• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    টটেনহামকে হারিয়ে সিটির প্রতিশোধ

    টটেনহামকে হারিয়ে সিটির প্রতিশোধ    

    নাটক, ভুরি ভুরি গোল, রোমাঞ্চ, বিতর্ক, হৃদয়ভঙ্গ- এসবকিছু হলো না এবার। তবে উত্তেজনার কাটতি পড়েনি। দুই দলের খেলা এবার আরও গোছালো। তাই গোলের ছড়াছড়ি দেখেনি ইতিহাদ স্টেডিয়াম। চ্যাম্পিয়নস লিগের টানটান উত্তেজনার ওই ম্যাচের দুইদিন পরই আবার প্রিমিয়ার লিগে মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি ও টটেনহাম হটস্পার। ইউরোপে না পারলেও, প্রিমিয়ার লিগের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনে এ দফায় সফল। পেপ গার্দিওলার দল টটেনহামকে ১-০ গোলে হারিয়ে উঠে গেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। আর হেরে টটেনহাম পড়ে গেছে বিপদে, ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে তারা। তবে আর্সেনাল, চেলসি নিজেদের ম্যাচে জিতে গেলে টটনহামকে নেমে যেতে হবে দুই ধাপ। সেমিফাইনালে উঠে যাওয়া দলটারই তাই পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার লড়াইটা কঠিন হয়ে গেছে আরও। 

    ইতিহাদ আরও একবার দেখেছে দ্রুত গোল, একমাত্র গোলটি হয়েছে ৫ মিনিটে। দুই ম্যানেজার দলে কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। গার্দিওলা নামিয়ে দিয়েছিলেন ফিল ফোডেনকে। ১৮ বছর বয়সী সিটি মিডফিল্ডারই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন। বের্নার্দো সিলভা লেফট উইং থেকে নিখুঁত ক্রস করেছিলেন ফারপোস্টে। সার্জিও আগুয়েরো এরপর সোজাসুজি হেড মেরেছেন সিক্স ইয়ার্ড বক্সের ভেতর। গোল থেকে কয়েক ফুট দূর থেকে আরেকবার হেড দিয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন ফোডেন। সিটির জার্সি গায়ে লিগে এটাই তার প্রথম গোল। 

    গোল মাত্র একটি হলেও খেলাটা হয়েছে দেখার মতোই। গোলের পর খেলায় সিটির নিয়ন্ত্রণ থাকলেও টটেনহাম বেশ কয়েকবার ভালো সুযোগ পেয়েও সিটির নড়বড়ে অবস্থার সুবিধা নিতে পারেনি। এডারসন প্রইথমার্ধে করেছেন ৩ টি দারুণ সেভ। শুরু করেছলেন ফোডেনের গোলের আগেই। ৩ মিনিটে জন স্টোনস ভুলটা করেছিলেন মিডফিল্ডে। এরপর সেই হিউং-মিন সনই চলে গিয়েছিলেন গোলের কাছাকাছি। নেয়ার পোস্টে নেওয়া সনের শট তখন ঠেকিয়ে দেন এডারসন মোরায়েস।

    গোল হজমের কিছুক্ষণ পর আরও ভালো জায়গায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। তখনও আরেকবার সিটিকে বাঁচান এডারসন। আগের ম্যাচে যার ভুলে দুই গোল হজম করেছিল সিটি, সেই আইমেরিক লাপোর্তে এরপর দারুণ এক ব্লক করে গোল পেতে দেননি সনকে। বিরতির ঠিক আগেও আরও একবার সন গোলবঞ্চিত হন এডারসনের কাছে। 

    প্রথমার্ধে বল পজেশনে এগিয়ে থাকলেও সিটি সেভাবে গোলের সুযোগ তৈরি করেছে আর দুইবার। একবার সার্জিও আগুয়েরো হেড মেরেছেন বাইরে দিয়ে। আরেকবার বের্নার্দো সিলভার শট সহজেই ঠেকিয়ে দিয়েছেন টটেনহাম গোলরক্ষক পাউলো গাজিনিগা। এগিয়ে থেকেও অবশ্য প্রথমার্ধ বড় একটা দুশ্চিন্তায় ফেলে গিয়েছিল গার্দিওলাকে। কেভিন ডি ব্রুইন ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। অবশ্য কতদিনের জন্য তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে সেটা নিশ্চিত হয়ে জানা যায়নি। 

    দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা কমে এসেছিল দুইদলের খেলার গতি। টটেনহামকে আর পরের অর্ধে সেভাবেই সুযোগই দেয়নি সিটি। তবে ৫৯ মিনিটে একবার কাইল ওয়াকারের বিরুদ্ধে পেনাল্টির আবেদন তুলেছিলেন ড্যালে অ্যালি। তবে রেফারি মাইকেল অলিভারের চোখ এড়িয়ে গেছে ঘটনা। তবে ভিএআর থাকলে, হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টটা হয়ত পেয়েও যেতে পারত মাউরিসিও পচেত্তিনোর দল। 

     

     

    তবে ৭১ মিনিটে দুই গোলে পিছিয়ে না পড়ায় গোলরক্ষক গাজিনিগাকে ধন্যবাদ দিতে পারেন পচেত্তিনো। রাহিম স্টার্লিং সিক্স ইয়ার্ড বক্সের ভেতর থেকে শট করেছিলেন, সেটা ঠেকিয়ে টটনহামকে ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিলেন গাজিনিগা। তবে সেটা শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি আর পচেত্তিনোর। 

     

    টটেনহামের ভাগ্য ফেরাতে পারেননি আগের ম্যাচের নায়ক ফার্নান্দো ইয়োরেন্তেও। দুয়ো শুনে মাঠে ঢুকেছিলেন, শেষে মাঠ ছেড়েছেন সেরকম কোনো সুযোগ না পেয়েই। এর আগে আর একবারই গোলে শট নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল টটেনহাম। অ্যালির শট তখন স্টোনসের গায়ে লেগে পরে ফিরে আসে এডারসন হয়ে।