• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ ২০১৮
  • " />

     

    রনি-আশরাফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরি, আরেকদিকে বোলারদের দাপট

    রনি-আশরাফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরি, আরেকদিকে বোলারদের দাপট    

    বিসিএল চতুর্থ রাউন্ড, ১ম দিনশেষে 
    ইস্ট জোন (বিপক্ষ নর্থ জোন) ১ম ইনিংস ৩৫৪/৩* (রনি ১৮৩*, আশরাফুল ১০৭*) 
    সেন্ট্রাল জোন (বিপক্ষ সাউথ জোন) ১ম ইনিংস ২৩৪/৮* (সাদমান ৬০, আল-আমিন ৩/৫১) 


    বিসিএলে দুই ম্যাচে বিপরীতমুখী দিন গেছে চতুর্থ রাউন্ডের শুরুতে। রাজশাহীতে নর্থ জোনের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে রনি তালুকদার ও মোহাম্মদ আশরাফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরির সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ২৪১ রানের জুটিতে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের পথে এগুচ্ছে ইস্ট জোন। চট্টগ্রামে সেন্ট্রাল জোন ২৩৪ রান তুলতে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে সাউথ জোনের বিপক্ষে।  

    টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া নর্থ জোন সফল হয়েছিল দ্বিতীয় ওভারেই, ইমরান আলির বলে শুন্যতে বোল্ড হয়েছিলেন সাদিকুর রহমান। বিসিএলে এবারের আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মুমিনুল হক করেছেন ২৬, সোহাগ গাজির বলে স্টাম্পড হওয়ার আগে। তৃতীয় উইকেটে রনি তালুকদারের সঙ্গে মাহমুদুল হাসানের জুটি ৭২ রানের, সানজামুলের বলে কট-বিহাইন্ড হওয়ার আগে মাহমুদুল করেছেন ২৯। ১১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ভালভাবেই ছিল নর্থ জোন। 

    রনির সঙ্গে এরপর যোগ দিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ৮২ বলে ফিফটি পূর্ণ করা রনি সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ১৪৭ বলে, চা-বিরতির পর। ক্যারিয়ারে এটি দশম সেঞ্চুরি এই ডানহাতির। তবে ক্যারিয়ারের ‘অলিখিত নিয়ম’ মেনে এটিকেও টানছেন তিনি, ১০ সেঞ্চুরির ৬টিকেই রনি নিয়ে গেলেন ১৫০-ছাড়িয়ে। দিনশেষে রনির রান ১৮৩, এর মধ্যে বাউন্ডারিতেই করেছেন ১০৬ রান, ১৯টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছয়। 

    ৯৭ বলে ফিফটি করেছিলেন আশরাফুল, সেঞ্চুরি করতে খেলেছেন ১৮৩ বলে। প্রথম শ্রেণিতে এটি তার ২০তম সেঞ্চুরি, ২০১৭ জাতীয় লিগের পর প্রথম। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত আছেন ১৩ চারে ১৮৬ বলে ১০৪ রানে। 

    চট্টগ্রামে টসে জিতেছিল সাউথ জোন, দিনজুড়েই তারা পেয়েছে সাফল্য। শুরুতে ১৬ রানের ভেতর ফিরেছেন পিনাক ঘোষ ও আব্দুল মজিদ, পিনাক মেহেদি হাসানের বলে বোল্ড হয়েছেন ৯ রানে, শুন্যতেই আল-আমিনের বলে ক্যাচ দিয়েছেন মজিদ। তৃতীয় উইকেটে সাদমান ইসলাম ও মার্শাল আইয়ুবের ৮৬ রানের জুটি ধাতস্থ করেছিল সেন্ট্রাল জোনকে। আব্দুর রাজ্জাক এসে ভেঙেছেন সে জুটি, তার বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে মার্শাল করেছেন ৪৪ রান। 

    ৬০ রান করে সাদমান হয়েছেন রান-আউট, ১২৭ রানের মাথায়। শুভাগত হোম এরপর করেছেন ২৭, জাকের আলি ১৯। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই- রাজ্জাকের বলে শুভাগত দিয়েছেন ক্যাচ, মেহেদির বলে জাকের হয়েছেন স্টাম্পড। 

    তাইবুর রহমান ও মোশাররফ হোসেনের জুটিতে উঠেছে ৫৮ রান, আল-আমিন জোড়া আঘাত করার আগে। মোশাররফ এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে করেছেন ২১, শুন্যতে কট-বিহাইন্ড রবিউল হক। তাইবুর অপরাজিত আছেন ৪৩ রানে।