• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ ২০১৮
  • " />

     

    এনামুলের ১৫৫*, আল-আমিনের সেঞ্চুরিতে সাউথ জোনের লাফ

    এনামুলের ১৫৫*, আল-আমিনের সেঞ্চুরিতে সাউথ জোনের লাফ    

    শেষ রাউন্ড, চট্টগ্রাম 
    দ্বিতীয় দিনশেষে
    নর্থ জোন ১ম ইনিংস ২৯৩ অল-আউট (আরিফুল ৯৮, জিয়াউর ৬৯, রাজ্জাক ৭/৬৯)
    সাউথ জোন ১ম ইনিংস ৪০৭/৫* (এনামুল ১৫৫*, আল-আমিন ১১০ রিটায়ার্ড হার্ট, মেহেদি ৮৪, এবাদত ২/৫৯, সানজামুল ২/১১৮) 


    এনামুল হকের অপরাজিত ১৫৫, আল-আমিনের ঝড়ো সেঞ্চুরির সঙ্গে মেহেদি হাসানের ৮৪ রানের ইনিংসে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের দিকে এগুচ্ছে সাউথ জোন। প্রথম ইনিংসে তাদের লিড এরই মাঝে ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে গেছে ১০০, বাকি আছে ৫ উইকেট। পয়েন্ট টেবিলে ইস্ট জোনের পেছনে থেকে শেষ রাউন্ড শুরু করা সাউথ জোন বড়সড় একটা লাফেরই প্রস্তুতি নিচ্ছে এখন। 

    চট্টগ্রামে সকালটা অবশ্য বলছিল ভিন্ন কিছু। আগেরদিন ২১ রান তুলতে ১ উইকেট হারানো সাউথ এদিন শুরুতেই হারিয়ে বসে ফজলে রাব্বিকে। এবাদত হোসেনের বলে তিনি বোল্ড হয়েছেন ৯ রানে, এরপর রকিবুলও করতে পেরেছেন ৯ রান। ৫৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লড়াইয়ে ভালভাবেই ছিল প্রথম ইনিংসে ২৯৩ রানে অল-আউট হয়ে যাওয়া নর্থ জোন। 

    তবে তাদেরকে ছিটকে দেওয়ার কাজটা শুরু করলেন এনামুল ও আল-আমিন। লাঞ্চের আগে দুজনই পেয়ে গেছেন ফিফটি। আল-আমিন সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন মাত্র ১০৪ বলে, ইনিংসে এখন পর্যন্ত ১১ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩টি ছয়। চোট পেয়ে উঠে গেছেন ১১০ রান করে, এনামুলের সঙ্গে তার জুটি তখন ১৭৬ রানের। 

    এনামুল অবশ্য থামেননি, তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মেহেদি। মেহেদিও ঝড়ো ছিলেন আল-আমিনের মতোই। ৭৬ বলে করেছেন ৮৪ রান, ৭টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩টি ছয়। এ দুজনের তুলনায় মোটামুটি বিপরীতধর্মী ইনিংস খেলেছেন এনামুল। 

    সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ১৮৩ বলে, সে সময় মেরেছেন ৯টি চার। তার ১৫০ এসেছে ২৭০ বলে। দিনশেষে খেলে ফেলেছেন ২৮৩ বল, বাউন্ডারি ১৩টি, সবকটিই চার। মেহেদির উইকেটের পর নাহিদুল ইসলামকে নিয়ে আরও ৫৫ রান যোগ করেছেন এনামুল। 

    বিসিএলের এ মৌসুমে এ ওপেনারের এটি ২য় সেঞ্চুরি। এখন পর্যন্ত ৬১৩ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান স্কোরার তিনিই।