• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই আমাদের সাফল্যের রহস্য: হোল্ডার

    আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই আমাদের সাফল্যের রহস্য: হোল্ডার    

    দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে খেলা হয়নি ৩৬ ওভারও। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচটা একদমই একপেশে বানিয়ে জয় তুলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার বলেছেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে যে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখিয়ে তার দল, সেটাই তাঁদের সাফল্য এনে দিয়েছে। এই মনোভাবটা পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই ধরে রাখতে চান তাঁরা।

    ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২১.৪ ওভারেই গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান, স্কোরবোর্ডে রান ছিল ১০৫। ওশান থমাসের বোলিং তোপে পাকিস্তান তাঁদের শেষ সাত উইকেট হারিয়েছে ৪৩ রানে। এমন মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ক্রিস গেইল ও নিকোলাস পুরানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৩.৪ ওভারেই জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

    বোলিং-ব্যাটিং দুই বিভাগেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলাটাই ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ লক্ষ্য, জানালেন হোল্ডার, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা। যার বিপক্ষেই হোক না কেন, আমরা এভাবে খেলতে চাই। এভাবে খেলেছি বলেই আমরা উইকেট পেয়েছি। আধুনিক যুগের ক্রিকেটে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট না তুললে ভুগতে হবে। তাই কিছু রানের বিনিময়েও যদি উইকেট পাওয়া যায়, সেই চেষ্টাতেই ছিলাম।’

    নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ জুন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ক্যারিবিয়ানরা। সেই ম্যাচসহ পুরো টুর্নামেন্টেই আক্রমণাত্মক মুডটা ধরে রাখতে চান হোল্ডার, ‘আমরা আক্রমণাত্মক থাকতে চাই পুরো বিশ্বকাপেই। আমার মনে হয় সব দলই উইকেট নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকবে। পেসার হোক কিংবা স্পিনার, উইকেট নেওয়াটাই মূল লক্ষ্য। খুব বেশি দূরের কথা অবশ্য ভাবতে চাই না। পরের ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়ার সাথে, তাঁদের নিয়েই ভাবছি। আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে। তিন বিভাগে ভালো করলেই জয় আসবে। দলে যার যে দায়িত্ব, সেটা ঠিকভাবে পালন করলেই যথেষ্ট।’

    এদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এমন হারের পরও ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ, ‘এটা শুধু একটা খারাপ দিন ছিল। আমরা ভালো খেলিনি। প্রথমে কয়েকটা উইকেট হারানোর পর আমরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। ইনশাল্লাহ আমরা পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াবো। এরকম কন্ডিশনে যদি প্রথমে ব্যাটিং করতে হয়, তাহলে শুরুতে উইকেট হারানো থেকে বাঁচতে হবে। তাহলেই আমরা ভালো করতে পারব।’

     

     

    তিন ওভার বোলিং করে চার রানে দুই উইকেট, মেইডেন একটা। ক্যারিবিয়ান বোলার আন্দ্রে রাসেলের প্রথম স্পেলটা ছিল এমনই। সরফরাজ স্বীকার করলেন, রাসেলের এমন বোলিংই ছিল তাঁদের ইনিংসের টার্নিং পয়েন্ট, ‘চার ওভারের মাঝে প্রথম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিলাম। এরপর রাসেলের স্পেলটাই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি দুই উইকেট নেওয়া আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। প্রথম দশ ওভারে আমরা বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম, এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারিনি। আমরা জানতাম তারা বাউন্সার দেবে, সেরকম প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু প্রথম দশ ওভারে আমাদের শট নির্বাচক সঠিক ছিল না। প্রথম দিকে উইকেট না হারালে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত।’