• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ফটো ফিচার- ছবিতে অ্যানফিল্ড ও লিভারপুলে একদিন..

    ফটো ফিচার- ছবিতে অ্যানফিল্ড ও লিভারপুলে একদিন..    

    লিভারপুল ফুটবল ক্লাব- যার জন্মটা এক ব্যবসায়ীর হাত ধরে। যে ক্লাবের গল্পে মিশে আছে একটা বন্দর, সে বন্দরকে মেরে যাওয়া একটা খাল। যে গল্পে মিশে আছে তাদের এখনকার মাঠে একসময় খেলে যাওয়া এভারটন বা ৩৫ মাইল দূরের শহরের এক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে তাদের দ্বৈরথ। আর আছে অ্যানফিল্ড, যেখানে ‘ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন’। অ্যানফিল্ড ও লিভারপুল ঘুরে এসেছেন রিজওয়ান আবীর, পুরো ফিচারটি পড়তে পারেন এখানে….


    অ্যালবার্ট ডক। শুধু লিভারপুল বন্দর নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের অস্তিত্বও। অ্যালবার্ট ডকটা আগের মতই আছে, শুধু জাহাজ এখন আর ভেড়ে না। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    অ্যালবার্ট ডকের কাছে লাইট হাউস। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    মার্সি নদী। লিভারপুল-এভারটনের বিখ্যাত ‘মার্সিসাইড ডার্বি’র নামটা এসেছে যেখান থেকে। এভারটন-লিভারপুল অবশ্য এখানে কোন বিষয় নয়, এজন্য এখনো ইউরোপের একমাত্র ডার্বি এটি যাতে সমর্থকরা একই স্ট্যান্ডে মিলেমিশে খেলা দেখতে পারে। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    লন্ডন থেকে লিভারপুলে আসার সবচেয়ে সহজ উপায় এখন বুলেট ট্রেন। লাইম স্টেশনে নামলেই কানে আসে অ্যালবাট্রসের ডাক। স্টেশন ছোট, প্ল্যাটফর্ম থেকে কয়েক কদম এগুলেই রাস্তায় নেমে যাওয়া যায়। লাইম স্ট্রিট এটি, ডানে বিশাল এক প্রাসাদ। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    এক কালে লর্ড, কাউন্সিলরদের জায়গা ছিল সেটা- এখন ওয়ার্ল্ড মিউজিয়াম আর লিভারপুল সেন্ট্রাল লাইব্রেরি। লাইম স্ট্রিট ধরে উত্তরে এগুতে থাকলে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে গাংচিলের গান। চোখে পড়ে চিরায়ত ইউরোপিয়ান ঘরানার বাড়িঘর, সাথে আধুনিক স্থাপনা। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    এরকম ট্রেনে করেই লিভারপুল থেকে ম্যানচেস্টারে যেত তুলা। সে খরচ কমাতে পরে খনন করা হয় সরাসরি ম্যানচেস্টার পর্যন্ত খাল, যেটা রীতিমত পেটে লাথি মারে লিভারপুল বন্দরের। ম্যানচেস্টারের ক্লাব নিউটন হিথ (পরবর্তীকালের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড) এর সঙ্গে এভাবে তৈরী হওয়া সেই দ্বৈরথটা এখনও টিকে আছে লিভারপুলের। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    উত্তাল মহাসমুদ্রে বুকে বল যোগানো ‘লিভার’ বার্ড এই ক্লাবেও দ্যোতনা সৃষ্টি করবে, আশা ছিল এমনই। লিভারপুলের প্রতিষ্ঠাতা জন হোউল্ডিং তাই ক্লাবের নাম রেখেছিলেন 'লিভার'পুল। সেই 'লিভার' বার্ড আজও দাঁড়িয়ে লিভার বিল্ডিংয়ের ওপর। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    লিভারপুল বন্দর, এখন। ডকাররা এখন ধোপদুরস্ত পোশাক পরা আধুনিক কর্মকর্তা, আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত শহর এখন ইউনেস্কো ‘হেরিটেজ সিটি’। বন্দরের চেহারা বদলে গেছে, শুধু বদলায়নি এ শহরের সঙ্গে লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের সম্পর্কটা। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    ....আর একটা একটা চিত্র বদলায়নি, ওয়াটার ফ্রন্টের সামনে মানুষের ভিড়। সাদাসিধে জীবন তাদের, কাপড়-চোপড়ে এখনো পুরনো দিনের নৌযাত্রার চিত্র লেগে আছে। ফুটবল তাদের কাছে একমাত্র বিনোদন, লিভারপুল জিতলেই তাদের পর্যুদস্ত জীবনে একটুখানি সুখ আসে। বিয়ারের স্বাদে কিছুটা বৈচিত্র্য আনে ওই ফুটবলই।... লিভারপুলের কিংবদন্তী ম্যানেজার বিল শ্যাঙ্কলির অবসর কাটানোর সেই ওয়াটারফ্রন্টে এখনও মানুষের ভীড় জমে, তবে তারা দর্শনার্থী। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    …..পনের হাঁটলে টিলার উপরে ওঠার একটি পথ- “এভারটন হিস্টোরিক ট্রেইল”, টিলার উপরে উঠলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে পুরো লিভারপুল শহর, তা ছাড়িয়ে সহজেই দেখা যায় মার্সি নদী। চোখে পড়ে নীল কালিতে লেখা ‘ফরেভারটন’ স্লোগান, লিভারপুলের উদ্দেশ্যে লেখা দুয়োধ্বনি। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    ট্রেইল ধরে এগুলে আসা যায় সেন্ট ডমিংগো রোডে, সেখান থেকে ১০ মিনিট দূরেই সেই বিখ্যাত ওকফিল্ড রোড। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    অ্যানফিল্ড রোডে 'ইএফসি' লেখা.. অবশ্য লিভারপুলকে নিয়ে কটু কথাও দেখা যায় এখানে! রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


     ...ডমিংগো রোড থেকেই চোখে পড়ে সেই চিরচেনা স্থাপনা, সাথে বিশালাকার লেখা- ‘দিস ইজ নট স্টেডিয়াম, দিস ইজ হোম’। স্যান্ডনের সামনে থেকেও চাইলে আসা যায়, সেক্ষেত্রে অবশ্য ঘুরতে হয় একটু। ভেনমোর স্ট্রিট দিয়ে শর্টকাট মেরে আসাই সহজ তার চেয়ে। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    ...বিল শ্যাঙ্কলি লিভারপুলের হয়ে যা করেছেন সেটাকে এক কথায় বলা যায়- ‘ইতিহাস’। অ্যানফিল্ডের সামনে দাঁড়ালে এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়, শ্যাঙ্কলির মূর্তির সামনে দাঁড়ালে শ্রদ্ধা জাগে মনে। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    সমর্থকদের শ্যাঙ্কলি মনে করতেন দ্বাদশ খেলোয়াড়, ‘দিস ইজ অ্যানফিল্ড’ স্লোগানটা তারই সৃষ্টি। লিভারপুলের সাথে একাকার হয়ে যাওয়া ‘ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন’ গান গাওয়া শুরু তার আমলেই। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    অ্যানফিল্ড। এ মাঠে একসময় খেলত এভারটন। জন হোউল্ডিংয়ের সঙ্গে দর-কষাকষিতে বনিবনা না হওয়ায় তারা বেরিয়ে যায় অ্যানফিল্ড থেকে। সেই অ্যানফিল্ডেই নতুন ক্লাব তৈরি করেন হোউল্ডিং, শুরুতে এটির নামও তিনি দিতে চেয়েছিলেন- 'এভারটন'! সেটা হয়নি। অ্যানফিল্ডে জন্ম নিয়েছে লিভারপুল। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    অ্যানফিল্ডের পিচ, সঙ্গে স্যার কেনি স্টেডিয়াম.... রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    ছাদ থেকে দেখা অ্যানফিল্ড... রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


     ..সাইডার কাঠ দিয়ে বানানো সেই কপ স্ট্যান্ড এখন ইউরোপের অন্যতম সেরা এক বিশাল গ্যালারি। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    'ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন', ম্যাচের দিন এই গ্যালারিই উন্মাতাল হয় সে গানে... রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    অ্যানফিল্ডের হোম ড্রেসিংরুম... আক্ষরিক অর্থেই লিভারপুলের 'হোম'। রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    চেনা লাগে নামগুলি?  রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    দূরে একটা পানশালা ছিল, যেখানে মিলিত হতেন এভারটন সমর্থকরা... রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন


    অ্যানফিল্ডের ছাদ থেকে দেখা লিভারপুল শহর... রিজওয়ান আবীর/প্যাভিলিয়ন