স্মিথ-ওয়ার্নারদের কারণেই কমেছে অস্ট্রেলিয়ার স্টেডিয়ামের দর্শক?
ঘরের মাটিতে যখনই অস্ট্রেলিয়া টেস্ট খেলতে নামে, স্টেডিয়ামে দর্শকের কোনো কমতি হয় না। অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজে অবশ্য দেখা যাচ্ছে ভিন্ন এক চিত্র। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার মাঠে দর্শকের উপস্থিতি অনেকটাই কম। বিশেষ করে পার্থের প্রথম দুই দিনে গ্যালারিতে দেখা গেছে বহু ফাঁকা সিট। ওয়াকার প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টিনা ম্যাথিউস বলছেন, বল টেম্পারিংয়ের সেই কেলেঙ্কারির প্রভাবই পড়েছে স্টেডিয়ামের দর্শকসংখ্যায়।
পার্থের নতুন স্টেডিয়ামে ধারণক্ষমতা প্রায় ৬০ হাজার। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দিয়েই শুরু হয়েছে এর যাত্রা। এই টেস্টে গ্যালারি থাকবে ভরপুর, ধারণা করা হয়েছিল এমনটাই। তবে প্রথম দিন খেলা দেখতে এসেছিল মাত্র বিশ হাজারের মতো দর্শক, দ্বিতীয় দিনে সংখ্যাটা ছিল আরও কম।
ম্যাথিউসের বিশ্বাস, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে স্মিথ-ওয়ার্নারদের সেই ঘটনার প্রভাব পড়েছে দর্শকসংখ্যায়, ‘বর্তমান দলটার কারণে দর্শক আসছে না, এটা আমার মনে হয় না। আসলে দক্ষিণ আফ্রিকায় যা হয়েছিল, সেটার পর দর্শকের বিশ্বাসের জায়গাটা নড়বড়ে হয়ে গেছে। হয়ত এজন্যই স্টেডিয়ামে আগের মতো দর্শক খেলা দেখতে আসছেন না। সামনেই বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ, শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরের দর্শকের মনেও আগের সেই আস্থার জায়গাটা ফেরত আনতে হবে।’
পার্থের নতুন স্টেডিয়ামে এত কম দর্শক আশা করেননি ম্যাথিউস, ‘আমরা অনেক বছর ধরেই নতুন স্টেডিয়াম নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করছিলাম। সেখানে প্রথম দিনে ৩০-৩৫ হাজার দর্শক আসবে না, এটা কেউ ভাবেননি। তবে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির নয় মাসের মাঝে সব আগের মতো হয়ে যাবে, সেটা হয়ত আশা করা উচিত হবে না।’
অস্ট্রেলিয়া দল ভালো খেললে আবার মাঠে ফিরবে দর্শক, বিশ্বাস ম্যাথিউসের, ‘অ্যাডিলেডে যেভাবে হেরেছে দল, সেটায় অনেক দর্শকই আবেগী হয়ে পড়েছিলেন। দল যদি ভালো খেলে আর পার্থে জিতে যায়, তাহলে সিরিজের পরের টেস্টে অবশ্যই স্টেডিয়ামে দর্শকের সংখ্যা বেড়ে যাবে।’
অস্ট্রেলিয়ার স্টেডিয়াম আবার আগের মতো দর্শকে পরিপূর্ণ হয় কিনা, সেটা সময়ই বলে দেবে।