• ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজ
  • " />

     

    বেইরস্টো-রয়ে পাকিস্তানের ৩৫৮ হেলায় পেরিয়ে গেল ইংল্যান্ড

    বেইরস্টো-রয়ে পাকিস্তানের ৩৫৮ হেলায় পেরিয়ে গেল ইংল্যান্ড    

    তৃতীয় ওয়ানডে, ব্রিস্টল
    পাকিস্তান ৩৫৮/৯, ৫০ ওভার (ইমাম ১৫১, আসিফ ৫২, ওকস ৪/৬৭) 
    ইংল্যান্ড ৩৫৯/৪, ৪৪.৫ ওভার (বেইরস্টো ১২৮, রয় ৭৬, জুনাইদ ১/৫৭)
    ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী 


    লক্ষ্য ৩৫৯। আগের ম্যাচের চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ করলো পাকিস্তান। তবে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং বললো, ‘ফু!’ জ্যাসন রয় ও জনি বেইরস্টোর ১০৫ বলে ১৫৯ রানের ওপেনিং জুটিই মূলত ইংল্যান্ডের পরের ব্যাটসম্যানদের দিয়েছে স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ, ব্রিস্টলে তৃতীয় ওয়ানডে তারা জিতে গেছে ৩১ বল বাকি থাকতেই! এবং সম্পূরক তথ্য হলো, এ ম্যাচে খেলেননি জস বাটলার। ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের পর ইমাম-উল-হকের ১৩১ বলে ১৫১ রানের ইনিংসও তাই লাগতে পারে বিবর্ণ! 

    রয়-বেইরস্টোর ধংসযজ্ঞ শুরু হয়েছে মূলত দ্বিতীয় ওভার থেকে, শাহিন শাহ আফ্রিদিকে পরপর দুই বলে রয়ের চার দিয়ে। পাওয়ারপ্লেতে ইংল্যান্ড তুলেছে ৭৪ রান। ১১তম ওভারের প্রথম বলে ইমাদ ওয়াসিমকে ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডের পাশে আবাসিক এলাকায় পাঠিয়েছেন রয়, তাদের হাতখোলা ব্যাটিংয়ের জন্য যেন দরকার নেই ফিল্ডিং-রেস্ট্রিকশন। ফাহিম আশরাফকে স্ল্যাশ করতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়ার আগে রয় করেছেন ৫৫ বলে ৭৬ রান। 

     

     

    তবে সেই ব্রেকথ্রু পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরাতে পারেনি মোটেও। ২৪তম ওভারে নিজের সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন বেইরস্টো, মাত্র ৭৪ বলে। জুনাইদ খানকে জোরের ওপর ফ্লিক করতে গিয়ে বল ডেকে এনেছেন স্টাম্পে, তার আগে করেছেন ৯৩ বলে ১২৮ রান। জো রুটের সঙ্গে তার জুটি ৭৫ রানের। 

    ইংল্যান্ডকে এরপর জয় দেখিয়েছে তিনটি জুটি- বেন স্টোকসের সঙ্গে রুট ও মইন আলির যথাক্রমে ৪৪ ও ৪৬ রানের পর মইন ও অইন মরগানের অবিচ্ছিন্ন ৩৫ রান। ইমাদ ওয়াসিমকে ইনফিল্ড ছাড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড-অফে ধরা পড়েছিলেন রুট, ৩৬ বলে ৪৩ রান করে। স্টোকস আউট হয়েছেন একটু অদ্ভুতভাবে, মইনের বোলারস ব্যাকড্রাইভটা আফ্রিদির পায়ে লেগে ভেঙে দিয়েছে নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প, ৩৮ বলে ৩৭ রান তার। ক্রিজে আজ বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পেরেছেন ইংল্যান্ডের প্রধান অলরাউন্ডার। 

    জয় নিশ্চিত হওয়ার সময় মইন অপরাজিত ছিলেন ৩৬ বলে ৪৬ রানে, মরগান করেছেন ১২ বলে ১৭। এ ম্যাচে নেওয়া হয়েছিল জো ডেনলিকে, তবে নিচের দিকে তাকে খেলানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগটাই মেলেনি। এর আগে বোলিংয়ে করেছিলেন ১ ওভার, দিয়েছিলেন ৯ রান। 

     

     

    প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের বোলিং ছিল বিবর্ণই। প্রথম ওভারে ক্রিস ওকসকে খোঁচা মেরে ফিরেছিলেন ফাখার জামান, তবে তার অনুপস্থিতি টেরই পেতে দেননি ইমাম। পাকিস্তানের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা বাবর আজমের সঙ্গে জুটিটা বড় হয়নি তার, সমানসংখ্যক বলে ৪১ রান করা হারিসের সঙ্গে জুটি ৬৮ রানের। 

    ইমাম ফিফটি করেছিলেন ৫৫ বলে, সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি গড়েছেন ৬৫ বলে। তবে আসিফ আলি আসার পর থেকেই বদলে গেছেন ইমামও, এ জুটিতে ৪৭ বলে তিনি করেছেন ৬৮ রান। ক্যারিয়ারে প্রথম ১৫০ ছুঁয়েছেন ১২৮ বলে। অবশ্য টম কারানের বলে বোল্ড হয়েছেন ২ বল পরই। আসিফের সঙ্গে তার জুটিতে ৯০ বলে উঠেছে ১২৫ রান। 

     

     

    ইমাম থাকতেই ৩০০ পেরিয়ে গেছে পাকিস্তান। শেষ ৫ ওভারে তার তুলেছে ৪৯ রান, ইমাদ ওয়াসিমের ১২ বলে ২২ ও হাসান আলির ৯ বলের ১৮ রানের দুটি ক্যামিওতে ভর করে। ডেথ ওভারে আগের দিনের মতো পাকিস্তানকে আটকে রাখতে পারেননি ইংলিশ পেসাররা। 

    তবে এরপর ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়ে মনে হয়েছে, প্রয়োজনের চেয়ে বেশ আগেই পাকিস্তানকে আটকে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড বোলাররা।