• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    আর্থিক অনিয়ম নিয়ে সিটির বিপদ বাড়ছেই

    আর্থিক অনিয়ম নিয়ে সিটির বিপদ বাড়ছেই    

    আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখছিল ইউয়েফা। জার্মান সংবাদপত্র ডার স্পেইগেল এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনের আনা অভিযোগের তদন্ত শেষ করেছে তারা। এবার সিটির ভাগ্য নির্ধারণে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য নিয়োজিত অতিরিক্ত সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে ইউয়েফা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগেও খেলা নাও হতে পারে পেপ গার্দিওলার দলের।

    সিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ অবশ্য একটি নয়, একাধিক। ২০১৫ সালে ক্লাবের মালিকপক্ষ আরব শেখদের থেকে সরাসরি ৬০ মিলিয়ন পাউন্ড নিয়েছিল তারা। কিন্তু কাগজে কলমে সেটাকে স্পন্সরশিপে পাওয়া অর্থ হিসেবে দেখিয়েছে সিটি। এছাড়া গত বছর ৬০ মিলিয়ন পাউন্ডে ক্লাব রেকর্ড সাইনিং রিয়াদ মাহরেজকে দলে নেওয়ার চুক্তিতেও ছিল ধোঁয়াশা। মাহরেজের ট্রান্সফার ফিয়ের উৎস নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে স্পেইগেল। সিটির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অবশ্য এবারই প্রথম নয়। ২০১৪ সালে এফএফপি-এর নিয়ম ভেঙে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ইউরো বেশি খরচ করেছিল বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। সেবার জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে গেলেও এবার হয়তো এত সহজে ছাড় মিলছে না সিটিজেনদের।

     

     

    ইউয়েফার আর্থিক তদন্ত কমিটির প্রধান ইয়েভেস লেতেরমের নেতৃত্বে সিটির বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত শেষ করেছে। আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে ইউয়েফা জানিয়েছে, 'ম্যান সিটির বিরুদ্ধে ডার স্পেইগেল, নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং ফুটবল লিকসের একাধিক অভিযোগ খতিয়ে দেখেছি আমরা। আমাদের হাতে এসব ব্যাপারে বেশ কিছু প্রমাণও দিয়েছে তারা। বাকি তদন্ত আর্থিক ব্যবস্থাপনার অতিরিক্ত সংস্থাই করবে। এখনই কোনও আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাচ্ছি না। পুরো তদন্তের আগে আর কিছুই জানানো হবে না।' ইউয়েফার এমন তদন্তে বেশ হতাশ সিটি। ইউয়েফার মত পাল্টা বিবৃতি জানিয়েছে তারাও।

     

     

    'ইউয়েফার এমন সিদ্ধান্তে ম্যান সিটি অবশ্যই হতাশ, কিন্তু আমরা অবাক হইনি। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর প্রত্যেকটিই মিথ্যে এবং বানোয়াট। তদন্তের আকস্মিক সিদ্ধান্তেও আমরা বেশ অবাক হয়েছি। তবে আমরা বিশ্বাস করি, ইউয়েফার নিয়ম মেনেই আমরা প্রতিবার দলবদল করেছি। তদন্ত শেষে ইতিবাচক ফলাফলই প্রত্যাশা করছি আমরা।' তবে অতিরিক্ত সংস্থার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগে হয়তো আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগও শুরু হয়ে যেতে পারে। সিদ্ধান্ত নিজেদের পক্ষে না গেলে আপিলেরও সুযোগ থাকছে সিটির। সেক্ষেত্রে হয়তো বার্সেলোনার ট্রান্সফার ব্যানের মত এক মৌসুম স্থগিত থাকতে পারে সিটির শাস্তি।