আবারও সেই রেনের কাছেই হারলো পিএসজি
আগের মৌসুমে এই রেনের কাছে হেরেই ফ্রেঞ্চ কাপের শিরোপা জেতা হয়নি পিএসজির। নতুন মৌসুমের শুরুতেই পিএসজিকে হারের স্বাদ দিল রেনে। লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও রেনের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।
প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও একাদশে ছিলেন না নেইমার। এডিনসন কাভানিরা শুরু থেকে চেপে ধরেছিল রেনে রক্ষণভাগকে। ১৪ মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রসে কাভানির হেড পোস্টে লেগে ফিরে না এলে লিড নিতে পারত পিএসজিই। ৩৬ মিনিটে আর ভুল করেননি কাভানি। রেনে অধিনায়ক ড্যামিয়েন সিলভার ভুল ব্যাকপাসে বল পেয়েছিলেন কাভানি। ডান পায়ের বুদ্ধিদীপ্ত শটে অনায়াসেই রেনে কিপারকে বোকা বানিয়ে পিএসজিকে এগিয়ে দেন এই উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড।
তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাঁর শটও পোস্টে লেগে ফিরে যায়। প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগে ম্যাচে সমতা আনে রেনে। হামারি ট্রাওয়ের ক্রসে এমবে নিয়াংয়ের বাঁ পায়ের জোরালো শটে পরাস্ত হন আরেওলা।
বিরতির পরপরই পিএসজিকে চমকে দিয়ে ম্যাচে লিড নেয় রেনে। এডুয়ার্ডো ক্যামাভিঙ্গার ক্রসে রোমাইন ক্যাসিলোর হেড ঠেকাতে পারেননি আরেওলা। ৫৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পেতে পারতেন নিয়াং, তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন আরেওলা। ৬৩ মিনিটে জেরেমি গেলিনকেও হতাশ করেন তিনি।
ম্যাচে ফেরার বেশ কয়েকটি সুযোগ এসেছিল পিএসজির সামনেও। এমবাপ্পে ও কাভানি দুইজনকে রুখে দিয়েছেন রেনে কিপার সালিন। শেষ পর্যন্ত রেনের মাঠ থেকে হারের স্বাদ নিয়েই বাড়ি ফিরেছে টমাস টুখেলের দল।
গত মৌসুমে লিগে সব মিলিয়ে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ হেরেছি পিএসজি। এবার দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথম হারের স্বাদ পেতে হলো তাদের। ২ ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে পিএসজি আছে পয়েন্ট তালিকার অষ্টম স্থানে। সমান ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লিঁও।