শেষদিনে শিরোপার অপেক্ষা সাউথ জোনের
শেষ রাউন্ড, চট্টগ্রাম
দ্বিতীয় দিনশেষে
নর্থ জোন ১ম ইনিংস ২৯৩ অল-আউট (আরিফুল ৯৮, জিয়াউর ৬৯, রাজ্জাক ৭/৬৯) ও ১৮৬/৫* (জুনাইদ ৭৭, নাঈম ৬৭)
সাউথ জোন ১ম ইনিংস ৫৪১ অল-আউট (এনামুল ১৮০, আল-আমিন ১১৮, মেহেদি ৮৪, এবাদত ২/৫৯, সানজামুল ২/১১৮)
সাউথ জোনের লড়াইটা ছিল সেন্ট্রাল জোনের সঙ্গে। সে লড়াই থেকে সেন্ট্রাল ছিটকে গেছে, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে এখন ইস্ট জোন। শিরোপা ধরে রাখতে শেষদিনে সাউথ জোনকে জিততে হবে নর্থের বিপক্ষে। সে পথে অবশ্য ভালভাবেই এগিয়ে আছে তারা। নর্থ জোন ৫ উইকেট হাতে এখনও সাউথের চেয়ে পিছিয়ে ৬২ রানে।
চট্টগ্রামে সাউথ জোনের দিনটা শুরু হয়েছিল এনামুল হকের ডাবল সেঞ্চুরির আশা জুগিয়ে। ১৮০ রানেই অবশ্য থেমেছেন এই ওপেনার, সানজামুল ইসলামের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩১৪ বল খেলেছেন, মেরেছেন ১৬টি চার। এনামুলের উইকেটের পর নেমেছেন আগেরদিন আহত-অবসরে যাওয়া আল-আমিন, দ্বিতীয় দফায় নেমে আগের ১১০ রানের সঙ্গে যোগ করেছেন আর ১৮ রান।
শেষ ৩ উইকেটে সাউথ জোন যোগ করেছে ৭৪ রান। মনির হোসেন করেছেন ৩৩, আব্দুর রাজ্জাক ৩৫। সাউথের ডামাডোলে আরেকবার ৬ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম, তিনি খরচ করেছেন ১৫৮ রান। প্রথম ইনিংসে সাউথ জোন লিড নিয়েছে ২৪৮ রানের।
দ্বিতীয় ইনিংসে নর্থ জোনের শুরুটা ভাল হয়নি মোটেও, ১৬ রান উঠতেই তারা হারিয়েছে মিজানুর রহমান ও ফরহাদ হোসেনকে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে জুনাইদ সিদ্দিক ও নাঈম ইসলাম এরপর যোগ করেছেন ১২৮ রান। ১১২ বলে ৬৭ করে নাহিদুলের বলে ক্যাচ দিয়েছেন নাঈম, জুনাইদ মেহেদির বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেছেন ১৪৪ বলে ৭৭ রান। জুনাইদের আগে ফিরেছেন আগের ইনিংসে ৯৮ রান করা আরিফুল হকও। দিনশেষে অপরাজিত আছেন জিয়াউর রহমান ও ধীমান ঘোষ।
বিসিএলের শেষদিনের আগে সাউথ জোনের পয়েন্ট এখন ২০.৬৩, শীর্ষে উঠে যাওয়া ইস্টের সঙ্গে ব্যবধান ৮.৫১। বোনাস পয়েন্ট এরই মাঝে তারা পেয়েছে ৩.২৫। টাই হলে তারা পাবে ৪ পয়েন্ট, যেটা যথেষ্ট নয় ইস্টকে টপকে যাওয়ার জন্য। আর জিতলে বোনাস ছাড়াও তারা পাবে ৮ পয়েন্ট, সেক্ষেত্রে টানা দ্বিতীয় শিরোপা হবে তাদেরই।