাকু বলছেন, রাশিয়াতে একটু বেশিই মুটিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রিমিয়ার লিগের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য তাই বাধ্য হয়েই ওজন কমাতে হয়েছে তাঁকে।

    গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে লুকাকু নিজের প্রথম মৌসুমে করেছিলেন ২৭ গোল। এরপর বিশ্বকাপেও বেলজিয়ামের হয়ে ছিলেন দারুণ ফর্মে, সব মিলিয়ে করেছিলেন চার গোল। কিন্তু নতুন মৌসুম শুরুর পর থেকেই গোলখরায় ভুগছেন, এখন পর্যন্ত করেছেন মাত্র ৬ গোল।

    লুকাকু মনে করেন, বিশ্বকাপে তার শরীরের যে অবস্থা ছিল, সেটার জন্য লিগের গতির সাথে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না, ‘বিশ্বকাপটা দারুণ কেটেছিল। কিন্তু সেখান থেকে যখন ইউনাইটেডে ফিরে আসি, ততদিনে ওজনটা অনেক বেড়ে গেছে আমার। সেটা নিয়ে এখানে ভালো খেলা সম্ভব না, এটা তখনই বুঝতে পারি। আর এসবের জন্য আমার শরীরে অনেক সমস্যাও দেখা দিচ্ছিল, হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিও হয়েছিল, যা ক্যারিয়ারে কখনোই হয়নি।’

    কীভাবে কমিয়েছেন বাড়তি ওজন? লুকাকু জানালেন সেই রহস্যই, ‘মাসল যেন না বাড়ে, এজন্য জিম থেকে কিছুটা দূরে ছিলাম। অনেক বেশি পানি পান করতাম, সবজি ও মাছ খেয়েছি প্রচুর, এটা ভালো কাজে দিয়েছে। যেমন ফিটনেস চেয়েছিলাম, সেটা ধীরে ধীরে ফিরে পেয়েছি।’

    ওজন কমানর ফলটাও হাতেনাতে পাচ্ছেন লুকাকু। ইউনাইটেডের হয়ে ১২ ম্যাচের গোলখরা কেটেছে। সাউদাম্পটন ও ফুলহামের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচেই গোল পেয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপের মতো হয়ত আর মুটিয়ে যেতে চাইবেন না কখনোই।