• বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • " />

     

    শিশির সামলানোর জন্য সাকিব কৃতিত্ব দিলেন 'চেনা' মিরপুরকে

    শিশির সামলানোর জন্য সাকিব কৃতিত্ব দিলেন 'চেনা' মিরপুরকে    

    টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামার পর মিরপুরের আগের টি-টোয়েন্টির স্মৃতি কি মনে পড়ছিল সাকিব আল হাসানের? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯৩ করেও হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে, শিশিরে রীতিমতো অসহায় মনে হচ্ছিল বোলারদের। এবারও ডিসেম্বরের শীতে শিশির ছিল ভালোমতোই, শেষ পর্যন্ত পরে বল করার ‘অসুবিধা’ ভালোমতোই সামাল দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। সাকিব সেজন্য কৃতিত্ব দিলেন মিরপুরে নিজেদের চেনা কন্ডিশনকেই।

    আজ যেভাবে বাংলাদেশ ব্যাট করেছে, টি-টোয়েন্টিতে আগের ম্যাচেও দলের কাছ থেকে সেটাই চেয়েছিলেন সাকিব। তারপরও বোলারদের জন্য কাজ কতটা কঠিন ছিল, ম্যাচ শেষে তা মনে করিয়ে দিলেন সাকিব, ‘দেখুন টি-টুয়েন্টি ম্যাচের কোন বাঁধাধরা নিয়ম নেই যে এভাবে খেললেই জিততে পারবে। আমার মনে হয় আমাদের আজ খুব ভালো দিন ছিল। ফিল্ডিংয়ে কিছু কমতি ছিল। এছাড়া আমরা খুব ভালো একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছি, এখানে আসলে সেকেন্ড হাফে বোলারদের বোলিং করা একটি কঠিন ছিলো। অনেক ডিউ ছিলো। তারপরও বোলাররা স্কোরবোর্ডে রান থাকায় সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে বোলিং করতে পেরেছে। আমাদের ব্যাটিংয়ে খুব ভালো শুরু করেছে লিটন, তারপর সৌম্য ওটা কন্টিনিউ করেছে। এরপর আমি এবং রিয়াদ ভাই এর পার্টনারশিপটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

    সিলেটে বাংলাদেশ যেভাবে উড়ে গিয়েছিল, তাতে টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে শক্তির ব্যবধান আবারও চলে এসেছিল আলোচনায়। এই ম্যাচের পর এক অর্থে একটা জবাবও দিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব সেজন্য কৃতিত্ব দিলেন মিরপুরে নিজেদের অভ্যস্ততাকে, ‘আমি আজ ম্যাচ শুরুর আগে বলেছি এই কন্ডিশনটা ওদের থেকে আমাদের বেশি ফেভারেবল হওয়া উচিত। আমরা এখানে সবসময় ম্যাচ খেলি, আমাদের প্রতিটা প্লেয়ার অসংখ্য ম্যাচ খেলেছে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে, আমাদের জন্য এই মাঠ অনেক পরিচিত। সেই হিসেবে সিলেট অত পরিচিত না। সেইদিক থেকে মিরপুর আমাদের জন্য অনেক পরিচিত। সাপোর্টটা খুব ইম্পরট্যান্ট থাকে মিরপুরে। আর দর্শকদের সমর্থন আমাদের জন্য অন্যরকম একটা আবহ তৈরি করে। আমার কাছে মনে হয় এটাও অনেক পজেটিভ একটা দিক, নেক্সট ম্যাচের আগে।’

    প্রশ্ন উঠল, শিশির সমস্যা যতই এখন ভোগাচ্ছে, পরের ম্যাচের সময় কি এগিয়ে নিয়ে আসার পক্ষপাতী কি না? সাকিব ব্যাপারটা ছেড়ে দিচ্ছেন ভাগ্যের ওপরেই, ‘কিছু কিছু জিনিস আসলে ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া ভালো। আমার কাছে মনে হয় না খুব একটা এফেক্ট করবে, যদিও এফেক্ট করে। এটা মেনে নিয়েই খেলতে হবে। পরে বোলিং করলে শিশির থাকবেই। এমনকি এটা ব্যাটসম্যানদের জন্যও যে ব্যাটিং করা সহজ তা আমি বলব না। বলটা পড়ার পর বেশ জোরে আসে, স্বাভাবিকভাবে পেসও ব্যাটসম্যানদের জন্য অ্যাডজাস্ট করা বেশ কঠিন। তো দুইটা সাইডই আছে। আর এই সময়ে এসে এক দিন আগে আমার মনে হয় না সময় চেঞ্জ করার কোনো অপশন আছে বা তৈরি হবে। ’

    পরের ম্যাচে সাকিব তাই চাইবেন, ভাগ্যও যেন পক্ষে থাকে তাঁর!