• বিশ্বকাপের দল-ব্যবচ্ছেদ
  • " />

     

    'নকআউট দুঃস্বপ্নের' সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে আরও চার প্রশ্ন

    'নকআউট দুঃস্বপ্নের' সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে আরও চার প্রশ্ন    

    প্রতিবারই কাগজে কলমে তারা ফেবারিট থাকে, এবারের দলটা ঠিক ‘হট ফেবারিট’ না হলেও শেষ পর্যন্ত যাওয়ার মতোই। তবে তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে অপেক্ষা করছে বেশ কিছু প্রশ্ন।

    নকআউট বাধা ঘুঁচবে?

    ১৯৯২ বিশ্বকাপে বৃষ্টির সেই নির্মম রসিকতা, ১৯৯৬ সালে অতিমানব লারার কাছে হেরে যাওয়া, ৯৯ বিশ্বকাপে ডোনাল্ড-ক্লুজনারের দৌড়, ২০০৩ সালে হিসেবের গরমিলে বাদ পড়া, আর সর্বশেষ ২০১৫তে ডেল স্টেইনের সেই লুটিয়ে পড়ার দৃশ্য- বিশ্বকাপ দক্ষিণ আফ্রিকার মতো আর কারও সঙ্গেই এমন ছলনা করেনি। বিশেষ করে নকআউট পর্ব মানেই আফ্রিকার জন্য বিভীষিকা। বিশ্বকাপে মাত্র একটিই নকআউট ম্যাচ জিতেছে তারা, সেটিও গতবার শ্রীলংকাকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে। এবার নকআউট পর্বে উঠতেই অবশ্য কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। সেমির বাধা আসবে এরপর

     

    ভরসা ডু প্লেসিই?

    ইতিহাস বলে, দক্ষিণ আফ্রিকার সব সাফল্যের পেছনে আছেন একজন ক্যারিশম্যাটিক অধিনায়ক।  সেটা ৯২তে  কেপলার ওয়েলস, ৯৮ সালের সেই নকআউট ট্রফিজয়ী হানসি ক্রনিয়ে বা ২০০৩ সালের পর থেকে গ্রায়েম স্মিথ- যেই হোন। ফাফ ডু প্লেসি যে জাত নেতা, সেটা দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট জানত অনেক আগে থেকেই। বিশ্বের একটু জানতে সময় লেগেছে। টি-টোয়েন্টি দিয়েই শুরু হয়েছিল, এরপর ধীরে ধীরে দায়িত্ব পেয়েছেন টেস্ট-ওয়ানডের। বিশ্বকাপে এই প্রথম টস করতে নামবেন ডু প্লেসি, তাঁর ওপর আশাটাও থাকবে বেশি।

     

    পেসাররা ফিট থাকবেন তো?

    দক্ষিণ আফ্রিকা পেসাররা বিশ্বকাপে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন, সেটা জানেন সবাই। কাগিসো রাবাদা এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা বোলারদের ছোট্ট তালিকায়ও থাকবেন। লুঙ্গি এনগিদি এর মধ্যেই ভরসা হয়ে উঠছেন, আর ডেল স্টেইনের জন্য এই বিশ্বকাপ শেষবার জ্বলে ওঠার সুযোগ। সমস্যা হচ্ছে, এই তিনজন একসঙ্গে ফিট থাকবেন কি না সেটিই বড় প্রশ্ন। প্রস্তুতি ম্যাচে অবশ্য রাদাবা আর এনগিদি খেলেছেন, তবে স্টেইন ছিলেন না। সেক্ষেত্রে মরিস বিকল্প হিসেবে কতটা কার্যকর হবেন সেই প্রশ্নও থেকে যায়।

     

    আমলাতান্ত্রিক জটিলতা মিটবে?

    হাশিম আমলার জন্য এবারের বিশ্বকাপটা বড় একটা চ্যালেঞ্জই। গত চার বছর ভালো যায়নি খুব একটা। এই সময়ে গড় ছিল ৩৯, যেখানে ক্যারিয়ার গড় ৪৯। গত দেড় বছরে সেঞ্চুরি মাত্র একতি, নড়বড়ে আমলার জায়গা নিয়েও বিশ্বকাপে উথেছিল প্রশ্ন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য আশার খবর হচ্ছে, প্রস্তুতি ম্যাচে আবার ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। শ্রীলংকার বিপক্ষে ৬৫ রান করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অপরাজিত ছিলেন ৫১ রানে।

     

    স্পিনে বৈচিত্র্য কাজে আসবে?

    একজন পরীক্ষিত লেগ স্পিনার, একজন চায়নাম্যান, আর আরেকজন কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো অফ স্পিনার। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনটাও পেসারদের সাহায্য করার জন্য তৈরি। ইমরান তাহিরের এটাই শেষ বিশ্বকাপ, নিজেকে উজাড় করে দিতে চাইবেন শেষবার। টুর্নামেন্টের শেষদিকে চায়নাম্যান তাবরাইজ শামসি কার্যকর হয়ে উঠতে পারেন। আর সবসময়ের ভরসা জেপি ডুমিনির অফ স্পিন তো আছেই।   

    স্কোয়াড

    ফাফ ডু প্লেসি (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক, হাশিম আমলা, এইডেন মার্করাম, রাসি ফন ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার, জেপি ডুমিনি, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, অ্যান্ডিল ফেহলুকওয়ায়ো, ডেল স্টেইন, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি, ক্রিস মরিস, ইমরান তাহির, তাবরাইজ শামসি। 

     

     

     

    কোচ : ওটিস গিবসন

     আইসিসি র‍্যাঙ্কিং ৩

     

    সূচি

    ইংল্যান্ড, ৩০ মে, ৩.৩০, ওভাল

    বাংলাদেশ, ২ জুন, ৩.৩০, ওভাল

    ভারত, ৫ জুন, ৩.৩০, সাউদাম্পটন

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১০ জুন, ৩.৩০,  সাউদাম্পটন

    আফগানিস্তান, ১৫ জুন, ৬.৩০, কার্ডিফ*

    নিউজিল্যান্ড, ১৯ জুন, ৩.৩০, বার্মিংহাম

    পাকিস্তান, ২৩ জুন, ৩.৩০, লর্ডস

    শ্রীলংকা, ২৮ জুন, ৩.৩০, ডারহাম

    অস্ট্রেলিয়া, ৬ জুলাই, ৬.৩০, ওল্ড ট্রাফোর্ড*

     

    * দিবারাত্রির ম্যাচ

     

    বিশ্বকাপে রেকর্ড

    ১৯৯২- সেমিফাইনাল

    ১৯৯৬- কোয়ার্টার ফাইনাল

    ১৯৯৯- সেমিফাইনাল

    ২০০৩- গ্রুপ পর্ব,

    ২০০৭- সেমিফাইনাল

    ২০১১- কোয়ার্টার ফাইনাল

    ২০১৫- সেমিফাইনাল