• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    ফাইনালে হারলে ক্রিকেট আর নাও খেলতে পারতেন বাটলার!

    ফাইনালে হারলে ক্রিকেট আর নাও খেলতে পারতেন বাটলার!    

    দুই দল নির্ধারিত সময়ে সমান রান করেছে। সুপার ওভারেও আলাদা করা যায়নি ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডকে। সুপার ওভারের রোমাঞ্চের পর বাউন্ডারির হিসেবে এগিয়ে থেকে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। ফাইনালের এক সপ্তাহ পর ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইংলিশ উইকেটকিপার জস বাটলার বলছেন, লর্ডসের ফাইনাল হারলে সেই ধাক্কা সামলে ভবিষ্যতে হয়তো আর ক্রিকেটই খেলতে পারতেন না তিনি! 

    ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে এবারের বিশ্বকাপের আগে মোট সাতটি ফাইনাল খেলেছেন বাটলার। এর মাঝে একটিও জিততে পারেননি। অষ্টমবারে এসে সাফল্য ধরা দিয়েছে। ইংল্যান্ডের জয়টা এসেছে জেসন রয়ের থ্রোতে, সেই থ্রো ধরে গাপটিলকে আউট করেছিলেন বাটলারই। বাটলার বলছেন, এবার হারলে কষ্টটা সহ্য করতে পারতেন না, ‘ওই রবিবারের আগে আমি সাতটি ফাইনাল খেলেছি, সবকয়টিতেই হারতে হয়েছিল। সমারসেটের হয়ে পারিনি। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হেরেছি। আর শেষবার তো ইডেনের সেই ফাইনালে হারতে হয়েছিল। অন্য দল শিরোপা উঁচিয়ে ধরলে কতটা কষ্ট লাগে সেটা আমি জানি। এই ব্যথাটা আবার পেতে চাইনি।'  

    লর্ডসের ফাইনালে হারলে হয়তো ভবিষ্যতে আর ক্রিকেটই খেলতেন না বাটলার, ‘হেরে যাবো এই ভয়টা কাজ করছিল। এই ফাইনালেও হারলে কীভাবে আবার ক্রিকেট খেলতাম জানি না! লর্ডসে বিশ্বকাপের ফাইনাল জীবনে খুব বেশিবার হয়তো আসবে না। আমি ভাবছিলাম, যদি এবারও হেরে যাই, অনেকদিন ক্রিকেট ব্যাট হাতে নেওয়ার ইচ্ছা থাকবে না। দলের সাইকোলজিস্ট ডেভিড ইয়ংয়ের সাথেও এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। কীভাবে ভালো খেলব সেটা জানলেও হারার ভয়টাই বেশি কাজ করছিল।’ 

    বিশ্বকাপের শুরু থেকে ফেভারিট তকমা পাওয়া ইংল্যান্ড গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল। ভারতের বিপক্ষে বাঁচা মরার ম্যাচেও আগেও একই ভয় জেঁকে বসেছিল বাটলারের মনে, ‘ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাদ পড়ার ভয়টা কাজ করছিল। আমরা ফেভারিট ছিলাম, সবাই সেরকমই বলছিল। চার বছর দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলার পর গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়তে হলে সেটা মেনে নেওয়া কঠিন। মানুষ আমাদের কী বলবে, চোকার্স বলবে কিনা; এসব নিয়েই ভাবতাম। বিশ্বকাপের সেমিতে উঠতে না পারলে সেটা সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হতো।’