• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    পান্ডিয়ার মাঝে ক্লুজনারের ছায়া দেখছেন ওয়াহ

    পান্ডিয়ার মাঝে ক্লুজনারের ছায়া দেখছেন ওয়াহ    

    সেঞ্চুরি করে শিখর ধাওয়ান যখন প্যাভিলিয়নে ফিরলেন, ৩৭ ওভারে ভারতের রান তখন ২২০। এরপর নামা হার্দিক পান্ডিয়া ক্রিজে থাকলেন নয় ওভার, তাতেই উঠলো আরও ৮১ রান। ২৭ বল খেলে পান্ডিয়া খেললেন ৪৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তাঁর এমন ইনিংসেই শেষ পর্যন্ত ৩৫২ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায় ভারত। সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ বলছেন, এবার পান্ডিয়ার মাঝে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেই বিধ্বংসী ল্যান্স ক্লুজনারের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন তিনি।

    ১৯৯৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ক্লুজনারের অবিশ্বাস্য অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেই প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে অ্যালান ডোনাল্ডের সেই পাগলাটে দৌড়ের কারণে একরাশ হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ক্লুজনারকে। সেবার লোয়ার অর্ডারে নেমে ২৮১ রান করেছিলেন ক্লুজনার, স্ট্রাইক রেট ছিল ১২২.১৭!

    অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পান্ডিয়ার ব্যাটেও দেখা গেছে একই ধার। চার নম্বরে নেমেছিলেন সেদিন তিনি। ২৭ বলে করেছেন ৪৮ রান, চার মেরেছেন চারটি, ছয় তিনটি, স্ট্রাইক রেট ১৭৭.৭। ওয়াহর বলছেন, পান্ডিয়ার অমন ইনিংসই অজিদের হাতের নাগাল থেকে ম্যাচটা দূরে সরিয়ে দিয়েছে, ‘ওপেনিং জুটিতে দারুণ সূচনা পেয়েছিল ভারত, এরপর কোহলি সেটাকে সামনের দিকে নিয়ে গেছে। তবে পান্ডিয়ার ইনিংসটাই প্রতিপক্ষের শিরদাঁড়ায় কাঁপন ধরিয়ে দেয়। আমার তো মনে হয় ১৯৯৯ সালে ক্লুজনার যেমন খেলেছিল, পান্ডিয়া ঠিক তেমনই খেলছে!’

     

     

    পান্ডিয়াকে এই বিশ্বকাপে আটকানো কঠিন হবে বলেই মানছেন ওয়াহ, ‘অনেকে যেভাবে তাদের ইনিংস শেষ করে, পান্ডিয়ার ক্ষমতা আছে সেখান থেকে ইনিংস শুরু করার। তাঁর শটগুলো এত ভালো যে, কোন প্রতিপক্ষের অধিনায়কই সেটা ঠেকানোর উপায় বের করতে পারবে না।’