• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ফিরমিনোর হাফ সেঞ্চুরি, ক্লপের লিভারপুল বার্নলিতে গড়ল রেকর্ড

    ফিরমিনোর হাফ সেঞ্চুরি, ক্লপের লিভারপুল বার্নলিতে গড়ল রেকর্ড    

    বার্নলির মাঠে লিভারপুলের জয় নিয়ে সংশয় একরকম ছিলই না। তবে পুরো ম্যাচে প্রতিপক্ষের সঙ্গে প্রায় পুরোটা সময় লড়াই চালিয়ে গেছে বার্নলি। লিভারপুলের ৩-০ গোলের জয় অবশ্য অন্যকথা বলছে। সুযোগ কম তৈরি করেও ফরোয়ার্ডরা নির্ভুল থাকলে যে কঠিন ম্যাচও সহজ বানিয়ে জেতা যায় সেটাই দেখালো লিভারপুল। বার্নলিকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসটাই নতুন করে লিখেছে ইউর্গেন ক্লপের দল। এই নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে টানা ১৩ ম্যাচ জিতল অলরেডরা। ১৯৬০ সালে টটেনহাম হটস্পারের পর মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে লিভারপুল গড়েছে এই কীর্তি।

     

     

    ম্যাচে লিভারপুলের প্রথম গোল ৩৩ মিনিটে। এর আগ পর্যন্ত লিভারপুলের সঙ্গে টেক্কা দিচ্ছিল বার্নলি। প্রথম গোলে ভাগ্যটাই খারাপ ছিল তাদের। ডানদিক থেকে অ্যালেক্সান্ডার আর্নল্ড ক্রস করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বার্নলি স্ট্রাইকার ক্রিস উডের গায়ে লেগে সেটা গোলে পরিণত হয়ে গেলে এগিয়ে যায় লিভারপুল।

    দ্বিতীয় গোলেও বার্নলি অধিনায়ক বেন মি ভুল করে বসলেন। রবার্তো ফিরমিনোকে বল দিয়ে দিলে ব্রাজিলিয়ান এগিয়ে যান গোলের দিকে, সাদিও মানেকে বাম পাশে ডিবক্সের ভেতর পাস দেন তিনি। মানে কোণাকুণি নিচু শটে গোল করে ৩৭ মিনিটে দুই গোলের লিড এনে দেন লিভারপুলকে।

    দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধে আর লড়াই করা হয়নি বার্নলির। ম্যাচের একেবারে শুরুতে ক্রিস উড ও অ্যাশলি বার্নস দুইবার গোলবঞ্চিত হয়েছেন গোলরক্ষক আদ্রিয়ান ও আর্নল্ডের কাছে। সেগুলোই দ্বিতীয়ার্ধে আরও আফসোস বাড়িয়েছে বার্নলির।

    আফসোস কিছুটা মোহামেদ সালাহরও থাকতে পারে। দারুণ শুরু করেছিলেন তিনিও। ৮ মিনিটেই বারপোস্টের কারণে গোলবঞ্চিত হন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলের হয়ে আক্রমণে সবচেয়ে বল পাচ্ছিলেন তিনি। ৮০ মিনিটে নিজেই কাট করে ঢুকতে চেয়েছিলেন, তবে বলের নিয়ন্ত্রণ হারান। তবে তাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আরও ভালোভাবে নিয়ে নেয় লিভারপুল। পেছন থেকে দৌড়ে এসে ডিবক্সের মাথা থেকে প্রথম সুযোগে নেওয়া শটে গোল করেন ফিরিমিনো। প্রিমিয়ার লিগে তাতে ৫০ গোলের মাইলফলকও পূরণ হয়েছে তার। ব্রাজিলিয়ান হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে গোলের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করা প্রথম খেলোয়াড়ও তিনি।

    লিভারপুল এই নিয়ে জিতল নতুন মৌসুমের সব কয়টি ম্যাচ। তাই আগস্ট মাস শেষে তারাই শীর্ষে। অবশ্য গত ১২ বারের ভেতর মাত্র দুইবার আগস্টে শীর্ষে থাকা দল লিগ জিতেছিল। দুইবারই সেই কীর্তিটি চেলসির। সেই রেকর্ডটা এবার তিনে নিয়ে চেলসির পাশেই বসতে চাইবেন ক্লপ।