ডাবলিন-কার্ডিফ থেকেই প্রেরণা খুঁজতে চাইছেন তামিম
নিউজিল্যান্ডে গিয়েই কী যেন হয় বাংলাদেশের। একের পর এক ম্যাচে হার তো আছেই, দুর্ভাগ্যও হয় সঙ্গী। এবারও যেমন চোটের জন্য তৃতীয় ওয়ানডেতে নেই মিঠুন, মুশফিককে নিয়েও আছে সংশয়। তারপরও প্রথম দুই ম্যাচে অমন দিশাহীন ব্যাটিংয়ের ঢাল হিসেবে তা দাঁড় করানো যায় না। তামিম ইকবাল সেই চেষ্টাও করলেন না। শেষ ওয়ানডের আগে শুধু বললেন, তৃতীয় ম্যাচে অন্তত প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট দিয়ে আসতে চায় না বাংলাদেশ।
সেই দায়টা তামিমেরই আসলে বেশি। প্রথম ম্যাচে না হয় ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত এক বলে আউট হয়ে গেছেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অতক্ষণ ক্রিজে থেকেও এলবিডব্লু হওয়ার আগে করতে পেরেছেন সেই ৫ রানই। তামিম শুরুতে আউট হলে যা হয়, বাংলাদেশও প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই ছন্নছাড়া। তামিমও বলছেন, দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ একই ভুল করেছে, ‘প্রথম ম্যাচে তো স্পেশালি উইকেট তো অনেক ভালো ছিল। আমরা শুরুটাই ভালো করতে পারিনি। ওদের দুই বোলার প্রথম ১০ ওভার খুব ভালো বল করে। খারাপ দিক হচ্ছে, আমরা প্রথম ১০ ওভারেই ওদের চার উইকেট দিয়ে এসেছি। আমরা আশা করব, প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে খেলা যেন ওদের হাতে না দিই। প্রথম ১০ ওভারে তিন চারটি উইকেট পড়লে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন।’
‘দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেট ভালো ছিল, ওই সময় বৃষ্টি আর আবহাওয়ার জন্য হয়তো ওরা একটু ভালো করেছে। তবে উইকেট ছিল আসলেই ভালো। আমাদের ব্যাটিংয়ের ১৫-২০ ওভারের পর সহজ হয়ে গিয়েছিল। একই ভুল আমরা আবার করেছি। আমাদের দুই তিনটা উইকেট পড়ে গেছে শুরুতেই। আমার কাছে মনে হয়, প্রথম ১০ ওভার খুব বেশি রান না হলেও যেন উইকেট না পড়ে।’
তামিম এবার জয়ের চিন্তা একপাশে সরিয়ে রেখে বরং একটু লড়াই করতে চান আগে, ‘আগেও বলেছি, এখানে আমরা কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। আগের বার তাও এক দুইটা ম্যাচে একটু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল, এবার সেটাও হয়নি। আশা করব, নতুন ভেন্যুতে আমরা নতুন করে সবকিছু শুরু করতে পারব।’
২০১৭ সালেই এই নিউজিল্যান্ডে আয়ারল্যান্ডের পর কার্ডিফেও হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তামিম সেটি মনে করিয়ে দিয়েই শেষ ম্যাচ থেকে একটু প্রেরণা খুঁজতে চাইছেন, ‘বিশ্বকাপের বেশি বাকি নেই। এই কন্ডিশনে আমরা দল হিসেবে ভালো করতে চাই। এখানে চার পাঁচটা ট্যুর করেও কোনো জয় নেই। অথচ এই দলকে ইংল্যান্ড বা আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছি, এখানে না পারার কারণ নেই। তবে সবকিছু বলার আগে সত্যি কথা, আমাদের ভালো খেলতে হবে।’