• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ডি গিয়ার ভুলের মাশুল দিল ইউনাইটেড

    ডি গিয়ার ভুলের মাশুল দিল ইউনাইটেড    

    ডেভিড ডি গিয়ার ভুলে আরও একবার গোল হজম করেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু সেই ডি গিয়াই আবার ম্যাচের শেষ কিকে দারুণ এক সেভ করে দলকে হারের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। কিন্তু ওই সেভের চেয়ে তার ভুলটাই হয়ত চোখে পড়বে বেশি। স্প্যানিশ গোলরক্ষকের আরও এক ভুলে যাওয়ার ম্যাচে চেলসির সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র করেছে ইউনাইটেড। তাতে শেষ চারের লড়াই পেয়েছে অন্য এক মাত্রা। ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি আছে চারেই, আর ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে ইউনাইটেডও আগের জায়গাতেই।  

    ওল্ড ট্রাফোর্ডে শুরুটা দুর্দান্ত ছিল ইউনাইটেডের। ১১ মিনিটে সাবেক চেলসি খেলোয়াড় হুয়ান মাতা এগিয়ে নেন দলকে। লুক শ শুরুটা করেছিলেন বাম দিক থেকে। এরপর পল পগবার পর রোমেলু লুকাকুর সঙ্গেও দারুণ বোঝাপড়ার পর ডিবক্সের ভেতর থেকে মাইনাস করেন। গোলের সামনে ডান পায়ের সহজ ফিনিশে গোল করে সঙ্গে নিজের জন্মদিনটাও উদযাপন করে নেওয়ার উপলক্ষ্য পেয়ে যান মাতা। 

    এগিয়ে যাওয়ার পরও আক্রমণেই মন দিচ্ছিল ইউনাইটেড। লুকাকু খেলছিলেন জায়গা বদল করে। সবচেয়ে উজ্জ্বলও ছিলেন তিনিই। মিডফিল্ড থেকে মার্কাস র‍্যাশফোর্ডকে দুর্দান্ত একটি থ্রু বল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু র‍্যাশফোর্ড ফিনিশটা করতে পারেননি। কেপাও নেয়ার পোস্টে নেওয়া তার শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন। 

    সবকিছু যখন ইউনাইটেডের জন্য ঠিকঠাক চলছিল তখনই ভুলটা করে বসেন ডেভিড ডি গিয়া। সেন্টারব্যাক অ্যান্টোনিও রুডিগার ২৫ গজ দূর থেকে শট নিয়েছিলেন। ডি গিয়ার হাতেই যাচ্ছিল সেই শট। কিন্তু বল লুফে নেওয়ার বদলে ডি গিয়া ঠেকাতে গিয়ে করলেন হাতছাড়া। গোলের সামনেই ছিলেন মার্কোস আলোন্সো। ফাঁকা বারে গোল করে ৪৩ মিনিটে চেলসিকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন স্প্যানিশ লেফটব্যাক। 

    ইউনাইটেডের গোলে এটাই ছিল চেলসির প্রথম শট। এর আগ পর্যন্ত একা এডেন হ্যাজার্ডই যা একটু ভোগাচ্ছিলেন। ডি গিয়ার ওই ভুলটা তাই স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি ওল্ড ট্রাফোর্ডকে। শেষ ৪ ম্যাচে এই নিয়ে ডি গিয়ার ভুলে তিনবার গোল হজম করল ইউনাইটেড।  

    বিরতির আগে পাওয়া গোলটা এরপর মনোবল বাড়িয়ে দেয় চেলসির। দ্বিতীয়ার্ধে বেশিরভাগ সময় খেলা নিয়ন্ত্রণ করেছে তারা। যদিও রুডিগার ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়লে খানিকটা দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন মাউরসিও সারি। তবে তার কোনো সুফলই আদায় করে নিতে পারেনি ইউনাইটেড। উলটো নিজেরাও ইনজুরির কারণে এরিক বায়িকে হারিয়ে ফেলে তারা। বায়ির জায়গায় নামা মার্কোস রোহো দলের বিপদ বাড়াতে পারতেন আরও। উইলিয়ানকে স্লাইড ট্যাকেল মেরেছিলেন। অন্য কোনোদিন হয়ত লাল কার্ডই দেখতে হত তাকে, তবে এদিন পার পেয়ে গেলেন হলুদ কার্ডেই। 

    দ্বিতীয়ার্ধে খেলার গতি সময়ের সঙ্গেই কমে এসেছে। চেলসির হয়ে উইলিয়ান কয়েকবার গতির সঞ্চার করেছিলেন আক্রমণে। কিন্তু আক্রমণে গঞ্জালো হিগুয়াইনের কাছ থেকে কোনো সাহায্যই পায়নি চেলসি। ইউনাইটডও পরে অ্যালেক্সিস সানচেজকে নামিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু আরও একবার হতাশ হয়েছেন সানচেজ, হতাশ হয়েছে ইউনাইটেডও। 

     

     

    ম্যাড়মেড়ে দ্বিতীয়ার্ধ অবশ্য প্রাণ ফিরে পায় ইনজুরি সময়ে। দুই দলই একবার করে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। প্রথম সুযোগটা ইউনাইটেডের, দ্বিতীয়ার্ধে প্রথমবারের মতো কর্নার পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৯৩ মিনিট পর্যন্ত। সেখান থেকে রোহোর হেড গোলের দিকেই যাচ্ছিল। কিন্তু গোললাইন থেকে বল হেড করে ক্লিয়ার করে পেদ্রো বাঁচিয়ে দেন চেলসিকে। 

    আরেক আর্জেন্টাইন হিগুয়াইনও ডি গিয়াকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন একেবারে শেষ মিনিটে। কিন্তু এবার ডি গিয়া সজাগ, হিগুয়াইনের চিপ ঠেকিয়ে খানিকটা দায়মোচন করলেন তিনি। তবে সেটা কি যথেষ্ট হলো?