• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    লিগের ৩ ম্যাচ বাকি থাকতে আবার শীর্ষে লিভারপুল

    লিগের ৩ ম্যাচ বাকি থাকতে আবার শীর্ষে লিভারপুল    

    খুব বেশি ভালো না খেলেও ম্যাচ জেতার কৌশলটা ভালভাবেই রপ্ত করতে পেরেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। প্রিমিয়ার লিগে তাই লিভারপুলও স্বপ্ন দেখছে অধরা শিরোপা ছুঁয়ে দেখার। কার্ডিফ সিটি স্টেডিয়ামে আরও একটি স্নায়ুযুদ্ধই জিতেছে লিভারপুল। লিগের শেষদিকে গিয়ে যখন জয়ভিন্ন পথ নেই তখন এই ২-০ গোলের জয়গুলোর গুরুত্ব যায় আরও বেড়ে। সেরকম আরও একটি দিন পার করলো লিভারপুল। তাই ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে আবারও শীর্ষ স্থানে উঠেছে অলরেডরা।  ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা। লিগে তাদের বাকি আর ৩ ম্যাচ।

    গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লিভারপুলের মিডফিল্ডারদের গোল এবার বেশ কয়েকবারই কাজে এসেছে লিভারপুলের। আক্রমণের ত্রয়ীরা জ্বলে উঠতে না পারলেও  জর্জিও ওয়াইনাল্ডাম আর জেমস মিলনার হাল ধরেছেন দলের। ৫৬ মিনিটে কর্নার থেকে গোল পায় লিভারপুল। গোল থেকে দশ গজ দূরে ফাঁকায় ছিলেন ওয়াইনাল্ডাম, দৌড়ে গিয়ে বলের সঙ্গে ডান পায়ের নিখুঁত সংযোগ ঘটনা। বর জড়ায় টপ কর্নারে। ওই গোলে প্রাণ ফিরে পায় লিভারপুলও।

    শেষ দশ মিনিটে অবশ্য খুব বেশি খাটতে হয়নি তাদের। লিভারপুলের জয় নিশ্চিত হয় মিলনারের পেনাল্টি থেকে। তবে পেনাল্টির সিদ্ধান্তটা বিতর্ক ছড়িয়েছে আরও একবার। মরিসন ডিবক্সের ভেতর সালাহকে আটকে রাখার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেটা করতে গিয়েই সালাহকে ফাউল করে বসেন মরিসন। যদিও টিভি রিপ্লে বলছে অন্য কথা, মরিসন সেভাবে পড়ে যাওয়ার মতো ফাউলই করেননি।  তবে সুযোগটা কাজে লাগিয়েছিলেন সালাহ।

    মরিসনের আফসোসটা আরও বেশি হওয়ার কথা ম্যাচ শেষে। রেলিগেশন জোনে থাকা কার্ডিফ অনেকটা সময় লিভারপুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু মরিসনই কপালটা খুলতে পারেননি দলের। ৬৪ মিনিটে কর্নার থেকে ফ্রি হেডার পেয়ে গিয়েছিলেন গোল থেকে অল্প দূরত্বে। তবে সূবর্ণ সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।

    এসবের আগে প্রথমার্ধে অবশ্য লিভারপুলও দারুণ দুইটি সুযোগ নষ্ট করেছিল। ২২ মিনিটে সালাহ-মানের দারুণ বোঝাপড়া গোলের সামনে গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান অন ওয়ানে এনে দিয়েছিল রবার্তো ফিরমিনোকে। কিন্তু ফিরমিনো মেরেছেন গোলের অনেক ওপর দিয়ে। এর কিছুক্ষণ পর সালাহর চিপ আরও একবার ঠেকিয়ে দেন নেইল এথরিজ। প্রথমার্ধের শেষদিকেও আরও একবার লেস্টাস সুযোগ নষ্ট করেছিল। ৪৪ মিনিটে ওমর নিয়াসের শট অবশ্য ভালোভাবেই ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন অ্যালিসন।

     

     

    এই হারের পর কার্ডিফ সিটিকে রেলিগেশন বাঁচাতে হলে করতে নাটকীয় কিছু। তবে লিভারপুল কিন্তু কক্ষপথেই থাকল। পরের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সিটি পয়েন্ট হারালে লিভারপুলের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হবে শিরোপা জয়ের। অন্তত একটি দিন ইউনাইটেডের জয়টা চাইতে পারেন অলরেড সমর্থকেরা।

    লিভারপুল স্বপ্নের পথে হাঁটছে, তবে আর্সেনালের স্বপ্ন আরেকবার ধাক্কা খেয়েছে। সেটাও আবার ঘরের মাঠে। ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ৩-২ গোলে হেরে গেছে তারা। চেলসির চেয়ে গোলব্যবধানে এগিয়ে চারে আছে আর্সেনাল।