• অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    বার্নস-হেডের পর প্যাটারসনের সেঞ্চুরিতে পিষ্ট শ্রীলংকা

    বার্নস-হেডের পর প্যাটারসনের সেঞ্চুরিতে পিষ্ট শ্রীলংকা    

    স্কোর

    দ্বিতীয় দিন শেষে

    শ্রীলংকা ৪৩ ওভারে ১২৩/৩ ( করুনারত্নে ৪৬, থিরিমানে ৪১; কামিন্স ১/২৫, স্টার্ক ১/৩২, লায়ন ১/৪০)

    অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংসে ১৩২ ওভারে ৫৩৪/ ৫ ডিক্লে ( বার্নস ১৮০, হেড ১৬১, প্যাটারসন  ১১৪*; ফার্নান্দো ৩/১২৬, রাজিথা ১/১০৩)

    শ্রীলংকা ৪১১ রানে পিছিয়ে

     

    প্রথম দিনে জো বার্নস ও ট্রাভিস হেডের জোড়া সেঞ্চুরিতে পিষ্ট হয়েছিল শ্রীলংকা। দ্বিতীয় দিনেও লংকান বোলারদের ঘাম ঝরিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। বার্নস-হেডের পর সেঞ্চুরি পেয়েছেন ক্রুইস প্যাটারসনও। টেস্টে প্যাটারসনের প্রথম সেঞ্চুরির দিনে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় দাড় করিয়েছে টিম পেইনের দল।

     

     

    গতকাল অস্ট্রেলিয়ানরা অনায়াসে রান তুললেও আজ তাদের সেই সুযোগ খুব একটা দেননি লংকান বোলাররা। দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকে বার্নস-প্যাটারসনকে চাপে রেখেছিলেন তাঁরা। সেই চাপ দূর করতেই হাত খুলে খেলতে গেলেন বার্নস, তাতেই কপাল পুড়ল তাঁর। একরাশ হতাশা নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন বার্নস। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২০ রান দূরে থাকতে কাসুন রাজিথার বলে বোল্ড হন তিনি।

    এর পরের গল্পটা শুধুই প্যাটারসনের। পেইনকে সাথে নিয়ে গড়েন ১৩০ রানের জুটি। দুজনেই ব্যাটিং করেছেন খুবই ধীরলয়ে। ১৪ চার ও এক ছয়ে লাঞ্চের আধ ঘণ্টা পরেই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পান প্যাটারসন। গতকাল হেডও পেয়েছিলেন নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। একই ইনিংসে দুই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের অভিষেক সেঞ্চুরি পাওয়ার ঘটনা ঘটল দীর্ঘ ৩০ বছর পর। ১৯৮৯ সালে লিডসে একই ইনিংসে নিজদের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন স্টিভ ওয়াহ ও মার্ক টেলর। প্যাটারসনের সেঞ্চুরির কিছুক্ষণের মাঝেই ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। প্যাটারসন অপরাজিত থাকেন ১১৪ রানে, পেইন অপরাজিত ছিলেন ৪৫ রানে।

    ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন দুই লংকান ওপেনার। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, ঝাই রিচার্ডসনদের হতাশায় ডুবিয়ে দুই ঘণ্টা কোনো উইকেট হারায়নি তাঁরা। ওপেনিং জুটিতে ৮২ রান ওঠার পরেই বড় ধাক্কা খায় শ্রীলংকা। কামিন্সের বাউন্সার দিমুথ করুনারত্নের হেলমেটে লাগলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে গুরুতর মনে না হলেও লংকান ফিজিও মাঠে আসার পর বোঝা যায়, খুব একটা স্বস্তিতে নেই করুনারত্নে। প্রায় বিশ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে, আনা হয় স্ট্রেচারও। শেষ পর্যন্ত ৪৬ রানে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

    করুনারত্নে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরার পরেই ভাঙ্গে লংকানদের প্রতিরোধ। ৩০ রানের মাঝেই পড়ে তিন উইকেট। নাথান লায়নের বলে স্লিপে দাঁড়ানো উসমান খাওয়াজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লাহিরু থিরিমানে, ফেরার আগে করেছেন ৪১ রান। কুশল মেন্ডিসকে ৬ রানে বোল্ড করেন কামিন্স। দিনের খেলা শেষ হওয়ার তিন ওভার আগে স্টার্কের আগুন ঝরানো এক বাউন্সারে পেইনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন দিনেশ চান্ডিমাল। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে শ্রীলংকা পিছিয়ে আছে ৪১১ রানে। ফলো-অন এড়াতে হলে দারুণ কিছুই করে দেখাতে হবে লংকান মিডল অর্ডারকে।