• আফ্রিকান নেশন্স কাপ
  • " />

     

    দ্বিতীয় রাউন্ডেই সালাহদের বিদায় করে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা

    দ্বিতীয় রাউন্ডেই সালাহদের বিদায় করে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা    

    নির্ধারিত সময়ের মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি। মিশরের বেশিরভাগ ফুটবলারই আক্রমণভাগে চলে গিয়েছেন জয়সূচক গোলের আশায়। ঠিক ওই মুহূর্তেই অপ্রত্যাশিতভাবে এক পাল্টা আক্রমণে মোহামেদ সালাহদের জালে বল জড়ালেন থেমবিনকোচি লর্চ, উল্লাসে ভাসল পুরো দক্ষিণ আফ্রিকা ডাগআউট। অন্যদিকে স্বাগতিকদের গোল হজমে কায়রো আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তখন পিনপতন নীরবতা। শেষ মুহূর্তেই দারুণ এই গোলেই কপাল পুড়ল সালাহদের। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরে আফ্রিকান কাপ অফ নেশনসের শেষ ১৬ থেকেই বিদায় নিল গতবারের রানার্সআপ মিশর।

    ম্যাচের প্রথম সুযোগটাও এসেছিল লর্চের সামনে। প্রথম মিনিটেই তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন মিশর কিপার সেনাউই। দুই মিনিট পর গোল পেতে পারতেন মিশরের মারওয়ান মোহসেন, তাকে হতাশ করেন আফ্রিকা কিপার উইলিয়ামস। ১৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া আফ্রিকার পার্সি তাউয়ের দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দেন মিশর গোলরক্ষক। ২২ মিনিটে আবার গোলের সুযোগ নষ্ট করে তাউ। প্রথমার্ধে নিজের ছায়া হয়ে থাকা সালাহও শেষভাগে পেয়েছিলেন গোলের সুযোগ। তাঁর বা পায়ের শট পোস্টের অনেক ওপর দিয়েই চলে যায়। 

    দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে ত্রেজেগের গোলে এগিয়ে যেতে পারত মিশর। সালাহর বাড়ানো বলে তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন উইলিয়ামস। ৭২ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন লর্চ। তাঁর ডান পায়ের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন মিশর কিপার। 

    দুই দলের গোলরক্ষকের দক্ষতায় ম্যাচ এগোচ্ছিল অতিরিক্ত সময়ের দিকেই। গোলের জন্য মরিয়া মিশর আক্রমণেই বেশি মনযোগী ছিল। ৮৫ মিনিটে সেই সুযোগে পাল্টা আক্রমণে যান আফ্রিকার লেবো মথিবা। তাঁর পাসে বল পেয়ে গোল করতে আর ভুল করেননি লর্চ। তাঁর গোলেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বাফানা বাফানারা। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো মিশরকে। 

    মিশরের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডেই বাদ পড়েছে আরেক ফেভারিট মরক্কোও। গত পরশু টাইব্রেকারে মরক্কোকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টারে ওঠে বেনিন। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়েছিল ১-১ গোলে। অন্য ম্যাচে ক্ল্যারেন্স সিডর্ফের অধীনে খেলতে আসা ক্যামেরুনকে ৩-২ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নাইজেরিয়া। অডিওন ইঘালোর গোলে প্রথমে পিছিয়ে পড়েও স্টেফেন বাহোকেন ও ক্লিনটন নিজের গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল ক্যামেরুন। পরে ইঘালোর দ্বিতীয় গোলে ম্যাচে সমতা ফেরে। শেষ পর্যন্ত অ্যালেক্স আইওবির গোলেই জয় পায় নাইজেরিয়া।