• ইউরোপা লিগ
  • " />

     

    পছন্দমতো অনুশীলন না হওয়াতেই মাঠ ছেড়েছিলেন সারি?

    পছন্দমতো অনুশীলন না হওয়াতেই মাঠ ছেড়েছিলেন সারি?    

    ইউরোপা লিগের ফাইনালের আগে বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শেষবারের মতো অনুশীলন করছিল চেলসি। সেই অনুশীলনের এক পর্যায়ে রাগে গজরাতে গজরাতে মাঠ ছাড়লেন কোচ মাউরিসিও সারি। নিজের টুপি খুলে সেটাকে লাথিও মারলেন! কিন্তু ফাইনালের আগে ঠিক কী কারণে এমনটা করলেন সারি? সেটা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছিল কাল থেকেই। পরবর্তীতে চেলসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোন ফুটবলারের ওপর রাগ করে নয়, মিডিয়ার উপস্থিতির কারণে নিজের পছন্দমতো অনুশীলন সারতে না পেরেই অমন রেগে গিয়েছিলেন তিনি।

    আর্সেনালের বিপক্ষে ফাইনালের আগে শেষবারের মতো নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন চেলসি ফুটবলাররা। অনুশীলনের এক পর্যায়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন গঞ্জালো হিগুয়াইন ও ডেভিড লুইজ। এই ঘটনার কিছুক্ষণের মাঝেই অনুশীলন ছেড়ে চলে যান সারি। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় দুইবার নিজের ক্যাপ মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন, মেরেছেন লাথিও।

     

     

    অনুশীলনের মাঝপথেই সারির এমন রাগান্বিত অবস্থায় বের হয়ে যাওয়া নিয়ে উঠেছিল নানা গুঞ্জন। হিগুইয়ান-লুইজের অমন তর্কের কারণেই কি অনুশীলন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সারি? চেলসির মুখপাত্র অবশ্য জানিয়েছেন, ফুটবলারদের কারো ওপর রাগ করে মাঠ ছাড়েননি সারি, ‘সারির মাঠ ছেড়ে ওভাবে বের হয়ে যাওয়ার পেছনে ফুটবলারদের কেউ দায়ী না। আসলে ইউয়েফার নিয়ম অনুযায়ী গতকালের অনুশীলনটি মিডিয়ার জন্য উন্মুক্ত করা ছিল। শেষ ১৫ মিনিটেও নিজের পছন্দমতো সেট পিস অনুশীলন করতে না পারাতেই রাগ হয়েছিলেন সারি।’

    এদিকে এই মৌসুম শেষেই চেলসিকে বিদায় বলবেন সারি, গুঞ্জন উঠেছে এমনটাই। সারি অবশ্য ফাইনালের আগে জানালেন, এই মুহূর্তে আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচটা ছাড়া কিছুই ভাবতে চান না, ‘এই মুহূর্তে শুধু ফাইনালটা নিয়েই ভাবতে চাই। চেলসির সাথে এখনো দুই বছরের চুক্তি বাকি আছে। তাই ক্লাব ছাড়তে হলে আগে তাদের সাথেই আলোচনা করবো। এখন এসব নিয়ে আলোচনার সঠিক সময় না। ফাইনাল নিয়েই সবার ভাবা উচিত কারণ আমরা এই শিরোপা জেতার যোগ্যতা রাখি।’

    এই মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিততে পারেনি চেলসি, মৌসুম শেষ করেছে তৃতীয় স্থানে থেকেই। মৌসুমজুড়েই সারির সাথে চেলসি ফুটবলারদের সম্পর্কের অবনতির কথা শোনা গেছে বারবারই। সারি এবার নিজেই বললেন, শুরুতে কিছুটা খারাপ সময় পার করলেও ধীরে ধীরে সেটা ভালোর দিকেই এগিয়েছে, ‘মৌসুমের শুরুতে ফুটবলারদের মানসিকতা বুঝতে বেশ সমস্যা হয়েছিল। তবে ফেব্রুয়ারি থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। মনে হয় আমি নিজেই বদলে গিয়েছি! এখন আমি দলকে খুব বেশি ভালোবাসি, তাদের সাথে আমি সুখেই আছি। আমি প্রিমিয়ার লিগকে ভালোবাসি, ইংলিশ ফুটবলকেও। তাই নিজের ভবিষ্যতের ব্যাপারেও এসব ভেবেই সিদ্ধান্ত নেবো।’