• লা লিগা
  • " />

     

    এইবারে মেসির জোড়া গোলও জেতাতে পারল না বার্সাকে

    এইবারে মেসির জোড়া গোলও জেতাতে পারল না বার্সাকে    

    শিরোপা জেতা হয়ে গেছে। তাই এই ম্যাচটা ছিল বার্সেলোনার জন্য নিছক আনুষ্ঠানিকতার। শেষটা অবশ্য জয়ে হলো না বার্সার। লিওনেল মেসির জোড়া গোলে এইবারের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে তারা। ৮৭ পয়েন্ট নিয়ে তাই মৌসুম শেষ হলো এর্নেস্তো ভালভার্দের দলের।



    মার্ক কুরুচেলা অবশ্য শুরুটা যেমন করেছিলেন, শেষটা সেভাবে করতে পারলে হেরেই দিন শেষ করতে হতে পারত বার্সার। ২-২ এ থাকা অবস্থায় ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে গোলের কয়েক ফিট দূর থেকে সুর্বণ এক সুযোগ নষ্ট করেছেন তিনি। মেরেছেন অনেক ওপর দিয়ে। 

    এছাড়াও অবশ্য প্রায় পুরোটা ম্যাচে বার্সাকে খাটিয়ে গেছে এইবার। তবে তাদের দুই গোলে দোষটা বেশি বার্সা গোলরক্ষক জ্যাস্পার সিলেসেনের। ১০ মিনিটে কুরুচেলার ডিবক্সের বাম দিক থেকে কোণাকুণি করা শট গোলে পরিণত হয়েছে সিলেসেনের হাতের নিচ দিয়ে গিয়ে। ম্যাচের আধঘণ্টা পার হওয়ার পর এক মিনিটের ব্যবধানে অবশ্য মেসিও ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন দলকে। ৩১ মিনিটে ভিদালের ডিবক্সের বাইরে থেকে দেওয়া থ্রু পাস মেসি সিক্স ইয়ার্ড বক্সের কোণায় রিসিভ করে নিখুঁত ফিনিশে প্রথম গোল করেন মেসি।

    পরের মিনিটেই প্রায় একইরকম গোল মেসির। তবে এবার বল পেলেন নিজের অর্ধ থেকে। সেই পাস ধরে অফসাইড ফাঁকি দিয়ে এরপর এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে কোণাকুণি চিপ করে বার্সাকে এগিয়ে নিয়ে যান মেসি। কিন্তু বিরতির ঠিক আগে আরও একবার গড়বড় পাকি ফেলেন সিলেসেন। লং বল ক্লিয়ার করেছিলেন হেড দিয়ে, পরে সেটা চলে যায় ডিবক্সের ঠিক বাইরে পাবলো ব্লাসিসের কাছে। তার দুর্দান্ত ভলিতে করা গোলে এইবারের মাঠে আবার সমতায় ফেরে ম্যাচ।   

    দ্বিতীয়ার্ধে এরপর বহু চেষ্টায়ও এগিয়ে যাওয়া হয়নি মেসি-ম্যালকমদের। সেরা সুযোগগুলো অবশ্য পেয়েছিলেন জেরার্ড পিকে। একবার শট সেভ করেছেন এইবার গোলরক্ষক। আরেকবার ম্যালকমের ডিবক্সের ভেতর থেকে করা স্কয়ার পাস অল্পের জন্য পা ছুঁয়ে গোল করতে পারেননি পিকে। অন্যপ্রান্তে সময়ে সময়ে সিলেসনকে ভালো সেভ করে আটকে রাখতে হয়েছে এইবারকে। শেষে তো এরকম হাপ ছেড়েই বেঁচেছে বার্সা। এইবার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলে হারে শেষ হতে পারত মৌসুমটা।