• ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান
  • " />

     

    হ্যাটট্রিক পেলেন না শুধু নেইমারই!

    হ্যাটট্রিক পেলেন না শুধু নেইমারই!    

    সময়ের ব্যবধানটা মাত্র দশ দিনের। দশ দিন আগে এই গুইনগাম্পের কাছে হেরেই ফ্রেঞ্চ লিগ কাপে দীর্ঘ পাঁচ বছরের জয়রথ থেমেছিল পিএসজির। লিগ কাপে সেই হারের প্রতিশোধ তো নিলোই, সাথে গুইনগাম্পকে বিশাল এক হারের লজ্জাও দিল পিএসজি। ঘরের মাঠে কিলিয়ান এমবাপ্পে, এডিসন কাভানির হ্যাটট্রিক ও নেইমারের জোড়া গোলে গুইনগাম্পকে ৯-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি।

     

     

    গোলবন্যার শুরুটা করেন নেইমার। ১১ মিনিটে দানি আলভেজের বাড়ান বলে নেইমারের ডান পায়ের শট ঠেকাতে পারেননি গুইনগাম্প গোলরক্ষক। ৩৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান এমবাপ্পে। তাঁর গোলে অ্যাসিস্ট ছিল সেই নেইমারেরই। বক্সের ভেতর পাওয়া বল জালে জড়াতে ভুল করেননি। বিরতির ঠিক আগে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপ্পে। এবার তাঁকে দারুণ এক পাস দিয়েছেন কাভানি। ডান পায়ের শটে আবার গোলরক্ষককে বোকা বানান এই ফরাসি মিডফিল্ডার।

    দ্বিতীয়ার্ধে গুইনগাম্পের জালে আরও ছয়বার বল জড়িয়েছে পিএসজি। ৪৮ মিনিটে জুলিয়ান ড্রাক্সলারের শট ঠেকিয়ে দেন গুইনগাম্প গোলরক্ষক ক্যালিয়ার্ড। ৫২ মিনিটে আবার ড্রাক্সলারকে হতাশ করেন তিনি। ৫৯ মিনিটে ক্যালিয়ার্ড আর কাভানিকে আটকাতে পারেননি, হুয়ান বেরনাটের ক্রস থেকে বাঁ পায়ের শটে ম্যাচে নিজের প্রথম গোল করেন কাভানি। সাত মিনিট পর করেন নিজের দ্বিতীয় গোল, ডি মারিয়ার ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ান কাভানি। দুই মিনিট পর ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল পান নেইমার, এই গোলে অ্যাসিস্ট ছিল এমবাপ্পের। ৭২ মিনিটে ক্যালিয়ার্ড দারুণ এক সেভ না করলে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করতে পারতেন এই ব্রাজিলিয়ান।

    নেইমার না পারলেও হ্যাটট্রিক পেয়েছেন কাভানি ও এমবাপ্পে। ৭৫ মিনিটে কাভানি ও ৮০ মিনিটে হ্যাটট্রিক পান এমবাপ্পে। ফ্রেঞ্চ লিগে একই ম্যাচে দুই সতীর্থের হ্যাটট্রিক পাওয়ার সর্বশেষ ঘটনাটি ছিল ১৯৭৯ সালে। ৮৩ মিনিটে দলের নবম গোলটি আসে থমাস মুনিয়েরের পা থেকে। শেষ পর্যন্ত ৯-০ গোলের বিশাল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি। ঘরের মাঠে লিগে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় জয়। গত বছর নিজেদের মাঠে দিজনের বিপক্ষে ৮-০ গোলে জিতেছিল তারা।