• বঙ্গমাতা গোল্ড কাপ
  • " />

     

    আমিরাতকে গোলবন্যায় ভাসানোর সুযোগ হারাল বাংলাদেশ

    আমিরাতকে গোলবন্যায় ভাসানোর সুযোগ হারাল বাংলাদেশ    

    নতুন টুর্নামেন্ট। শুভ সূচনা। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচটা দুই বাক্যে বর্ণনা করা যেত। তবে ভুরি ভুরি গোল মিস করে, একটা আফসোসও থেকে গেল বাংলাদেশের মেয়েদের। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে চাইলেই গোলবন্যায় ভাসাতে পারতেন স্বপ্না, কৃষ্ণারা। সেটা হয়নি, তবে গ্রুপ 'বি' এর প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলের জয় দিয়ে সেমিফাইনালের পথে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

    অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টুর্নামেন্ট নিয়ে আগে থেকেই চলছিল আলোচনা। বাংলাদেশকে এই গ্রুপের ফেভারিট ধরা হচ্ছিল আগে থেকেই। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আরব আমিরাতের ওপর চড়াও হয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম গোল পেতেও খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি, ১২ মিনিটে সিরাত জাহান স্বপ্না এগিয়ে নেন দলকে। মোসাম্মাত খাতুন নিজের অর্ধ থেকে লং বল পাঠিয়েছিলেন। দৌড়ে গিয়ে গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান অন ওয়ানে বাম পায়ের দারুণ ফিনিশে বাকি কাজ সেরেছেন স্বপ্না। 



    পুরো ম্যাচেই আধিপত্য ছিল বাংলাদেশের। আরব আমিরাত ব্যস্ত ছিল বাংলাদেশের আক্রমণের স্রোত সামলাতেই। ২৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কৃষ্ণা। কর্নার থেকে লাফিয়ে হেডে গোল করেন ১৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

    প্রথমার্ধ শেষের আগেই আরও অন্তত দুইবার গোল পেতে পারত বাংলাদেশ। ৩০ গজ দূর থেকে শট করা আঁখি খাতুন গোল পাননি ক্রসবারের বাধা পেয়ে। এরপর আরও একবার গোলের কয়েক ফুট দূর থেকে সাইডনেটে বল মারেন মৌসুমি। এর মধ্যে দুইটি পেনাল্টিও পেতে পারত বাংলাদেশ। একবার স্বপ্না ও আরেকবার কৃষ্ণাকে আরব আমিরাতের ডিফেন্ডাররা পেনাল্টি বক্সের ভেতর ফাউল করলেও রেফারি এড়িয়ে গেছেন পেনাল্টির সিদ্ধান্ত। 

     

     

    দ্বিতীয়ার্ধেও খেলার গল্পটা ছিল একইরকম। গোলাম রাব্বানী ছোটনের দল আক্রমণ করে গেছে, আর রক্ষণেই পড়ে ছিল আরব আমিরাত। একপেশে খেলায় বারবার চেষ্টা করেও ফাইনাল থার্ডে ভালো ফিনিশে অভাবে আর গোল পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। মোট ২২ বার অন টার্গেটে শট করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা, এর বিপরীতে আরব আমিরাত মাত্র একবারই গোলে শট নিতে পেরেছিল। গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা তাই পুরোটা সময়ই কাটিয়েছেন অবসরে।

    গ্রুপের শেষ ম্যাচে চারদিন পর কিরগিস্তানের বিপক্ষে একই মাঠে খেলবে বাংলাদেশ।