• লা লিগা
  • " />

     

    বেলের জোড়া গোল, লাল কার্ডে ভিয়ারিয়ালের সাথে ড্র করল রিয়াল

    বেলের জোড়া গোল, লাল কার্ডে ভিয়ারিয়ালের সাথে ড্র করল রিয়াল    

    ঠিক ছয় বছর আগে আজকের এই দিনে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। রিয়ালের হয়ে গ্যারেথ বেলের অভিষেকটা হয়েছিল ভিয়ারিয়ালের মাঠেই, পেয়েছিলেন গোলও। ছয় বছর পর আবারও এস্তাদিও লা সেরামিকায় ভিয়ারিয়ালের মুখোমুখি রিয়াল। ম্যাচের বাকি ছয় মিনিট, ২-১ গোলে পিছিয়ে রিয়াল। মাঝমাঠ থেকে বেলকে পাস বাড়ালেন লুকা মদ্রিচ। প্রথমার্ধের মত আবারও দলকে সমতায় ফেরালেন ওয়েলশ ফরোয়ার্ড। শেষদিকে দু’বার হলুদ কার্ড দেখে মাঠও ছাড়তে হয়েছে তাকে। ভিয়ারিয়ালের মাঠে দুবার পিছিয়ে পড়েও ২-২ গোলে ড্র করেছে জিনেদিন জিদানের দল।

    আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণ, শেষ মুহূর্তের রোমাঞ্চ- সাম্প্রতিক সময়ে ভিয়ারিয়াল এবং রিয়ালের ম্যাচগুলোতে কমতি ছিল না কোনও কিছুরই। আজকের ম্যাচও ব্যতিক্রম হয়নি। অবশ্য চমকটা ছিল শুরু থেকেই, জিদানের একাদশ নির্বাচনে। দুই স্ট্রাইকার লুকা ইয়োভিচ এবং করিম বেনজেমাকে একসাথে খেলিয়েছেন জিদান। মার্সেলোর বদলে রিয়ালের লেফটব্যাক হিসেবে নেমেছিলেন ফার্ল্যান্ড মেন্ডি। বহিষ্কারাদেশ থেকে ফেরা মদ্রিচকে বেঞ্চে রেখেছিলেন জিদান। নিজেদের মাঠে ১২ মিনিটেই লিড নেয় ভিয়ারিয়াল। প্রতি-আক্রমণে টোকো একাম্বির শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া, কিন্তু ফিরতি বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি জেরার্ড মরেনো। পিছিয়ে পড়লেও প্রথমার্ধে বল দখল, গোলের সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল রিয়ালই।

     

     

    ২২ মিনিটে বেলের আগুনে ফ্রিকিক ফিরিয়ে দেন ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রেয়াস ফার্নান্দেজ। এর মিনিট দশেক পর ইয়োভিচকেও খালি হাতে ফেরান তিনি। তবে ফার্নান্দেজের দক্ষতার সাথে ভাগ্যও সহায় হয়নি রিয়ালের। ৩৮ মিনিটে কাসেমিরোর হেড ফার্নান্দেজকে পরাস্ত করলেও প্রতিহত হয় বারপোস্টে। তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের একেবারে শেষদিকে ঠিকই সমতায় ফেরে রিয়াল। ইয়োভিচের ফ্লিকে ডানপ্রান্তে বল পান রাইটব্যাক দানি কারভাহাল, ফার্নান্দেজকে এগিয়ে আসতে দেখে চিপ করেন তিনি। কারভাহালের চিপ ক্রস ফাঁকা পোষ্টে পাঠিয়ে রিয়ালকে সমতায় ফেরান বেল।

    প্রথমার্ধের শেষ কিকে সমতায় ফেরা আত্মবিশ্বাসী রিয়াল দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ভিয়ারিয়ালকে কাঁপিয়ে দিচ্ছিল বারবার। গোছানো আক্রমণে বেলদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল মারিও গাসপারদের। ম্যাচের দখল নিজেদের করে নিতে স্ট্রাইকার একাম্বিকে উঠিয়ে মিডফিল্ডার আঙ্গিসাকে নামিয়ে দেন ভিয়ারিয়াল ম্যানেজার হাভিয়ের কায়েহা। বদলে যায় ম্যাচের অবস্থা। মাঝমাঠের দখল নিজের করে নেন আঙ্গিসা, ভিয়ারিয়ালও সময় নেয়নি লিড পুনরোদ্ধার করতে। ৭৪ মিনিটে আবারও এক প্রতি-আক্রমণে মরেনোর শট ফিরিয়ে দেন কর্তোয়া, বাঁ-প্রান্তে ফিরতি বল পান হাভি অন্তিভেরোস। তার ক্রসে পা ছুঁয়ে দলকে লিড এনে দেন মই গোমেজ।

     

     

    ম্যাচের মাত্র ১৫ মিনিট বাকি থাকতে সমতায় ফিরতে ভিনিসিয়াস জুনিয়র এবং মদ্রিচকে নামিয়ে দেন জিদান। ক্রোয়েশিয়ান অধিনায়কের উপস্থিতিতে জেগে উঠে রিয়াল। ম্যাচের ৪ মিনিট বাকি থাকতে বেলের গোলে রিয়াল সমতায় ফিরলেও বিল্ড আপের পুরোটাই ছিল মদ্রিচের কৃতিত্ব। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে লাল কার্ড দেখায় আন্তর্জাতিক বিরতির পর লেভান্তের বিপক্ষে ম্যাচটি মিস করবেন বেল। ঐ ম্যাচ দিয়েই হয়তো রিয়ালের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে অভিষেক হবে এডেন হ্যাজার্ডের। গতকাল ওসাসুনার মাঠে বার্সেলোনা পয়েন্ট হারানোয় রিয়ালের সামনে সুযোগ এসেছিল ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার।

     

     

    কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি জিদানের দল, ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচ নম্বরে থাকল তারা। রিয়াল, বার্সার পয়েন্ট হারানোর সপ্তাহে লাভ হয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। নিজেদের মাঠে এইবারের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানেপিছিয়ে থেকেও ৩-২ গোলের দারুণ জয় ছিনিয়ে এনেছে ডিয়েগো সিমিওনের দল। ৩ ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে ২০১৯-২০ লা লিগা টেবিলের শীর্ষেই থাকলেন মোরাতা-ফেলিক্সরা।