• আইপিএল ২০১৯
  • " />

     

    ডু প্লেসিদের আইপিএল থেকে ফেরানোর কোচের অনুরোধে কান দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড

    ডু প্লেসিদের আইপিএল থেকে ফেরানোর কোচের অনুরোধে কান দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড    

    প্লে অফের আগেই খানিকটা তারকাশূন্য হয়ে পড়েছিল আইপিএল। ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়াদের সবাই চলে গেছেন। চোটের জন্য ছিটকে পড়েছেন বেশ কজন, দক্ষিণ আফ্রিকা পেসারদের দুর্ভাগ্যটা হয়েছে বেশি। এসব কিছু চিন্তা করেই প্রোটিয়া কোচ ওটিস গিবসন চেয়েছিলেন মের প্রথম সপ্তাহেই আইপিএল থেকে ডু প্লেসিদের ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড (সিএসএ) বিসিসিআইয়ের কাছে সেই অনুরোধ করেনি। আইপিএলের শেষ পর্যন্ত তাই থাকছেন আফ্রিকানরা।

    গিবসনের অনুরোধের কারণ অনুমান করা যায়। বিশ্বকাপের আগে প্রোটিয়া পেসারদের মহামারীর মতো চোট লাগছে। এনগিদি, নরকিয়া আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন, পরে চোট পেয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ডেল স্টেইন ও রাবাদা। এর মধ্যে নরকিয়ার বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে, বদলি হিসেবে যিনি এসেছেন সেই ক্রিস মরিসও খেলছেন আইপিএলে। বিশ্বকাপের আগে আর কোনো ঝুঁকি নিশ্চয় গিবসন নিতে চাইবেন না। তাই সিএসএর কাছে খেলোয়াড়দের আইপিএল শেষের আগেই দেশে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করেন। তবে বোর্ড সেই অনুরোধ রাখেনি।

    এই কারণটাও বোধগম্য। দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড অনেক দিন থেকেই আর্থিক ক্ষতির মুখে আছে। সামনের চার বছরে ৪৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার লোকসানের সম্ভাবনা আছে তাদের। এদিকে আবার দুই বছর পর ভারতের বিপক্ষে তাদের মাঠে সিরিজ। আর্থিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য যেটি হতে যাচ্ছে বড় একটা অবলম্বন। এখন আইপিএল নিয়ে বিসিসিআইকে চটিয়ে দিলে সেই সিরিজটাও হুমকির মুখে পড়ে যেতে পারে। সিএসএর আইপিএল নিয়ে মৌনব্রতের কারণটা বোঝাই যায়।

    সিএসএর কেউ এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি। তবে ইএসপিএনক্রিকইনফো জানাচ্ছে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল, পুরো আইপিএলেই দক্ষিণ আফ্রিকার সব খেলোয়াড়দের পাওয়া যাবে। যে কারণে তাদের বিশ্বকাপ ক্যাম্পই পিছিয়ে ১২ মে থেকে করা হয়েছে। কিন্তু ফাইনাল খেলার জন্য তাতেও যোগ দিতে পারছেন না চেন্নাইয়ের ডু প্লেসি, তাহির আর মুম্বাইয়ের ডি কক। অথচ বিশ্বকাপের আর ১৯ দিনও বাকি নেই।

    এমনকি রাবাদাকেও ছাড়তে চায়নি বিসিসিআই। পিঠের চোটে পড়ে দিল্লীর হয়ে কিছুদিন আগেই আসর শেষ হয়ে গেছে এবারের আসরে দুর্দান্ত বল করা রাবাদার। শুরুতে দিল্লী থেকে বলা হয়েছিল, রাবাদার চোত না খেলতে পারার মতো কিছু নয়। রাবাদার চোটের সময় প্রোটিয়া ফিজিও দিল্লীতেই ছিলেন। তিনিই পরামর্হ দেন দ্রুত দেশে ফিরে যেতে। যদিও এ নিয়ে রাবাদা সামাজিকমাধ্যমে সরাসরি কিছু বলেননি। বরং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেশে ফিরে যাওয়ার কথাই বলেছেন ইন্সটাগ্রাম টুইটারে।

     

     

    দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড বিসিসিআইকে কিছু না বলার আরেকটি কারণও আছে। খেলোয়াড়দের আইপিএল অর্থের একটা ভাগ বোর্ডও পায়, সিএসএ এতজন খেলোয়াড় থেকে পাওয়া ওই অর্থ নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি। আর নিজেদের নাজুক অবস্থা তো আছেই।