ইকার্দি-নাভাসকে ভিড়িয়ে শেষদিনে পিএসজির চমক
পুরো দলবদলের মৌসুমজুড়েই নেইমারের ট্রান্সফার নিয়ে আলোচনায় ছিল পিএসজি। শেষ পর্যন্ত নেইমার বার্সেলোনায় না গেলেও দলবদলের শেষ দিনে চমক দেখিয়েছে ফরাসি ক্লাবটিই। ইন্টার মিলান থেকে পিএসজিতে ধারে খেলতে এসেছেন মাউরো ইকার্দি। আর রিয়াল মাদ্রিদ থেকে পিএসজিতে এসেছেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
ইন্টারের সাথে গত মৌসুমেই সম্পর্কটা তলানিতে ঠেকেছিল ইকার্দির। অধিনায়কত্ব, দলে জায়গা, ৯ নম্বর জার্সি; সবকিছু হারিয়েছেন ইকার্দি। ইন্টার ছাড়ার গুঞ্জনটা তাই জোরেশোরেই ছিল মৌসুমের শুরু থেকেই। নাপোলি, জুভেন্টাসসহ অনেক ক্লাবে যাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত পিএসজিতেই এলেন তিনি। আপাতত এক বছরের জন্য ধারে খেলতে এসেছেন ইকার্দি। আগামী মৌসুমে ৬৫ মিলিয়ন ইউরোতে তাকে কিনতে পারবে পিএসজি।
পিএসজিতে এসে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছেন ইকার্দি, ‘আমি সব টুর্নামেন্টে নিজের নতুন দলকে শিরোপা জিততে সাহায্য করবো। পিএসজি এখন বিশ্ব ফুটবলের নতুন পরাশক্তি। গত কয়েক বছরে অনেক নামীদামী ফুটবলার এখানে এসেছেন। এখানে সবারে প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমার ক্ষেত্রেও সেটার ব্যতিক্রম হবে না।’
এদিকে রিয়ালে পাঁচ বছর কাটিয়ে পিএসজিতে এসেছেন কোস্টারিকান গোলরক্ষক নাভাস। চার বছরের জন্য তাঁর সাথে চুক্তি করেছে পিএসজি। ২০১৮ সালে চেলসি থেকে রিয়ালে আসেন গোলরক্ষক থিবো কোর্তয়া। এরপর থেকেই রিয়ালের একাদশে অনিয়মিত হয়ে পড়েন নাভাস, আগের মৌসুমে লিগে মাত্র দশটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। গত মৌসুমের শেষ থেকেই শোনা যাচ্ছিল, দ্রুতই রিয়াল ছাড়বেন তিনি।
নাভাসের বিনিময়ে গোলরক্ষক আলফোন্সে আরেওলাকে এক বছরের জন্য রিয়ালে পাঠিয়েছে পিএসজি। এই মৌসুমে তিনটি ম্যাচে পিএসজির হয়ে মাঠে নেমেছিলেন আরেওলা। ২০২৩ সাল পর্যন্ত পিএসজির সাথে চুক্তি আছে তাঁর। ধারের সময় শেষে আরেওলাকে কিনতে পারবে না রিয়াল।
অন্যদিকে আর্সেনাল থেকে এক মৌসুমের জন্য রোমাতে ধারে খেলতে গেছেন হেনরিখ মিখিতারিয়ান। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে নিকোলা কালিনিচকেও ধারে নিয়েছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।