• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    বিশ্বকাপে ফিরতে চেয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স, রাজি হননি ডু প্লেসিরা!

    বিশ্বকাপে ফিরতে চেয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স, রাজি হননি ডু প্লেসিরা!    

    ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু, এরপর বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ এখন খাদের কিনারায়। এমন পরিস্থিতিতে এবি ডি ভিলিয়ার্সের কথাটা আপনার মনে না এসেই পারে না! কিন্তু অবসর নিয়ে নেওয়ায় ডি ভিলিয়ার্স তো এখন দর্শক! তবে ইএসপিএনক্রিকইনফো একটা বোমাই ফাটিয়েছে আজ, বিশ্বকাপের আগে নাকি দক্ষিণ আফ্রিকার দলে ঢুকতে চেয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু তাঁর প্রস্তাবে সায় দেওয়া দূরে থাক, সেটা বিবেচনা করারই দরকার মনে করেনি প্রোটিয়া টিম ম্যানেজমেন্ট।

    ক্রিকইনফো বলছে, গত মেতে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৫ জনের বিশ্বকাপ দল ঘোষণার এক দিন আগে ডি ভিলিয়ার্স জানিয়েছিলেন, অবসর ভেঙে তিনি বিশ্বকাপে ফিরতে চান। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি, কোচ ওটি গিবসন ও নির্বাচক কমিটির আহবায়ক লিন্ডা জন্ডির কাছেই কথাটা বলেছিলেন। কিন্তু সেটা তারা বিবেচনাতেই আনেননি। এর কারণ মনে করা হচ্ছে দুইটি। এক, ডি ভিলিয়ার্স গত মে মাসে অবসর নেওয়ার পর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি। জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে হতো, সেখানেও ছিলেন না। তার চেয়েও বড় কারণ, ডি ভিলিয়ার্সকে দলে নিতে হলে একজনকে বাদ দিতে হতো, যেটি অবিচার বলেই মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সম্ভবত কোপটা পড়ত ফন ডার ডুসেনের ওপর, ডি ভিলিয়ার্সের জায়গায় নেমে যিনি প্রথম চার ইনিংসে তিনটি ফিফটি পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা চায়নি ম্যানেজমেন্ট, ডি ভিলিয়ার্সের চাওয়াও পুরণ হয়নি। পরে আনুষ্ঠানিক বার্তায়ও ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা নিশ্চিত করেছে তা। ডি ভিলিয়ার্সকে তারা অবসরের সময়ই বিশ্বকজাপের কথা মাথায় রেখে বিশ্রাম নিয়ে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু ডি ভিলিয়ার্স তখন অবসর নেওয়ার ব্যাপারেই অনড় ছিলেন বলে জানিয়েছে বোর্ড। 

    কিন্তু বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার এই অবস্থায় প্রশ্নটা আবার সামনে চলে আসছে। এমনিতেই দলের অবস্থা খারাপ, তার ওপর চোটে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে ডেল স্টেইনের। বিশ্বকাপে টিকতে থাকলে হলে বাকি ম্যাচের প্রায় সবই জিততে হতে পারে তাদের।

     

     

    গত বছর এক আবেগী বার্তায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন ডি ভিলিয়ার্স। বলেছিলেন, এই ক্লান্তির বোঝাটা নিতে পারছেন না, সময় দিতে চান পরিবারকে। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন নিয়মিত, এই বছর প্রথমবারের মতো খেলেছেন বিপিএলে। এরপর আইপিএল খেলেও বার্তা দিয়েছেন, এখনও নিজের দিনে যে কোনো বোলিং গুড়িয়ে দিতে পারেন। এই বছর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তটা সহজ ছিল না। সেটার জন্য যে একটু আফসোস হয়নি, সেটাও অস্বীকার করেননি ডি ভিলিয়ার্স। তবে খোলাখুলি দলে ফেরার ইচ্ছাটা জানাননি। আভাস দিয়েছিলেন, দরকার হলে সিদ্ধান্তটা পরিবর্তন করতে পারেন।

    কিন্তু ওয়ানডেতে ৫৩.৫ গড়ে ৯৫৫৭ রান করা ডি ভিলিয়ার্সকে সেই সুযোগ দিল না দক্ষিণ আফ্রিকা।