• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    নরউইচকে উড়িয়ে দিয়ে লিভারপুলের হুঙ্কার

    নরউইচকে উড়িয়ে দিয়ে লিভারপুলের হুঙ্কার    

    গত মৌসুমে মাত্র এক পয়েন্টের জন্য প্রিমিয়ার লিগে রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের। অ্যানফিল্ডে নরউইচ সিটিকে উড়িয়ে দিয়ে নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচে লিভারপুল জানিয়ে রাখল, এবারও লিগ জেতার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা নিয়েই মাঠে নেমেছে তারা। মোহামেদ সালাহ, ভার্জিল ভ্যান ডাইক এবং ডিভগ ওরিগির গোলে নরউইচকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।

    অ্যানফিল্ডে অবশ্য প্রথম ৪০ মিনিটেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল ফলাফল। ৭ মিনিটে ওরিগির ক্রস ক্লিয়ার করতে যেয়ে বল নিজেদের জালে ঠেলে দেন নরউইচের অধিনায়ক গ্রান্ট হ্যানলি। শুরুতেই গোলের দেখা পাওয়া লিভারপুল এরপর যেন আক্রমনের বন্যাই বইয়ে দিয়েছে 'ক্যানারি'দের ওপর। ১৯ মিনিটে রবার্তো ফিরমিনোর পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সালাহ। প্রিমিয়ার লিগে নিজের শেষ তিন মৌসুমের প্রতিটিরই প্রথম ম্যাচে গোল পেয়েছেন তিনি। মিনিট দশেক পর লিভারপুলের তৃতীয় গোলের উৎসও সালাহই। ২৯ মিনিটে সালাহর কর্নারে হেড করে গোল করেন ভ্যান ডাইক। প্রথমার্ধের মিনিট তিনেক বাকি থাকতে রাইটব্যাক ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের ক্রসে হেড করে নরউইচের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ওরিগি।

     

     

    মৌসুমের প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধে লিভারপুলের থেকে এরকম পরিপূর্ণ পারফরম্যান্সই হয়তো প্রত্যাশা করেছিলেন ক্লপ। কিন্তু বড় জয়ের পরও পুরোপুরি সন্তুষ্ট থাকতে পারছে না লিভারপুল। ৩৬ মিনিটে পায়ের মাংসপেশিতে টান খেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারকে। তার বদলি হিসেবে নামেন এই মৌসুমেই লিভারপুলে যোগ দেওয়া স্প্যানিশ গোলরক্ষক আদ্রিয়ান। দুর্দান্ত এক প্রথমার্ধেই জয় নিশ্চিত করে ফেলার পরও থেমে থাকেনি লিভারপুল। ৪৭ মিনিটে অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসনের শট ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। মিনিটখানেক পর গোলের সামনে থেকেও গোল করতে পারেননি ফিরমিনো।

    দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দশ মিনিটে আরও দুটি সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল। কিন্তু সালাহ বা হেন্ডারসন- কেউই শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা আক্রমণাত্মক করলেও সময়ের সাথে গা বাঁচিয়েই খেলেছে লিভারপুল। সুযোগটা ঠিকই কাজে লাগিয়েছে নরউইচ। ৬৩ মিনিটে আদ্রিয়ানকে পরাস্ত করেন স্ট্রাইকার টিমু পুক্কি। শেষ দশ মিনিটে বদলি হয়ে নেমেছিলেন সাদিও মানে। নরইউইচ গোলরক্ষক টিম ক্রুল না থাকলে গোলও পেয়ে যেতে পারতেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল ক্লপের দল।