• বিশ্বকাপের দল-ব্যবচ্ছেদ
  • " />

     

    পারবে ইংল্যান্ড?.... এবং আরও চারটি প্রশ্ন

    পারবে ইংল্যান্ড?.... এবং আরও চারটি প্রশ্ন    

    বড় স্কোর… যথেষ্ট? 

    জ্যাসন রয়, জনি বেইরস্টো- দুজনের ওপেনিং জুটি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। ওয়ানডে ইতিহাসে কমপক্ষে ১০০০ রান করা ওপেনিং জুটিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট এই জুটির, দুজন রান তোলেন ওভারপ্রতি ৭.২০ করে। জো রুট এ মুহুর্তে ফরম্যাটজুড়ে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, ৫০-এর ওপরে গড়, ৮৫-এর ওপর স্ট্রাইক রেট। রুটের পর আছেন অইন মরগান, জস বাটলার, বেন স্টোকস, মইন আলি। ইতিহাসে কমপক্ষে ৫০ ইনিংস ব্যাটিং করা ৯ জন ব্যাটসম্যান আছেন, ২৫-এর ওপর গড় নিয়ে যাদের স্ট্রাইক রেট ১০০-এর ওপরে। এর মাঝে চারজন এই ইংল্যান্ড দলের- রয়, বেইরস্টো, বাটলার ও মইন। সঙ্গে আছেন বেন স্টোকস, তার মতো অলরাউন্ডার চায় প্রায় প্রতিটি দলই। টেইল-এন্ডারদের বাদ দিলেও ইংল্যান্ডের এই সাতজন ব্যাটসম্যান যেন ‘দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’। আর গত বিশ্বকাপের পর থেকে ইংল্যান্ডের টেইল এন্ডারদেরও স্ট্রাইক রেট ৯৬.৬৪। তবে এতকিছুর পর প্রশ্ন, তাদের বড় স্কোরই কি যথেষ্ট হবে তাদের? 

    রশিদ-মইনেই ভরসা? 

    আদিল রশিদ অধিনায়ক মরগানের ‘যা চাই পাবেন’ ধরনের বোলার। ব্রেকথ্রু প্রয়োজন পড়লে ডাক পড়ে তার, মরগান তাকে ব্যবহার করেন বেশ কৌশলে। গত বিশ্বকাপের পর থেকে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি উইকেট আদিল রশিদেরই। তার বোলিংয়ে আছে বৈচিত্র, ব্যাটসম্যানকে ধোঁকা দেওয়ার সামর্থ্য। রশিদের সঙ্গে স্পিনে আছেন মইন আলি, গত বিশ্বকাপের পর থেকে স্পিনারদের মধ্যে উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষ দশে আছেন তিনিও। হাত ঘুরানোর অভ্যাস আছে জো রুটেরও। প্রশ্নটা তাই প্রতিপক্ষের ব্যাটিং আক্রমণ নিয়ে, রশিদ-মইনকে নির্বিষ করে দেওয়ার ওপর নির্ভর করছে ম্যাচের গতিপথও। 

     

     

    পেস আক্রমণের কম্বিনেশন কী? 

    জফরা আর্চারকে দলে নেওয়া ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণে বাড়তি পেস যোগ করেছে নিশ্চিতভাবেই। তার জন্য জায়গা করে দিতে হয়েছে ডেভিড উইলিকে। ক্রিস ওকস বলতে গেলে নেতৃত্ব দেবেন পেস আক্রমণের। তবে কম্বিনেশনটা কী হবে, সেটা এখনও ঠিক করতে পারেনি ইংল্যান্ড। স্টোকস ও ওকসসহ আর্চার, মার্ক উড, লিয়াম প্লাঙ্কেট, টম কারানদের মধ্যে থেকে কম্বিনেশনটা খুঁজে বের করতে হবে ইংল্যান্ডকে। 

    ব্যাক-আপরা পারবেন? 

    অ্যালেক্স হেলসকে বাদ দেওয়ার কারণে দৃশ্যপটে এসেছেন জেমস ভিনস, ব্যাক-আপ ওপেনার হিসেবেই আছেন তিনি। প্রাথমিক স্কোয়াডে জো ডেনলি থাকলেও শেষ পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার লিয়াম ডসনকে। স্পিন বা টপ অর্ডারে কারও চোট তাই সামনে আনবে ভিনস-ডসনকে। তবে দুজনের ওয়ানডে অভিজ্ঞতা যথাক্রমে ১০ ও ৩ ম্যাচের। ইংল্যান্ড স্কোয়াডে প্রদিপের নিচে অন্ধকার হয়ে যেতে পারে তাদের এই দুই সদস্যের ‘বেঞ্চ’। সে অন্ধকার দূর করা বা না করা বদলে দিতে পারে টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের গতিপথ। 

    এবং ফেভারিট-তকমার 'চাপ' 

    অন্তত এ শতাব্দিতে এমন ঘটনা এর আগে ঘটেনি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরু করছে ফেভারিট হিসেবে। গত চার বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটের নতুন এক ব্র্যান্ডই মোটামুটি দাঁড় করিয়েছে তারা। দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও তাদের রেকর্ড অসাধারণ। তবে ব্যাপারটা যখন বিশ্বকাপ, তখন হাজির হবে চাপ। প্রথম পর্ব বেশ লম্বা, তবে শিরোপা জিততে নক-আউট পর্বটাও টপকে যেতে হবে ইংল্যান্ডকে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যেমন তারা আটকে গিয়েছিল সেমিফাইনালেই। যদিও অধিনায়ক মরগান বা অন্যরা বলছেন, তার পর থেকেও দল হিসেবে আরও এগিয়েছেন তারা। ফেভারিট ট্যাগটাতেও তারা খুশি বলেই জানিয়েছেন মরগান। তবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া এমনকি নিউজিল্যান্ডেরও সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত যাওয়ার অভিজ্ঞতা। ইংল্যান্ড পারবে, শেষ করতে? 

    স্কোয়াড

    অইন মরগান (অধিনায়ক), জ্যাসন রয়, জনি বেইরস্টো, জেমস ভিনস, জো রুট, বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস, মইন আলি, জস বাটলার, মার্ক উড, লিয়াম প্লাঙ্কেট, টম কারান, জফরা আর্চার, আদিল রশিদ, লিয়াম ডসন
     

    সূচি 
    দক্ষিণ আফ্রিকা, ৩০ মে, ৩.৩০, ওভাল 
    পাকিস্তান, ৩ জুন, ৩.৩০, নটিংহাম 
    বাংলাদেশ, ৮ জুন, ৩.৩০, কার্ডিফ 
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৪ জুন, ৩.৩০, সাউদাম্পটন 
    আফগানিস্তান, ১৮ জুন, ৩.৩০, ওল্ড ট্রাফোর্ড 
    শ্রীলংকা, ২১ জুন, ৩.৩০, লিডস 
    অস্ট্রেলিয়া, ২৫ জুন, ৩.৩০, লর্ডস 
    ভারত, ৩০ জুন, ৩.৩০, বার্মিংহাম 
    নিউজিল্যান্ড, ৩ জুলাই, ৩.৩০, ডারহাম 

    বিশ্বকাপে রেকর্ড
    ১৯৭৫-সেমিফাইনাল 
    ১৯৭৯-রানার্সআপ 
    ১৯৮৩-সেমিফানাইল 
    ১৯৮৭- রানার্সআপ 
    ১৯৯২- রানার্সআপ, 
    ১৯৯৬- কোয়ার্টার ফাইনাল
    ১৯৯৯- গ্রুপ পর্ব 
    ২০০৩ -গ্রুপ পর্ব, 
    ২০০৭ -সুপার এইট 
    ২০১১-কোয়ার্টার ফাইনাল 
    ২০১৫- গ্রুপ পর্ব