• লা লিগা
  • " />

     

    রেকর্ড গড়ে হ্যাজার্ডকে দলে নিল রিয়াল মাদ্রিদ

    রেকর্ড গড়ে হ্যাজার্ডকে দলে নিল রিয়াল মাদ্রিদ    

    ঘোষণাটা সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিল। গত মাসে ইউরোপা লিগ ফাইনালে আর্সেনালকে হারানোর পর 'নতুন চ্যালেঞ্জ' নেওয়ার কথা বলে তিনিই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, চেলসির সাথে ৭ বছরের সম্পর্কটা শেষ হচ্ছে খুব দ্রুত। হাজারও জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে আসল সেই বহুল প্রতীক্ষিত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। চেলসি থেকে ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বেলজিয়ন ফরোয়ার্ড এডেন হ্যাজার্ডকে দলে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।

    অবশ্য হ্যাজার্ডের রিয়ালে আসাটা নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল আজই, যখন রিয়ালের অফিশিয়াল স্টোরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছিল তার নামাঙ্কিত জার্সি। তাকে দলে নিতে গত কয়েক বছর ধরেই উঠেপড়ে লেগেছিল রিয়াল। 'লস ব্লাঙ্কোস'দের ম্যানেজার জিনেদিন জিদানও অনেকদিন ধরেই দলে চাচ্ছিলেন তাকে। ছেলেবেলার 'আইডল'-এর অধীনে খেলতে মুখিয়ে ছিলেন হ্যাজার্ডও। অবশেষে দুইয়ে দুইয়ে মিলল চার।

     

     

    শুরুতে চেলসিকে ১০০ মিলিয়ন ইউরো দিলেও চুক্তির অন্যান্য বিষয়াদি মিলিয়ে হ্যাজার্ডের জন্য প্রায় ১৭০ মিলিয়ন ইউরো খরচ হতে পারে রিয়ালের। সে হিসেবে গ্যারেথ বেলের ১০০ মিলিয়ন টপকে রিয়ালের কেনা সবচেয়ে দামী ফুটবলার এখন হ্যাজার্ডই। ২০১২ সালে লিলের হয়ে নজর কাড়ার পর পুরো ইউরোপ তাকে দলে নিতে মুখিয়ে ছিল, শেষ পর্যন্ত সে রেসে জিতেছিল চেলসি। 'ব্লুজ'দের হয়ে গত ৭ বছরে ৩৫২ ম্যাচে ১১০ গোল করেছেন হ্যাজার্ড, শিরোপা জিতেছেন ৬টি। চেলসির হয়ে শেষটাও দারুণ হয়েছিল তার, বাকুতে আর্সেনালের বিপক্ষে ইউরোপ লিগ ফাইনাল জয়টাই হয়ে থাকল তার শেষ স্মৃতি।

     

     

    চেলসি থেকে রিয়ালে যোগ দেওয়া ৫ম ফুটবলার এখন হ্যাজার্ড। আরিয়েন রোবেন, রিকার্ডো কারভালহো, মাইকেল এসিয়েন (ধারে) এবং গত মৌসুমে থিবো কর্তোয়াকে দলে নিয়েছিল রিয়াল। গত মৌসুমের ভরাডুবির পর ২০১৯-২০ মৌসুমের জন্য দল সাজাতে রীতিমত আঁটঘাঁট বেঁধে নেমেছে রিয়াল। এডার মিলিতাও, লুকা ইয়োভিচের পর দলে আসলেন হ্যাজার্ড। খুব শীঘ্রই হয়তো অলিম্পিক লিঁও থেকে ফ্রেঞ্চ লেফটব্যাক ফার্ল্যান্ড মেন্ডিকেও দলে নিতে পারে রিয়াল। পল পগবা, ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন এবং কিলিয়ান এম্বাপ্পেদের রিয়ালে যোগ দেওয়া নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা।