এক ম্যাচেই ইনজুরিতে এমবাপ্পে-কাভানি
নেইমার ইস্যু নিয়ে খুব একটা স্বস্তিতে নেই পিএসজি, স্বীকার করেছিলেন খোদ পিএসজি কোচ টমাস টুখেলও। টলুসের বিপক্ষে লিগের তৃতীয় ম্যাচে দুশ্চিন্তাটা আরও বেড়ে গেলো তাঁর। বড় জয় পেলেও ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন দলের দুই প্রধান ভরসা এডিনসন কাভানি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। ইনজুরি কাটিয়ে কবে ফিরবেন তারা, সেটাও নিশ্চিত করা বলতে পারছে না ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
টলুসের বিপক্ষে ম্যাচের ১৬ মিনিটেই ইনজুরিতে পড়েন কাভানি। পায়ের মাংসপেশীতে টান লাগায় সাথে সাথেই বদলি করা হয় তাকে। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬ মিনিটে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে এমবাপ্পের। সেই ব্যথা নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি, বদলি করা হয়েছে তাকেও। এমবাপ্পে-কাভানির পাশাপাশি ইনজুরিতে পড়েছেন ডিফেন্ডার আবদু দিয়ালোও। প্রথমার্ধে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
ইনজুরি কাটিয়ে কবে ফিরবেন কাভানি-এমবাপ্পে, সেটা নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানতে পারেনি পিএসজি। স্প্যানিশ সংবাদপত্র এএস বলছে, যদি বেশি সময়ের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হয় দুইজনকে, তাহলে জরুরি ভিত্তিতেই স্কোয়াডে ফিরতে পারেন নেইমার। যদিও টলুসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে টুখেল জানিয়েছিলেন, দলবদলের ইস্যু চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত পিএসজিকে দলে নেওয়া হবে না।
এদিকে ইনজুরি হানা দেওয়ার ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে পিএসজি। টলুসেকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। প্রথমার্ধে গোল পায়নি পিএসজির ফরোয়ার্ডরা। দ্বিতীয়ার্ধের ৫০ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন কাভানির বদলি হিসেবে নামা এরিক চপু মটিং। পাঁচ মিনিট পর টলুসের ম্যাথিউ গনকাভেজের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান বাড়ে। ৭৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মটিং। ৮৩ মিনিটে টলুসের জালে চতুর্থবারের মতো বল জড়ায় পিএসজি, গোল করেন মারকুইনহোস।
তিন ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে আছে পিএসজি। ৩১ আগস্ট মেজের মুখোমুখি হবে তারা।