• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ ২০১৮
  • " />

     

    রাজ্জাকের ৭ উইকেট, আরিফুলের ২ রানের আক্ষেপ

    রাজ্জাকের ৭ উইকেট, আরিফুলের ২ রানের আক্ষেপ    

    শেষ রাউন্ড, চট্টগ্রাম 
    নর্থ জোন ১ম ইনিংস ২৯৩ অল-আউট (আরিফুল ৯৮, জিয়াউর ৬৯, রাজ্জাক ৭/৬৯)
    সাউথ জোন ১ম ইনিংস ২১/১*


    আব্দুর রাজ্জাকের বোলিং তোপে বিসিএলের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে আরিফুল হক ও জিয়াউর রহমানের যথাক্রমে ৯৮ ও ৬৯ রানের ইনিংসের পরও ২৯৩ রানে গুটিয়ে গেছে নর্থ জোন। ৬৯ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন সাউথ জোনের বাঁহাতি স্পিনার, ক্যারিয়ারে এটি ৩৭তম বার ৫ উইকেট তার। আর ইনিংসে ৭ বা এর বেশি উইকেট এ নিয়ে দশবার নিলেন তিনি। দিনশেষে প্রথম ইনিংসে ২১ রান তুলতে শাহরিয়ার নাফীসের উইকেট হারিয়েছে সাউথ জোন। 

    চট্টগ্রামে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া নর্থের শুরুটা ভালই করেছিলেন দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও জুনাইদ সিদ্দিক। ৬০ রানের মাথায় ২৯ রান করা মিজানুরকে ক্যাচ বানিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু এনেছিলেন রাজ্জাক। ৯৬ রানে পড়েছে দ্বিতীয় উইকেট, ৪৪ রান করে মেহেদি হাসানের বলে ক্যাচ দিয়েছেন জুনাইদ। এরপর নর্থের ইনিংসে নেমেছে ছোট একটা ধস- ১৩ রানের ব্যবধানে তারা হারিয়েছে ৪ উইকেট। ফরহাদ হোসেন ও জহুরুল ইসলাম রাজ্জাকের শিকার, নাঈম ইসলামকে ফিরিয়েছেন শফিউল ইসলাম। 

    আরিফুলের সঙ্গে ২৭ রানের জুটির পর রাজ্জাকের শিকার হয়েছেন ধীমান ঘোষও। ৫ম উইকেট পেতে রাজ্জাককে অবশ্য অপেক্ষা করতে হয়েছে বেশ কিছুক্ষণ। আরিফুলের সঙ্গে ততক্ষণে যোগ দিয়েছেন জিয়াউর, দুজনের জুটিতে উঠেছে ১৩৫ রান। ১০৩ বলে ৬৯ রান করা জিয়াউরকে আউট করে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন নাহিদুল ইসলাম, এরপর রাজ্জাক আবার চড়ে বসেছেন নর্থের ওপর। 

    সানজামুল ইসলামকে রান করতে দেননি, আরিফুলকে ফেরানোর পর এক বল বাদে ফিরিয়েছেন এবাদত হোসেনকেও। আউট হওয়ার আগে আরিফুল করেছেন ১৫১ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৯৮ রান। প্রথম শ্রেণিতে এর আগে নড়বড়ে নব্বইয়ে আরিফুল কাটা পড়েছিলেন একবার, ২০১৪ সালে জাতীয় লিগের ম্যাচে রংপুরের হয়ে ঢাকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে। সব ফরম্যাট মিলিয়ে নড়বড়ে নব্বইয়ের খাঁড়া তার ওপর পড়েছিল ওই একবারই। বিসিএলের শেষ রাউন্ডে দ্বিতীয়বার এর শিকার হলেন আরিফুল, ওই ৯৮ রানেই!