• বিশ্বকাপের দল-ব্যবচ্ছেদ
  • " />

     

    নিউজিল্যান্ডের 'দ্য ফাইনাল প্রব্লেম' ও পাঁচ প্রশ্ন

    নিউজিল্যান্ডের 'দ্য ফাইনাল প্রব্লেম' ও পাঁচ প্রশ্ন    

    নিউজিল্যান্ড এখন আর সেমিফাইনালের দল নয়, গতবারের ফাইনালিস্ট তারা। সেমিফাইনাল এবার দৃষ্টিসীমাতেই, তবে গতবারের দলকে ছাড়িয়ে যেতে সে বাধা টপকাতে হবে তাদের। তখন তাদের সামনে হাজির হবে ‘দ্য ফাইনাল প্রব্লেম’, যে সমস্যার সামনে যেতে তাদের খুঁজতে হবে পাঁচ প্রশ্নের উত্তর। 


    ‘পেস লাইক ফায়ার’ 

    গত বিশ্বকাপে মিচেল স্টার্কের সঙ্গে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি উইকেট ছিল ট্রেন্ট বোল্টের, গত বিশ্বকাপের পর থেকে পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিকারও তার। মোক্ষম লেংথ থেকে সুইং আদায় করে নিতে পারেন, পেস আছে বলে কন্ডিশনের সহায়তাও সবসময় দরকার পড়ে না তার। বোল্টের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের পেস আক্রমণে আছেন তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী টিম সাউদি, দুইদিকেই সুইংয়ের ক্ষমতা আছে তার। আছেন গতির ঝড় তোলা লকি ফার্গুসন ও ম্যাট হেনরি। স্কোয়াডে দুজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার তাদের- জিমি নিশাম ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। গত বিশ্বকাপের পর থেকে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৭৪.৩১ শতাংশ উইকেটই নিয়েছেন পেসাররা। নিউজিল্যান্ডের পেস আক্রমণ এ বিশ্বকাপে অন্যতম ভয়ঙ্কর, ঠিক দিনে তারা জ্বলে উঠবেন কিনা, প্রশ্ন শুধু সেটিই। 

     

     


    পারবেন স্যান্টনার?

    পেস, দ্রুত রান আর রিস্টস্পিনার- ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সাফল্যের মূলমন্ত্র ধরা হচ্ছে এসবেই। পেস আক্রমণে টিক থাকলেও রিস্টস্পিনারের ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড পিছিয়েই। তাদের মূল স্পিনার মিচেল স্যান্টনার, বাঁহাতি অর্থোডক্স যিনি। গত বিশ্বকাপের পর থেকে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল স্পিনারও তিনি। সঙ্গে স্পিন অপশন হিসেবে আছেন ইশ সোধি, তিনি অবশ্য লেগস্পিনার। অভিষেকের পর থেকে তিনি খেলেছেন ৩০ ওয়ানডে, বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড দলেও ছিলেন না তিনি। স্পিনে নিজেদের কাজটা করতে পারবেন স্যান্টনার-সোধি? 


    এবং ওপেনিংয়ে ধোঁয়াশা

    মার্টিন গাপটিলের সঙ্গে ওপেনিংয়ে আসতে পারেন হেনরি নিকোলস, গত বিশ্বকাপের পর থেকে ১০টি ওপেনিং জুটির যা নতুন সংযোজন। এমনিতে সবচেয়ে সফল টম ল্যাথামের সঙ্গে গাপটিলের জুটি, এরপর আছে গাপটিল-কলিন মানরোর জুটি। তবে আরও কয়েকটি দলের মতো ওপেনিং জুটিতে ধোঁয়াশা আছে নিউজিল্যান্ডেরও। 

     

    নিশাম-গ্র্যান্ডহোম পারবেন দায়িত্ব নিতে? 

    কোরি অ্যান্ডারসনের চোটের কারণে নেই বেশ কিছুদিন ধরেই। দলে স্বীকৃত দুজন অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও জিমি নিশাম। অবশ্য উইলিয়ামসন যেমন হাত ঘুরাতে পারেন, তেমনি ব্যাটিংটা পারেন মিচেল স্যান্টনারও। তবে তারা কি পারবেন অলরাউন্ডারের ভূমিকাটা ঠিকঠাক পালন করতে? গত বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সাফল্যের অন্যতম রূপকার ছিলেন গ্রান্ট এলিয়ট, একজন অলরাউন্ডারই। 

     

    ‘দ্য ফাইনাল প্রব্লেম’ 

    সাতবারের চেষ্টায় সেমিফাইনাল বাধা গত বিশ্বকাপে পেরিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সেমিফাইনাল থেকে বারবার ফিরে যাওয়ার আক্ষেপ তাদের চেয়ে বোধহয় কেউ জানে না। এমসিজির ফাইনাল থেকে গতবার ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ফিরেছিলেন খালি হাতেই, তবে তার আগেই তাদের ক্রিকেটের সেরা সময়টা দেখেছিল নিউজিল্যান্ড। এবার সেমিফাইনালের দৌড়ে নিউজিল্যান্ড আছে ভালভাবেই, তবে তাদের লক্ষ্য নিশ্চয়ই তার চেয়ে বেশি। সেই 'ফাইনাল প্রব্লেম'-এর শার্লক হোমসটা কে হবেন নিউজিল্যান্ডের? 

    স্কোয়াড 
    কেন উইলিয়ামসন(অধিনায়ক), মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকলস, রস টেইলর, টম ল্যাথাম, কলিন মানরো, টম ব্লান্ডেল, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, জিমি নিশাম, ইশ সোধি, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন, টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট

    কোচ- গ্যারি স্টিড 

    সূচি 

    শ্রীলঙ্কা, ১ জুন, ৩.৩০, কার্ডিফ 
    বাংলাদেশ, ৫ জুন, ৬.৩০, ওভাল *
    আফগানিস্তান, ৮ জুন, ৬.৩০, টন্টন*
    ভারত, ১৩ জুন, ৩.৩০, ট্রেন্টব্রিজ
    দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৯ জুন, ৩.৩০, এজবাস্টন 
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২২ জুন, ৬.৩০, ওল্ড ট্রাফোর্ড*
    পাকিস্তান, ২৬ জুন, ৩.৩০, এজবাস্টন
    অস্ট্রেলিয়া, ২৯ জুন, ৬.৩০, লর্ডস*
    ইংল্যান্ড, ৩ জুলাই, ৩.৩০, চেস্টার-লি-স্ট্রিট 

    *দিবারাত্রির ম্যাচ 


    বিশ্বকাপে রেকর্ড 
    ১৯৭৫ সেমিফাইনাল
    ১৯৭৯ সেমিফাইনাল
    ১৯৮৩ গ্রুপপর্ব
    ১৯৮৭ গ্রুপপর্ব
    ১৯৯২ সেমিফাইনাল
    ১৯৯৬ কোয়ার্টার ফাইনাল
    ১৯৯৯ সেমিফাইনাল
    ২০০৩ সুপার সিক্স
    ২০০৭ সেমিফাইনাল
    ২০১১ সেমিফাইনাল
    ২০১৫ রানার্স-আপ