• " />

     

    যত কাণ্ড বিপিএলে

    যত কাণ্ড বিপিএলে    

    গত মাসের বাইশ তারিখের কথা। কমলাপুর থেকে সিলেটগামী ট্রেনটা যখন রওনা হল ঘড়ির কাঁটা চারটের ঘর পেরিয়েছে। বৃহস্পতিবারের বিকেল, সাধারণ কামড়ায় যাত্রীদের ভিড়টাও তাই একটু বেশীই। রকমারি আলোচনার মধ্যেই কানে এলো বিপিএল নিয়ে কথাবার্তা। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের বাংলাদেশী সংস্করণের ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’ লটারিটা হয়েছে সেদিনই। কোন দল কেমন হল সে আলোচনা দুয়েকজনের মুখ থেকে ছড়িয়ে পড়লো অনেকের মাঝেই। সিলেট মেডিকেল কলেজের একজন শিক্ষার্থীকে আশ্বস্ত হতে দেখা গেলো মুশফিকুর রহিমকে সিলেট সুপারস্টার্সের অধিনায়ক হিসেবে পেয়ে।

     

    তিন বন্ধুর আলাপচারিতায় পাকিস্তানের ক্রিকেটারের আধিক্য নিয়ে বিতর্ক কানে এলো। টঙ্গী স্টেশনে নেমে যাবার আগে এক ভদ্রলোক ঢাকার দল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে গেলেন। হাতের স্মার্টফোনটায় দলগুলোর চূড়ান্ত খেলোয়াড় তালিকা দেখতে দেখতে একজন সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্সকে ‘ফেভারিট’ রায় দিয়ে দিলেন।
     


    আরও পড়ুনঃ বিপিএলের কাবুলিওয়ালারা


     

    ২০১৫ সালকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল বছর। বিশ্বকাপের মাঠ থেকে শুরু হওয়া পুনরুত্থানটা টাইগাররা ধরে রেখেছে দেশে ফিরেও। ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পরাশক্তিদের ঘরের মাঠে সিরিজ হারিয়ে কেবল মাশরাফিরাই নন, উজ্জীবিত গোটা দেশই। সে জায়গা থেকেই হয়তো সীমিত ওভারের ক্রিকেটের ‘কর্পোরেট’ আয়োজন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে মানুষের আগ্রহটা অন্য দু’বারের চেয়ে একটু যেন বেশীই দেখা গেলো। গলির মোড়ে আড্ডা থেকে শুরু করে চায়ের দোকানের সামনে জটলা হয়ে যানজটে আটকে থাকা লোকাল বাসের ভিতরও কানে এসেছে বিপিএলের ‘প্রি-মর্টেম’।

     

    কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রত্যাশার পারদ যতটুকু চড়া ছিল, খেলা মাঠে গড়ানোর সপ্তাহকাল বাদে কি ততটুকুই আছে? শুনতে খারাপ লাগলেও জবাবটা হচ্ছে, 'না'। ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে তৈরি হওয়া বিপুল আগ্রহটুকু পুঁজি করে সীমিত সামর্থ্যেই অসাধারণ এক আয়োজন হতে পারতো। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, সেটা হয় নি।

     

    কাড়ি কাড়ি টাকা ব্যয়ে উদ্বোধনী কনসার্টঃ প্রয়োজন ছিল কতোটুকু?

     

    দুনিয়াজুড়ে টিটোয়েন্টি লিগ মানেই এখন অর্থের ঝনঝনানি। যুগের দাবীতে সেটা নিয়ে হয়তো আপত্তি করারও সুযোগ নেই বেশি। কিন্তু অর্থটার সদ্ব্যবহার করতে সমস্যা কোথায়? ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দেশীয় সংস্কৃতির বর্ণিল উপস্থাপনায় প্রশংসনীয় এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানই আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিকভাবে যথেষ্টই সাড়া জাগানো সে আয়োজন নিয়ে এখনও মানুষ কথা বলে। অতো বড় পরিসরে না হোক, ছোট করেও কি তেমন একটা উদ্বোধন করা যেত না? প্রচারণার নামে মোটা অংকের টাকা খরচ করে ভিনদেশী তারকা এনে আদতে কতটুকু প্রসার হল বিপিএলের? মাঠের খেলায় পদে পদে মানহীনতার করুণ ছাপ অর্থের এমন অপব্যবহারের সামনে বড় করেই এঁকে দিচ্ছে প্রশ্নবোধক।

     

    দর্শকশূন্য গ্যালারির হাহাকার

     

    গত দুই আসরের চেয়ে এবার খেলার টিকিটের দাম কমিয়ে অর্ধেক করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও গড়ের মাঠ মিরপুরের গ্যালারি। কর্মব্যস্ত দিন, ভরদুপুরে শুরু হচ্ছে খেলা, ঢাকার রাজপথে অসহনীয় যানজট, টিকিটের প্রাপ্তিস্থান নিয়ে প্রচারণার অভাব...উল্লেখযোগ্য অনেক কারণ উপেক্ষা করে প্রতিদিন দুটো করে ম্যাচের গ্যালারি ভরিয়ে তোলার দায় কি দর্শকদের উপর চাপানো যায়?

     

     

     চিচিং ফাঁক! 

     

    টুর্ণামেন্টের প্রথম দিনের প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস চলছে। মুখোমুখি চট্টগ্রাম আর রংপুর। আর ঢাকা-কুমিল্লা খেলবে পরের ম্যাচে। হঠাৎ মাঠের বাইরে তখন বিশাল এক মিছিল; গলায় 'ঢাকা... ঢাকা' স্লোগান। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে স্টেডিয়ামের মূল গেইট (২নং গেইট) বন্ধ থাকলেও মিছিল কাছে আসতেই হঠাৎ করে খুলে দেওয়া হলো গেইট। হাজারখানেক লোক হুড়মুড় করে বিনা বাধায় ঢুকে গেলো স্টেডিয়ামে। টিকেট চাওয়া হয়নি মিছিলের কারো কাছ থেকে, নিরাপত্তাকর্মীরাও বাধা দেননি কোনো। দেশের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যেও স্টেডিয়ামের এরকম বেহাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেক। প্রশ্ন উঠেছে মিছিলের সবার কাছে টিকেট ছিলো কিনা এই বিষয়েও। বিসিবি-র  কর্মকর্তারাও সঠিক জবাব দিতে পারেননি এই কান্ডের। কেউ বলেছেন, সবার কাছে টিকেট ছিলো; কেউ বলেছেন টিকেট ছাড়া মাঠের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি, আবার কেউবা বলেছেন ঢাকা দলের পক্ষ থেকে নাকি আগেই বলা ছিলো, প্রথম ম্যাচে এরকম 'আনন্দ উৎসব' করতে চেয়েছিলো তাদের সমর্থকেরা! 

     

    বিপর্যস্ত মাঠ-উইকেটের আর্তনাদ শুনবে কে?

     

    টানা ছয়দিনে মোট বারোটি ম্যাচ হয়ে গেলো মিরপুরের শেরে বাংলায়। শেষদিকে এসে পিচের অবস্থা ঠিক যেন কোন টেস্টের ম্যাচের পঞ্চম দিনের রূপ নিয়েছিল। ধীর গতির উইকেটে নিচু হয়ে আসা বলে রান তুলতে গলদঘর্ম হয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। পরিচর্যার জন্য মাঠকর্মীরা যে পর্যাপ্ত সময় পান নি তা বলাই বাহুল্য। পিচের স্থানে স্থানে কালো কালো দাগ রীতিমতো নির্যাতনের ক্ষতচিহ্নের মতো দেখাচ্ছিল।

     

    বিসিবির ভাষ্যমতে নিরাপত্তা সংকটে দেশব্যাপী খেলা ছড়িয়ে দেয়া যায় নি। কিন্তু ঢাকার অদূরে ফতুল্লায় কেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলো না কিংবা টুর্নামেন্টের ব্যপ্তি বাড়িয়ে টানা খেলার মাঝে পর্যাপ্ত বিরতি কেন দেয়া হল না- এসব প্রশ্নের যৌক্তিক জবাব কি টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্টরা দিতে পারবেন?

     

    রানের খেলায় রানেরই অভাব!

     

    টিটোয়েন্টি ক্রিকেটের জৌলুসই হচ্ছে বাহারি সব শটে, চার-ছয়ের ফুলঝুরিতে রানবন্যার উৎসব। অথচ টানা খেলায় বিপর্যস্ত উইকেটে স্ট্রোকের ফুলঝুরি সাজানো দূরে থাকুক, টিকে থাকতেই হিমশিম খেয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। এ পর্যন্ত হওয়া বারো ম্যাচের ছ’টিতেই রানের অংক বল সংখ্যার সমানও হয় নি। চব্বিশ ইনিংসের মধ্যে মাত্র ন’টিতে রান হয়েছে দেড়শ’র বেশী। ‘লো স্কোরিং’ অনেকগুলো ম্যাচেই শেষ মুহূর্তের রোমাঞ্চ তৈরি হলেও উপর্যুপরি রানখরায় টুর্নামেন্ট রং হারিয়েছে অনেকটাই।

     

    তবে রানের অভাবের জন্য কেবলই উইকেটকে দুষছেন না ঢাকা ডায়নামাইটসের ‘আইকন’ খেলোয়াড় নাসির হোসেন। গতকাল ঢাকা-সিলেট ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেয়া সাঙ্গাকারার ৫৬ বলে ৭৫ রানের ইনিংসটির মূল্যায়ন করতে গিয়ে জাতীয় দলের অলরাউন্ডার বলছেন এই উইকেটে আস্তেধীরে সময় নিয়ে বড় সংগ্রহ গড়তে হবে। উইকেটে নেমেই মারমার, কাটকাট ইনিংস খেলে ৩০ বলে ৬০ রান তুলে ফেলা সম্ভব নয়।

     

    বোপারা-কবের এন.ও.সি

    ঘটনাটা টুর্ণামেন্টের দ্বিতীয় দিনেই; সিলেট সুপারস্টারস আর চিটাগং ভাইকিংস ম্যাচে। টস শুরুর জন্য দাঁড়িয়ে আছেন চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম। অথচ সিলেট সুপারস্টারস অধিনায়ক মুশফিকের দেখা নেই। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২৫ মিনিট পর হলো টস। কিন্তু এরপর ব্যাট করতে মাঠে নেমেও পরে বাইরে চলে গেলেন তামিম ইকবাল। পরে জানা গেলো, পুরো ঝামেলাটা হয়েছে সিলেটের দুজন খেলোয়াড়ের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নিয়ে। জশুয়া কব ও রব বোপারার এই ম্যাচের ঘণ্টাখানেক আগেও এনওসি ছিল না। প্রথম একাদশে তাই দুজনকে না রেখেই ঘোষণা করা হয় দল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেটি চলে আসায় সিলেট এই দুজনকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাট করতে নামার সময়ই তামিম সেটা খেয়াল করে মাঠ ছেড়ে চলে যান। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কব ও বোপারাকে ছাড়াই সিলেট নেমেছে। কিন্তু আরও একবার বিপিএলের পেশাদারিত্ব নিয়েই উঠে গেছে প্রশ্ন। এই দুজনের অনাপত্তিপত্রের ব্যাপারে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো কেন?

     

    হতাশ করছেন আম্পায়াররা

     

    মাঠের খেলায় বাংলাদেশ যতোটা উন্নতি করছে মাঠের বাইরের ব্যবস্থাপনায়ও সেটার একটা ছাপ প্রত্যাশিত বৈকি। কিন্তু অন্য অনেক কিছুর মতো ম্যাচ পরিচালনায় দেশী আম্পায়ারদের করুণ দশা এই আয়োজনে আরও একবার মোটা দাগে প্রকট হয়ে উঠছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত খেলার ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে বাজেভাবেই। বিদেশী তারকার ক’মিনিটের নাচের চেয়ে ক’জন ভালো মানের বিদেশী আম্পায়ার বেশী জরুরী ছিল কিনা- এমন প্রশ্ন বারবারই সামনে চলে আসছে।

     

    তাঁরা নায়ক, তাঁরা খলনায়ক

     

    মাঠে অভব্য আচরণ করে নিষিদ্ধ হওয়ার নজির সাকিব আল হাসান আগেও রেখেছেন। দীর্ঘ বিমানযাত্রায় আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে টানা ম্যাচ খেলে যাওয়া, দেশ তথা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের উপর দিয়ে ধকলটা যে মাত্রাতিরিক্ত যাচ্ছে তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচে রংপুরের দলনেতাকে ব্যাটিংয়ের এক পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে মাঠে বসেই পড়তে দেখা গেলো। কিন্তু কোনকিছুতেই কি নামের মান খোয়ানোর দায়টুকু তিনি এড়াতে পারেন? সিলেটের বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের সাথে অগ্রহণযোগ্য আচরণের জন্য এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন প্রজন্মের অন্যতম এই ‘রোল মডেল’।

     


    আরও পড়ুনঃ নতুন বিপিএলে পুরনো পাপীরা


     

    জাতীয় দলের আরেক তারকা অলরাউন্ডার নাসির হোসেন উইকেট পাবার পর প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের উদ্দেশ্যে একাধিকবার কটূক্তি করেছেন। জাতীয় দলের জার্সিতেও নাসিরের এহেন আচরণ ইতিপূর্বে দেখা গেছে। মোহাম্মদ শহীদের বলে বোল্ড হবার পর একেবারেই ‘গায়ে পড়ে’ তাঁর সাথে ঝগড়া বাঁধিয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা পেসার আল-আমিন হোসেন। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিশ্বকাপের মতো আসর থেকে ফিরে আসা এই তরুণের ব্যবহার এর আগেও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

     

     

    মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে এঁদের প্রত্যেকেই বহুবার নায়ক হয়েছেন, ভবিষ্যতেও হয়তো হবেন। কিন্তু “ভালো ক্রিকেটার হলে তুমি পনেরো বছর খেলতে পারবে, খুব ভালো হলে না হয় বিশ বছরই খেলবে। তারপর? এসবই ক্ষণস্থায়ী ব্যাপার, জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ভালো মানুষ হতে পারা...”- ক্রিকেট কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকারের বাবার উপদেশটা কি আমাদের নায়করাও একটু মনে রাখবেন?

     

    সম্প্রচারে নিম্নমান, পীড়াদায়ক ‘পাওয়ার প্লে’

     

    প্রথম দু’বারের মতো এবারও বিপিএলের প্রচার সত্ত্ব কিনে নেয় চ্যানেল নাইন। বিসিবির সাথে চ্যানেলটির লেনদেনের অংক বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সম্প্রচার ব্যয় বাবদ চ্যানেলটি কেটে নিচ্ছে ১১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এই অর্থে কতটুকু ভালো সম্প্রচার সম্ভব সেটা এ ব্যাপারে যারা সম্যক ধারণা রাখেন তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে সাধারণ দর্শকের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বোধকরি ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের সিপিএল সম্প্রচারও মানের বিচারে বিপিএলের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।

     

    হাতে গোনা কয়েকটি ক্যামেরার ব্যবহারে একেবারেই দায়সারা প্রচার, নিম্নমানের প্রযুক্তি, সম্পাদনায় অদক্ষতা, খেলোয়াড়দের নামের বানানে ভুল, স্কোরকার্ডে বিভ্রান্তি, একজনের রান-বলের হিসেব যোগ হচ্ছে অন্যজনের নাম...খুঁজতে গেলে এমন ত্রুটি বের হচ্ছে অগুণতি। ধারাভাষ্যের মান আর বিরতির আলোচনায় অংশ নেয়া উপস্থাপিকার ক্রিকেট জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুললে তো নাতিদীর্ঘ রচনা লিখে ফেলা যাবে।

     

    আর্থিকভাবে লাভবান হতে এবার বিপিএলের পুরো আয়োজন নিজেদের হাতেই রেখেছে বিসিবি। এ পর্যন্ত পাওয়া হিসেব বলছে বিসিবির কোষাগারে ইতোমধ্যেই জমা হয়ে গেছে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। টুর্নামেন্ট শেষে যেটা ৪০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলেই প্রত্যাশা। কিন্তু তাতে মোটা দাগে দেশের ক্রিকেট লাভবান হচ্ছে কতটুকু? আগামী বছরের টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে যে টুর্নামেন্টকে, চরম অব্যবস্থাপনায় সেটা শেষ পর্যন্ত কার্যকর কোন ফল দেবে তো?