• বাংলাদেশের শ্রীলংকা সফর
  • " />

     

    'শেষ ম্যাচ জিততে পারলে নিজেদের কাছে সন্তুষ্টি থাকবে'

    'শেষ ম্যাচ জিততে পারলে নিজেদের কাছে সন্তুষ্টি থাকবে'    

    একটা দিক দিয়ে এই ম্যাচ একদিক দিয়ে অর্থহীন। সিরিজ তো হেরেই গেছে বাংলাদেশ, আগামীকাল তৃতীয় ওয়ানডেতে জয় পেলে সেটা হবে শুধু সান্ত্বনা হবে মাত্র। তবে তারপরও সব শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নিজেদের সন্তুষ্টির জন্য অন্তত শেষ ম্যাচটা জিততে চান।

    তামিমের ওয়ানডে অধিনায়কত্বের অভিষেকটা এর চেয়ে বেশি দুঃস্মৃতির হতে পারত না। প্রথম দুই ম্যাচে নিজে তো ব্যর্থ হয়েছেনই, দলও জিততে পারেনি। শরীরী ভষা বলে দিচ্ছে, বাংলাদেশ যেন হার মেনে গেছে নামার আগেই। তৃতীয় ওয়ানডের আগে সতীর্থদের কীভাবে উজ্জীবিত করবেন, সেটাও কঠিন একটা প্রশ্ন। তামিমও জানেন, এমন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণা পাওয়া কঠিন। তারপরও নিজেদের জন্য জিততে চান ম্যাচটা, ‘আমার কাছে মনে হয় আমার নিজেদেরই অনেক কিছু পাওয়ার আছে। হয়তো এই সিরিজে আমরা হেরে গেছি। কিন্তু ৩-০ বা ২-১ এর মধ্যে ব্যবধান এটা হবে আমরা যদি এই ম্যাচটা জিততে পারি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি তাহলে নিজেদের একটা সন্তুষ্টি থাকবে। দেশে সবাই আমাদের খেলা দেখে, তাদের জন্য তো বটেই।’

    তামিম অবশ্য অধিনায়কত্বে এখন পর্যন্ত তেমন ভুল না করলেও দলের ব্যর্থতার জন্য তাকে কাঠগড়ায় উঠতেই হচ্ছে। নিজের অধিনায়কত্ব তাই আলাদা করে বিচার করতে চান না, ‘আমি প্রথমেই বলেছি, দল যেরকম, অধিনায়কও সেরকম হবে। আমরা সিরিজ হেরেছি, আমি নিজের কাজটা ঠিকমতো করতে পারলে হয়তো এরকম হতো না। আমি কতটুকু নিজেকে রেট করি না করি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। দল হিসেবে ভালো করতে পারিনি সেটা বড় কথা নয়। অধিনায়কত্ব আমি কেমন করলাম সেটা বড় কথা নয়। এক দুই ম্যাচ দিয়ে বিচারও করা যায় না। তবে এই দুইটা ম্যাচ ধরে যদি বলতেই হয় আমরা দল হিসেবে ভালো করতে পারিনি। ’

    ব্যাটিং বা বোলিং নির্দিষ্ট কিছুকেও দায়ী করতে চান না। বরং পুরো দলের ব্যর্থতাকেই দায়ী করলেন, ‘আপনি যদি দেখেন এই দুইটা ম্যাচে তিন বিভাগ এমন ছিল কোনো না কোনো জায়গায় আমরা ভুল করেছি। ব্যাটিং বা বোলিংয়ে আমাদের শৃংখলা ছিল না। ফিল্ডিংয়েও আমরা নিজেদের মান ধরে রাখতে পারিনি। এই দুই ম্যাচে আমরা কেউই নিজেদের কাজটা করতে পারিনি। আমার মনে হয়, শেষ ম্যাচে আমরা ব্যাটিং বা বোলিং ইউনিট দুই দিকেই উন্নতি করতে হবে।’

    প্রেমাদাসার বড় আউটফিল্ড নিয়েও প্রশ্ন হলো। তামিম অবশ্য এটিকে ঢাল হিসেবে দাঁড় করাতে চাইলেন না, ‘মাঠের আকার একটা বড় ব্যাপার। বিশ্বকাপে অত বড় বাউন্ডারি ছিল না। খুব কম মাঠেই এত বড় আউফিল্ড থাকে। উইকেট প্রথম ম্যাচে খুব ভালো ছিল। একটা টিম এর মধ্যে ৩০০ রান করেছে আমাদের ৩০০ করা উচিত ছিল। কিন্তু ছোট বা বড় যে মাঠেই খেলেন না কেন, ভালো ব্যাটিং না করলে কিছুই করতে পারবে না। শেষ কথা হচ্ছে আমাদের কাছ থেকে যে আশা ছিল ওই হিসেবে আমরা খেলতে পারিনি।’