• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    এভারটন-লজ্জায় প্রায় শেষ ইউনাইটেডের শীর্ষ চারের আশা

    এভারটন-লজ্জায় প্রায় শেষ ইউনাইটেডের শীর্ষ চারের আশা    

     

    শীর্ষ চারের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে ম্যাচটা জিততেই হতো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড জয় বা ড্র দূরে থাক, উল্টো এক হালি গোল খেয়ে ফিরেছে এভারটনের মাঠ থেকে। ১৯৯৬ সালের পর শীর্ষ ছয়ের বাইরে থাকা কোনো দলের বিপক্ষে ইউনাইটেডের এটাই সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স।

    ওলে গানার সোলশার ভাবতেই পারেন, চাকুরিটা পাকাপাকি না হলেই বোধ হয় ভালো হতো। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বপ্নের শুরুর পর এখন চলছে সোলশারের তিক্তচন্দ্রিমা। গত সপ্তাহেই চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে, তার আগে বাদ পড়েছে এফএ কাপ। সামনের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের আশাটা অবশ্য বেঁচে ছিল। কিন্তু এভারটনের কাছে ৪-০ গোলে হারের পর সেই আশা প্রায় শেষই বলা যায়।

    ম্যাচের শুরু থেকেই এভারটন লাগামটা নিজেদের কাছে নিয়ে নিয়েছে। ১২ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত এভারটন, যদি না রিচার্লিসনকে ডেভিড ডি গিয়া অমন দারুণভাবে ঠেকিয়ে না দিতেন। মিনিটখানেক পরেই অবশ্য এগিয়ে যায় এভারটন, এবার সেই হতাশাটা ঘুচিয়েছেন রিচার্লিসন। থ্রো ইন থেকে বলটা এসে পড়েছিল ডি বক্সে, ইউনাইটেডের রক্ষণের অসতর্কতার সুযোগ নিয়ে দুর্দান্ত এক ওভারহিড কিকে বলটা জালে জড়িয়ে দিয়েছেন রিচার্লিসন।

    দ্বিতীয় গোলটার জন্য ২৮ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে এভারটনকে। এবার দারুণ একটা প্রতিআক্রমণ থেকে ইউনাইটেডের সীমায় বল পেয়েছিলেন গিলগি সিগুর্দসন। দূর থেকে দুর্দান্ত এক শটে বলটা জালে জড়িয়ে দিয়েছেন। ডি গিয়ার তাতে দায় আছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠবে। প্রথমার্ধে ইউনাইটেড সেভাবে আর কোনো আক্রমণও করতে পারেনি, বরং এভারটনই আর এক দুবার কাঁপিয়ে দিচ্ছিল ইউনাইটেডকে।

     

     

    দ্বিতীয়ার্ধে দুইটি পরিবর্তন এনেছে ইউনাইটেড, কিন্তু কাজ হয়নি তাতে। বরং যেখান থেকে প্রথমার্ধ শেষ করেছে এভারটন, দ্বিতীয়ার্ধের শুরু করেছে সেখান থেকেই। ৫৬ মিনিটে লুকাস দিনিয়ার গোলটাও মনে রাখার মতোই। কর্নার থেকে বলটা ক্লিয়ারই করেছিলেন ডি গিয়া, কিন্তু সেটি গিয়ে পড়ে বক্সের বাইরে থাকা লুকাস ডিনিয়ের কাছে। বাঁ পায়ের অসাধারণ এক শটে ডি গিয়াকে কোনো সুযোগই দেননি এভারটনের ফ্রেঞ্চ লেফটব্যাক।

    ইউনাইটেডের দুর্ভোগের ষোলকলা পূর্ণ করেছেন থিও ওয়ালকট। এবারও জোন্স-স্মলিংয়ের রক্ষণ দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দারুণ একটা প্রতিআক্রমণ করেছিল এভারটন। ওয়ালকট ডি গিয়াকে কোনো সুযোগ না দিয়েই বক্সের ভেতরে ঢুকে ডান পায়ে ঠাণ্ডা মাথায় বল জড়িয়ে দিয়েছেন জালে। ইউনাইটেড কতটা নখদন্তহগীন ছিল সেটি বোঝা যায় ৮৫ মিনিট পর্যন্ত গোলমুখে তাদের একটি শটও ছিল না এই পরিসংখ্যানে।