• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ ২০১৮
  • " />

     

    চার ফিফটিতে এগিয়ে ইস্ট জোন

    চার ফিফটিতে এগিয়ে ইস্ট জোন    

    শেষ রাউন্ড, সিলেট 
    ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ৩৮০/৮* (মুমিনুল ৮২, ইমরুল ৭৮, মাহমুদুল ৭৪*, জাকির ৫৭, তাসকিন ২/৭৮, আবু হায়দার ২/৬৯, মোসাদ্দেক ২/৯৭, মোশাররফ ২/৮৪) 


    পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা সেন্ট্রাল জোনের সঙ্গে তিনে থাকা ইস্ট জোনের লড়াইয়ের প্রথম দিনটা ইস্টের। মুমিনুল হক, ইমরুল কায়েস, জাকির হোসেনের সঙ্গে মাহমুদুল হাসানের অপরাজিত ফিফটিতে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৮০ রান তুলেছে ইস্ট জোন, রান-রেটটাও দারুণ- ৪.৬২। মুমিনুল (৮২), ইমরুল (৭৮) সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও করতে পারেননি, তবে শেষ দুই ব্যাটসম্যানের সহায়তা পেলে সে সম্ভাবনা তৈরি করে রেখেছেন ৭৪ রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদুল। 

    শুরুটা অবশ্য সেন্ট্রাল জোনেরই হয়েছিল দারুণ, ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই তাসকিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন ইন-ফর্ম রনি তালুকদার। শুরুর ব্রেকথ্রুর সেই স্মৃতি অবশ্য মিলিয়ে গেছে ইমরুল-মুমিনুলের ব্যাটিংয়ে। এর মাঝে চোট পেয়ে উঠে গেছেন সেন্ট্রালের পেসার শাহাদাত হোসেনও। লাঞ্চের আগে আর উইকেট পড়েনি, ইমরুল-মুমিনুল দুজনই পেরিয়ে গেছেন ফিফটি। দুজনই করেছেন ঝড়ো ব্যাটিং, তাদের জুটিতে রান উঠেছে ওভারপ্রতি ৫.৬২ হারে। মোশাররফ হোসেনের বলে ৭৯ বলে ৭৮ রান করে ইমরুল স্টাম্পড হওয়ায় ভেঙেছে ১৩৫ রানের সে জুটি। ইমরুল মেরেছেন ১২টি চার। 

    চা-বিরতির পর প্রথম ঘন্টায় ইয়াসির আলিকে সঙ্গে নিয়ে ইস্টের আধিপত্য ধরে রেখেছিলেন মুমিনুল, প্রায় ১৩ ওভারে ৫৬ রান তুলে। বিরতির পরপরই মোসাদ্দেক হোসেনের বলে বোল্ড হয়েছেন মুমিনুল, তার আগে ৯৫ বলে ৯ চারে করেছেন ৮২ রান। চা-বিরতির আগে আরও দুই উইকেট হারিয়েছে ইস্ট জোন, ২১৬ রানে দাঁড়িয়েই। ৩৯ রান করে মোসাদ্দেকের বলে স্টাম্পড হয়েছেন ইয়াসির, ১৩ রান করে মোশাররফের বলে এলবিডব্লিউ আশরাফুল। 

    মাহমুদুল ও জাকিরের জুটিতে এরপর উঠেছে ১০০ রান, ৭৭ বলে ৯ চারে ৫৭ রান করে জাকির আউট হয়েছেন তাসকিনের বলে কট-বিহাইন্ড হয়ে। তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে মাহমুদুল ৭ম উইকেটে যোগ করেছেন ৬৩ রান। আবু হায়দার এরপর করেছেন জোড়া আঘাত,.৪২ বলে ৫ চারে ৩২ রান করা তাইজুল ক্যাচ দেওয়ার পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়েছেন নাঈম হাসান। 

    ৮৩তম ওভারের শুরুতেই বন্ধ হয়ে গেছে দিনের খেলা। মাহমুদুল দিনশেষে ক্রিজে ব্যাটিং করছেন ১৭২ মিনিট ধরে, ১০৭ বল খেলে মেরেছেন ৯ চার।