শেষ দিনেই হ্যাটট্রিক শিরোপা সাউথ জোনের
স্কোর
নর্থ জোন ২৯৩ ও ২৮০ (জিয়া ৭৭*; রাজ্জাক ৫/৭৫)
সাউথ জোন ৫৪১ ও ৭.১ ওভারে ৩৫/১ (লক্ষ্য ৩৩)
ফলঃ সাউথ জোন ৯ উইকেটে জয়ী
শিরোপা থেকে মাত্র ৫ উইকেট দূরে ছিল প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন। সেটা পেতে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ এক সেশনও খেলতে হলো না সাউথ জোনকে। বিসিবি নর্থ জোনকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পেয়েছে হ্যাটট্রিক শিরোপা। ৩১.৮৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে সাউথ জোন, ২৯.১৪ পয়েন্ট নিয়ে ইস্ট জোন আছে এর পরেই।
৫ উইকেটে ১৮৬ রান নিয়ে আগের দিন শেষ করেছিল নর্থ জোন। ইনিংস পরাজয় এড়াতেই করতে হতো ৭১ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। সেই যাত্রায় শুরুতেই ধাক্কা খায় নর্থ জোন, আগের দিনের সঙ্গে স্কোরকার্ডে ২৮ রান ওঠার পর ফিরে যান ধীমান ঘোষ, ১৩ রান করে আবদূর রাজ্জাকের বলে হয়ে যান এলবিডব্লু।
এরপর সানজামুল আর সাকলাইন সজীবকে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ লড়াই চালিয়ে গেছেন জিয়াউর রহমান। লড়াই বললে ভুল হবে, পালটা আক্রমণই বলা উচিত। নিজের মতোই আগ্রাসী খেলেছেন জিয়া, শেষ পর্যন্ত কেউ তাঁকে আউটই করতে পারেননি। বরং অন্য প্রান্ত থেকে একে একে দেখেছেন সানজামুল, সাকলাইন ও এবাদতকে তুলে নিয়েছেন রাজ্জাক। নিজে শেষ পর্যন্ত ১২১ বলে ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন, তাতে ছিল ছয়টি ছয়। শেষ পর্যন্ত ২৮০ রানে অলআউট হয়েছে নর্থ জোন, ইসলামি ব্যাংক ইস্ট জোনের আশাও শেষ হয়ে গেছে সেই সঙ্গে। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটের পর এবার রাজ্জাক পেয়েছেন ৫ উইকেট, ১২ উইকেট নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই হয়েছেন ম্যাচসেরা। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এ নিয়ে দশম বারের মতো ম্যাচে ১০ উইকেট পেলেন, মোট উইকেট হলো ৫৮১টি।
সাউথ জোনের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ৩৩ রান, ৭.১ ওভারে শাহরিয়ার নাফীসের উইকেট হারিয়েই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে তারা।