• ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজ
  • " />

     

    বিধ্বংসী রয়ে আবারও বড় লক্ষ্য তাড়া করে জিতল ইংল্যান্ড

    বিধ্বংসী রয়ে আবারও বড় লক্ষ্য তাড়া করে জিতল ইংল্যান্ড    

    স্কোর

    পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৩৪০/৭ ( বাবর ১১৫, হাফিজ ৫৯; কারান ৪/৭৫)

    ইংল্যান্ড ৪৯.৩ ওভারে ৩৪১/৭ ( রয় ১১৪, স্টোকস ৭১*; ওয়াসিম ২/৬২)

    ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে জয়ী

    এ যেন আগের দুই ম্যাচের দেজা ভ্যু! পাকিস্তান প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে করবে বড় স্কোর, সেই স্কোর অনায়াসেই টপকে যাবে ইংল্যান্ড। সাউদাম্পটন ও ব্রিস্টলের মতো একই ঘটনা ঘটল নটিংহামেও। চতুর্থ ওয়ানডেতে জেসন রয়ের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে ৩ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করল ইংলিশরা।

    লক্ষ্য ছিল ৩৪১। রান তাড়া করার শুরুটাও সেভাবেই করলেন রয় ও জেমস ভিন্স। জুনায়েদ খান-হাসান আলিদের বলে ঝড় তুলে ১৩ ওভারের মাঝেই স্কোরবোর্ডে উঠল ৯৩ রান। ১৪ তম ওভারে পাকিস্তানকে ব্রেকথ্রু এনে দেন মোহাম্মদ হাসনাইন। ৩৯ বলে ৪৩ রান করা ভিন্স হাসনাইনের বলে হন বোল্ড। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিতে পাকিস্তানের অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও ১৩ ওভার। এর মাঝে জো রুটকে সাথে নিয়ে ১০৭ রানের জুটি গড়েন রয়, তুলে নেন সেঞ্চুরিও।

    ১১ চার ও চারটি ছয়, রয়ের স্ট্রাইক রেট ইনিংসজুড়েই ছিল ১০০ এর ওপরে। ছয় মেরে ক্যারিয়ারের অষ্টম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূরণ করার পর খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে ছিলেন না রয়। রয়কে ফেরান সেই হাসনাইনই, ১১৪ রান করে সরফরাজ আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। রয় ফেরার পর ১৫ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল ইংলিশরা। জস বাটলার ও মঈন আলি রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

    সেই অবস্থায় দলের হাল ধরেন বেন স্টোকস। পাঁচ চার ও তিন ছয়ে তাঁর ৬৪ বলে ৭১ রানের ইনিংসটাই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছে। স্টোকসকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন টম কারান, করেছেন ৩০ বলে ৩১ রান। কারান হাসান আলির বলে বোল্ড হলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন স্টোকস। তিন বল ও তিন উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।

     

     

    ম্যাচের শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। ৯ রানের মাথায় ইমাম উল হক ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়লেও পরের উইকেটে ১০৭ রান তোলেন ফাখার জামান ও বাবর আজম। ফাখার ৫৭ করে ফিরলেও তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে আরও ১০৪ রান যোগ করেন বাবর। ১৩ চার ও এক ছয়ে সাজানো ইনিংসে বাবর পেয়েছেন সেঞ্চুরিও। ১১২ বলে ১১৫ রান করা বাবরকে ফেরান কারান। এরপর শোয়েব মালিকের ২৬ বলে ৪১ ও সরফরাজের ১৪ বলে ২১ রানের সুবাদে ৩৪০ রানের বড় স্কোর দাড় করায় পাকিস্তান। সেটাও শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হয়নি জয়ের জন্য।