সাউথের ঘুরে দাঁড়ানো জয়, ড্র ম্যাচে মুমিনুলের ১৯৪
বিসিএল চতুর্থ রাউন্ড
চট্টগ্রাম
সেন্ট্রাল জোন ১ম ইনিংস ২৬১ (তাইবুর ৬৮, সাদমান ৬০, মেহেদি ৩/৫০, আল-আমিন ৩/৬৭) ও ২য় ইনিংস ২৬৯ (শুভাগত ৭১, তাইবুর ৩৩, মেহেদি ৪/৬৩, কামরুল ৪/৫৯)
সাউথ জোন ১ম ইনিংস ৩৯৭ (তুষার ৭৮, এনামুল ৭৭, ফজলে ৭৪, রকিবুল ৬৫, মেহেদি ৪৬, আরাফাত সানি ৪/১২২, ইয়াসিন ২/৫৪) ও ২য় ইনিংস ১৩৪/৩ (এনামুল ৮৬*, শুভাগত ২/২১)
রাজশাহী
ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ৪৬৬ (রনি ১৮৫, আশরাফুল ১৩৬, তাইজুল ৩৭, সানজামুল ৫/১১৫) ও ২য় ইনিংস ৩৬২/৪ ডিক্লে.
নর্থ জোন ১ম ইনিংস ৩৭৭ (নাঈম ১০০, জহুরুল ৬৫, জুনাইদ ৫১, আবু জায়েদ ৬/৭৪, এনামুল ২/৬১) ও ২য় ইনিংস ১১৬/১ (জুনাইদ ৫১, ফরহাদ ৫০)
বিসিএলে চতুর্থ রাউন্ডে সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সাউথ জোন। ১৭.৯৩ পয়েন্ট পাওয়া সেন্ট্রালের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান এখন ০.৩০। ইস্ট ও নর্থ জোনের অন্য ম্যাচ হয়েছে ড্র, বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন মুমিনুল হক। ১৪.৭৭ পয়েন্ট নিয়ে ইস্ট জোন তৃতীয়, সবার শেষে থাকা নর্থের পয়েন্ট ১৪.৭৭।
চট্টগ্রামে ৪৪ রানের লিড ও ৫ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করা সেন্ট্রাল জোন সাতে নামা জাকের আলির ৩১, দশে নামা আরাফাত সানির অপরাজিত ২৪ রানে ভর করে সাউথকে লক্ষ্য দিতে পেরেছিল ১৩৪ রানের। আগেরদিন ৫৫ রান করা শুভাগত হোম এদিন আউট হয়েছেন ৭১ করে, শেষ পর্যন্ত ৫৯ রানে ৪ উইকেট নেওয়া কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে। ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন অফস্পিনার মেহেদি হাসানও।
রানতাড়ায় ওপেনার শাহরিয়ার নাফীসের পর ফজলে রাব্বিকে ৪১ রানের ভেতর হারিয়ে ফেলেছিল সাউথ জোন। তবে আরেক ওপেনার এনামুল হকের অপরাজিত ৮৬ রানে পথ হারায়নি তারা। প্রথম ইনিংসে এনামুল করেছিলেন ৭৭। তৃতীয় উইকেটে আল-আমিনকে নিয়ে ৫৩ রানের পর চতুর্থ উইকেটে তুষার ইমরানের সঙ্গে এনামুলের অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটিতে ৩২.২ ওভারেই লক্ষ্যে পেরিয়ে গেছে সাউথ জোন, ইনিংসে তারা ওভারপ্রতি রান তুলেছে ৪.১৪ হারে। অলরাউন্ড পারফম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন মেহেদি।
অন্য ম্যাচের শেষদিনে আলো কেড়েছেন মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে ২৬ রান করে স্কোরিংয়ের সুযোগ মিস করেছিলেন, এবার করলেন ১৯৪, মাত্র ১৯০ বলে। তৃতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে মুমিনুল যোগ করেছেন ২০৭ রান, মাহমুদুল করেছেন ৮৩।
চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে মুমিনুলের জুটি ৭৪ রানের। মুমিনুল ক্যারিয়ারের ১৮তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন মাত্র ১০৬ বলে, এরপরের ৯৪ রান করেছেন ৮৮ বলে। ২৩টি চারের সঙ্গে এই বাঁহাতি মেরেছেন ৩ ছয়। তানভীর হায়দারের বলে ক্যাচ দিয়ে মিস করেছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। এটি তার ৭ম ১৫০-পেরুনো ইনিংস। মুমিনুলের উইকেটের পরই ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছে ইস্ট জোন।
৪৫২ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যাওয়াটা প্রায় অসম্ভব ছিল নর্থ জোনের, তবে তাদের ১৬ ওভারের ব্যাটিং অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছে অসম্ভব কিছুরই। ১৬ ওভারে ৭.২৫ হারে তারা তুলেছে ১১৬ রান। ৭ চারে ৪৬ বলে ৫১ রান করেছেন জুনাইদ সিদ্দিক। তবে ফরহাদের কাছে যেন তিনি কিছুই না, ২৮ বলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে এই ডানহাতি করেছেন ১৭৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫০।